রমজানের জীবনযাপন টিপস
প্রিয় ক্রিকেট ডটকমঃ এসে গেছে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব রমজান । বছরের অন্য সময়ের তুলনায় রমজান কিছুটা ভিন্ন।তাই রমজানের জন্য কিছু বিশেষ প্রস্তুতিও প্রয়োজন। এখানে বিভিন্ন লাইফস্টাইল বিশেষজ্ঞের মতের আলোকে রমজানের জীবনযাপন নিয়ে কিছু টিপস তুলে ধরা হলো।
পুরো মাসের একটি পরিকল্পনা করুন
রমজান মাস যেহেতু একমাস তাই এজন্য প্রয়োজন বিশেষ পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি।তাই রমজান শুরুর আগেই পুরো রমজানের কাজের (বাসা ও কর্মক্ষেত্র) একটি পরিকল্পনা তৈরি করতে পারেন।কারণ একটি সুন্দর পরিকল্পনা রমজানকে ঝামেলামুক্ত করে তুলতে পারে। রমজানের বাজার,কর্মক্ষেত্র ইত্যাদি কাজের সঠিক পরিকল্পনা তৈরি করে নিন।এর ফলে রমজান শুরুর আগেই কিছু কাজ সেরে ফেলতে পারবেন। এছাড়া রমজানের সব কাজের একটি তালিকা তৈরি করে ফেলুন।অর্থাৎ রমজান শুরুর আগেই পুরো রমজান মাসের সব কাজের একটি সঠিক পরিকল্পনা করে নিন।
বাজেট করুন
রমজান শুরুর আগেই পুরো রমজান মাসের জন্য একটি বাজেট করে ফেলুন।এর ফলে আগাম কিছু প্রস্তুতি সম্পন্ন হবে। রমজান মাস যেহেতু একমাসের তাই পুরো মাসের বাজার সওদা ও অন্যান্য খরচের একটি সম্ভাব্য বাজেট আগেই করে রাখুন।আর বাজেট করে ফেললে রমজানের অনেক কাজ সহজ হয়ে যাবে।তাছাড়া আগে বাজেট করে নিলে রমজানে ঠিক কত টাকা খরচ হবে তা আগাম বুঝতে পারবেন। সেইসাথে আগাম বাজেট করে নিলে পরবর্তীতে কোন ঝামেলায় পড়তে হবে না।
সব কেনাকাটা একবারে নয়
এ সময়ে (রমজান শুরুর দিকে) একসাথে সব বাজার সেরে ফেলার একটি প্রবণতা দেখা যায় যা আসলে ঠিক নয়।কারণ এরফলে বাজারে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির সম্ভাবনা থাকে। এছাড়া একসাথে অনেক পণ্য কিনলে ও সেগুলো দীর্ঘ সময় ঘরে থাকার ফলে কিছু পণ্য নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে। এবং এরকম কিছু হলে রমজানের ব্যয় বেড়ে যেতে পারে। সুতরাং রমজানে সাপ্তাহিক বাজার করে নিতে পারেন।
চিনি ও ভাজাপোড়া কম খান
রমজানের সময় বাজারে অধিক চিনিযুক্ত ও বিভিন্ন ধরনের ভাজাপোড়া খাবারের আধিক্য দেখা যায়। লাইফস্টাইল বিশেষজ্ঞদের মতে রমজানের সময়ে বাজারের এসব অধিক চিনিযুক্ত ও ভাজাপোড়া মুখোরোচক খাবার যতদূর সম্ভব কম খাওয়া উচিত।কারণ এ সময়ে এসব খাবার শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা তৈরি করতে পারে ।
চিপস,সফটড্রিংস এড়িয়ে চলুন
রমজানে শারীরিক সুস্থতা জরুরি।আর এ সময়ে শরীর সুস্থ রাখার জন্য বাইরের চিপস , সফটড্রিংস ইত্যাদি কৃত্রিম খাবার যতদূর সম্ভব এড়িয়ে চলুন।কারণ এসব খাবার হজমে সমস্যা করতে পারে ও মুড নষ্ট করতে পারে। এছাড়া এসব কৃত্রিম খাবার স্বাস্থ্যকর নয় । রমজানের সময় কৃত্রিম সফটড্রিংস ইত্যাদির বদলে বাজার থেকে তাজা ফল কিনে জুস বানিয়ে খেতে পারেন ।
পর্যাপ্ত পানি পান করুন
রমজানের সময়ে শরীরকে সুস্থ ও সবল রাখার জন্য খাবার গ্ৰহনের আগে ও পরে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা উচিত।কারণ রমজানের সময়ে খাবারের আগে ও পরে পানি কম খেলে শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে ও হজমে সমস্যা করতে পারে যা শরীরকে অসুস্থ করে তুলতে পারে।
বাইরের খাবার কম খান
রমজানের সময় বাজারে প্রচুর পরিমাণে মুখোরোচক,অধিক মশলাযুক্ত বিভিন্ন খাবারের সমারোহ দেখা যায় ।এসব খাবার বেশি খেলে শরীরে বিভিন্ন সমস্যা তৈরি হতে পারে।তাই একান্ত প্রয়োজন নাহলে রমজানে বাইরের খাবার কম খেতে চেষ্টা করুন।
দরিদ্রদের সহায়তা করুন
রমজান মাস যেহেতু বছরের অন্য সময়ের চেয়ে ভিন্ন তাই এসময়ে গরীব ও দুস্থ মানুষদের বিভিন্নভাবে সহায়তা করতে পারেন। এক্ষেত্রে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথে কাজ করতে পারেন।আর এ সময়ে দরিদ্র মানুষদের সহায়তার মাধ্যমে নিজের মানসিক সন্তুষ্টি বেড়ে যাবে।
সুন্দর জীবনযাপন চর্চা করুন
রমজান মাস যেহেতু একমাস তাই এ সময়ে সুন্দর জীবনযাপন চর্চা করার ভালো সুযোগ রয়েছে।এ সময়ে সঠিক সময়ে সঠিক কাজটি করার অভ্যাস করুন। নিজের সবকাজে একটি পরিকল্পনা ও রুটিন মেনে চলুন।আর এসব সুন্দর জীবনযাপন চর্চা সারা বছর জুড়ে আপনাকে সহায়তা করবে। সেইসাথে এ সময়ে বন্ধু ও আত্মীয়স্বজনদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখার চেষ্টা করুন।
জটিল রোগীরা ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চলুন
যাদের শরীরে ডায়াবেটিস প্রভৃতি জটিল রোগ রয়েছে তাদের উচিত রমজানের সময়ে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চলা। এছাড়া এ বিষয়ে বিভিন্ন মিডিয়ায় বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়ে থাকেন সেগুলোও ফলো করতে পারেন।