প্রিয় ক্রিকেট ডটকমঃ আজ ২৬শে মার্চ, মহান স্বাধীনতা দিবস।১৯৭১ সালের এই দিনে বাংলাদেশের স্বাধীনতার যুদ্ধের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়া হয় এবং এই দিনটিতে শুরু হয় চূড়ান্ত স্বাধীনতা যুদ্ধ। এই দিনে একাওরের সকল শহীদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি এবং সেইসাথে এখানে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাবলি তুলে ধরার চেষ্টা করছি।
স্বাধীনতা যুদ্ধের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাবলি
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এখানে তুলে ধরছি।
১. বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে বীরপ্রতীক খেতাবপ্রাপ্ত একমাত্র বিদেশি নাগরিক যে দেশের - ডাচ।
২.মুক্তিযুদ্ধভিওিক জাদুঘর গৌরবাঙ্গন যে স্থানে অবস্থিত - যশোর ।
৩.অপারেশন জ্যাকপটে মোট কতটি পাকিস্তানি জাহাজ ধ্বংস করা হয় - ৬০টি।
৪.মুক্তিযুদ্ধের সময় যে বিদেশি মিশনে বাংলাদেশের পতাকা প্রথম উওোলন করা হয় - কলকাতা ।
৫.মুক্তিযুদ্ধের জন্য বাংলাদেশকে যে কয়টি সেক্টরে ভাগ করা হয় - ১১টি।
৬.মুক্তিযুদ্ধের বীরত্বসূচক উপাধি - চারটি।
৭.মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারত-বাংলাদেশ যৌথ বাহিনী গঠিত হয় -১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর।
৮.অভ্যন্তরীণ নৌপথ ও সমুদ্র উপকূলীয় অঞ্চল যে সেক্টরের অধীন ছিল - ১০ নম্বর সেক্টর।
৯.মুজিবনগর সরকারের রাষ্ট্রপতির অনুপস্থিতিতে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন- সৈয়দ নজরুল ইসলাম ।
১০. মুক্তিযুদ্ধের নিয়মিত বাহিনী ছিল - মুক্তিফৌজ।
১১. বাংলাদেশের গণপ্রজাতন্ত্রের ঘোষণা হয়েছিল - ১৭ এপ্রিল,১৯৭১।
১২. মুজিবনগর সরকারের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন - তাজউদ্দিন আহমেদ।
১৩. বাংলাদেশের প্রথম শত্রুমুক্ত জেলা - যশোর।
১৪. মুজিবনগর সরকার যে দেশে মিশন স্থাপন করেছিল - যুক্তরাজ্য।
১৫.দুইজন খেতাবপ্রাপ্ত নারী মুক্তিযোদ্ধা - ক্যাপ্টেন সেতারা বেগম ও তারামন বিবি।
১৬.ভারত-বাংলাদেশ যৌথবাহিনী হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে- ০৬ ডিসেম্বর,১৯৭১।
১৭. ভারত-বাংলাদেশ যৌথ কমান্ডের সেনাধ্যক্ষ ছিলেন - জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরা।
১৮. বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় ঢাকা যে সেক্টরের অধীন ছিল - ২ নম্বর সেক্টর।
১৯. বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণের সময় উপস্থিত লোকসংখ্যা - প্রায় ১০ লক্ষ।
২০. ১৯৭১ সালে ভারতের বিমানঘাঁটিতে পাকিস্তান হামলা চালায় - ৩রা নভেম্বর।
২১. বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকারের সদস্যসংখ্যা ছিল - ৬ জন।
২২.বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকারের রাজধানী ছিল - মেহেরপুর জেলার মুজিবনগরে।
২৩. মুজিবনগর সরকারের রাষ্ট্রপতি ছিলেন - বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
২৪.মুজিবনগর সরকারকে প্রথম গার্ড অব অনার দেন - মাহবুব উদ্দিন আহমেদ (বীরবিক্রম)।
২৫. জেনারেল এম এ জি ওসমানী বাংলাদেশের সেনাপ্রধান নিযুক্ত হন - ১৮ এপ্রিল,১৯৭১।
২৬. যে বীরশ্রেষ্ঠের মৃতদেহ উদ্ধার করা যায়নি - বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন।
২৭.মুক্তিযুদ্ধের প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন - ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট।
২৮.স্বাধীনতা যুদ্ধে অবদানের জন্য মোট খেতাবপ্রাপ্ত - ৬৭৬ জন।
২৯. বাংলাদেশের জাতীয় প্রতীক - শাপলা ।
৩০. বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধা -দিবস - ১ ডিসেম্বর ।
৩১.মুজিবনগর স্মৃতিসৌধের স্থপতি - তানভীর করিম।
৩২.মুক্তিযুদ্ধের সময় উপ-সর্বাধিনায়ক ছিলেন - একে খন্দকার।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন