WHAT'S NEW?
Loading...

২০২১ ওমেনস বিগব্যাশের সেরা পারফরমার

                                                                   



প্রিয় ক্রিকেট ডটকমঃ অবশেষে সমাপ্ত হলো এবারের (২০২১) ওমেনস বিগব্যাশ লিগ। এবারের ওমেনস বিগব্যাশের শিরোপা জয় করেছে পার্থ স্কোচার্স । ফাইনালে এডিলেড স্ট্রাইকার্সকে হারিয়ে শিরোপা জয় করে পার্থ স্কোচার্স। এখানে এবারের ওমেনস বিগব্যাশের সেরা পারফরমারদের পরিসংখ্যান তুলে ধরছি।


সেরা পাঁচ ব্যাটার 


এবারের ওমেনস বিগব্যাশের সেরা পাঁচ ব্যাটারের পরিসংখ্যান এখানে তুলে ধরছি।


বেথ মুনি 


এবারের ওমেনস বিগব্যাশে সবচেয়ে বেশি রান করেছেন বেথ মুনি।এই ব্যাটার ১৪ ম্যাচ খেলে মোট ৫৪৭ রান সংগ্রহ করেন।


কেটি মাক 


২০২১ ওমেনস বিগব্যাশে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হলেন কেটি মাক।এই ব্যাটার এবারের ওমেনস বিগব্যাশে ১৭ ম্যাচ খেলে মোট ৫১৩ রান সংগ্রহ করেন।


সোপি ডিভাইন 


২০২১ ওমেনস বিগব্যাশের তৃতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন সোপি ডিভাইন।সোপি ডিভাইন ১৪ ম্যাচ খেলে মোট ৪৪২ রান করেন।


ইলচি ভিলানী 


 এবারের ওমেনস বিগব্যাশে চতুর্থ সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন ইলচি ভিলানী।ইলচি ভিলানী ১২ ম্যাচ খেলে মোট ৪৩৯ রান করেন।


জর্জিয়া রেডমেনি 


২০২১ ওমেনস বিগব্যাশে পঞ্চম সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন জর্জিয়া রেডমেনি।এই ব্যাটার ১৪ ম্যাচ খেলে মোট ৪৩৭ রান করেন।



সেরা পাঁচ বোলার


 
এবারের ওমেনস বিগব্যাশে বল হাতে সবচেয়ে বেশি উইকেট শিকারি পাঁচ বোলারের পরিসংখ্যান এখানে তুলে ধরছি।


অ্যামাডা ওয়েলিংটন 



এ বছরের ওমেনস বিগব্যাশে সবচেয়ে বেশি উইকেট নিয়েছেন অ্যামাডা ওয়েলিংটন।এই বোলার ১৭ ম্যাচ খেলে মোট ২৩টি উইকেট শিকার করেন।



জেস জোনাসেন 



এবারের ওমেনস বিগব্যাশে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি ছিলেন জেস জোনাসেন।এই বোলার ১৪ ম্যাচ খেলে মোট ২১টি উইকেট নেন।



ডার্কি ব্রাউন 



২০২১ ওমেনস বিগব্যাশে তৃতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি ছিলেন ডার্কি ব্রাউন।এই বোলার ১৫ ম্যাচ খেলে মোট ২০টি উইকেট নেন।



হেথার গ্ৰাহাম 



এবারের ওমেনস বিগব্যাশে শীর্ষ পাঁচ বোলারের তালিকায় রয়েছেন ফেরার গ্ৰাহাম ।গ্ৰাহাম ১৪ ম্যাচ খেলে মোট ১৮টি উইকেট নেন।



লিলি মিলস 



এবারের ওমেনস বিগব্যাশে পঞ্চম সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি ছিলেন লিলি মিলস।মিলস এবারের ওমেনস বিগব্যাশে ১৪ ম্যাচ খেলে মোট ১৬টি উইকেট শিকার করেন।




ক্রিকেট থেকে তুষার ইমরানের অবসর

                                                                    



প্রিয় ক্রিকেট ডটকমঃ সম্প্রতি সবধরণের ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রথমশ্রেণীর ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি রানের মালিক তুষার ইমরান।একসময় জাতীয় দলের হয়ে  খেললেও তাঁর প্রথমশ্রেণীর রেকর্ড তুলনামূলকভাবে বেশি সমৃদ্ধ।




তুষার ইমরানের ক্যারিয়ারচিএ



যদিও জাতীয় দলের হয়ে তাঁর রেকর্ড খুব দীর্ঘ নয় তবে বাংলাদেশের প্রথমশ্রেণীর ক্রিকেটে সবচেয়ে সফল ব্যাটার তুষার ইমরান। তুষার ইমরানের ক্যারিয়ারচিএ এখানে তুলে ধরছি।


টেস্ট ক্যারিয়ার



জাতীয় দলের হয়ে তুষার ইমরানের টেস্ট অভিষেক হয় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২০০২ সালে ।এই ব্যাটার মোট ৫টি টেস্ট খেলেন যেখানে তাঁর মোট রানসংখ্যা ৮৯।



ওয়ানডে ক্যারিয়ার


ওয়ানডে ক্রিকেটে তুষার ইমরান বাংলাদেশের হয়ে ৪১ ম্যাচ খেলে মোট ৫৭৪ রান করেন। এছাড়া ওয়ানডে ক্রিকেটে তাঁর ২টি ফিফটি রয়েছে।




ফাষ্টক্লাস ক্যারিয়ার


তুষার ইমরান ১৭১টি প্রথমশ্রেণীর ম্যাচ খেলেছেন যেখানে তাঁর মোট রানসংখ্যা ১১৪৩৩। এছাড়া প্রথমশ্রেণীর ক্রিকেটে এই ব্যাটারের ৩১টি সেঞ্চুরি ও ৫৯টি ফিফটি রয়েছে। প্রথমশ্রেণীর ক্রিকেটে তাঁর সেরা ইনিংসটি ২২০ রানের।





টি১০ লিগে তারকারা কে কোথায় দেখে নিন

                                                                


                                                               


প্রিয় ক্রিকেট ডটকমঃ চলছে টি১০ লিগের ২০২১-২২ আসর । এবারের টি১০ লিগটি এই জনপ্রিয় টুর্নামেন্টের পঞ্চম আসর। উল্লেখ্য এবারের টি১০ লিগ শুরু হয়  গত ১৯ নভেম্বর এবং চলবে আগামী ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত ।টি১০ লিগে ৯০ মিনিটের খেলায়  ১০ওভারের ক্রিকেট হয়ে থাকে। অর্থাৎ এখানে প্রতি টিম ১০ ওভার ব্যাটিংয়ের সুযোগ পায়। আসুন এবারের টি১০ লিগের বিভিন্ন টিমের তারকাদের তালিকা দেখে নিই।



এবারের টি১০ লিগের টিমগুলো



টি১০ এর এবারের আসরে মোট টিম হচ্ছে ৬টি। টিমগুলো যথাক্রমে - বাংলা টাইগার্স ,টিম আবুধাবি, দিল্লি বুলস,ডেকান গ্ল্যাডিয়েটর্স, চেন্নাই ব্রেভস, নর্দান ওয়ারিয়র্স ।



টি১০ লিগের এবারের ভেন্যু



এবারের ২০২১-২২ টি১০ লিগের ভেন্যু হচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের  শেখ জায়েদ স্টেডিয়াম। অর্থাৎ এবারের টি১০ লিগের সব খেলা শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে।



টি১০ লিগের চ্যাম্পিয়ন পরিসংখ্যান



টি১০ লিগের আগের চার আসরে চ্যাম্পিয়ন হয় যথাক্রমে কেরালা কিংস,মারাঠা অ্যারাবিয়ানস, নর্দান ওয়ারিয়র্স (২বার)।



২০২১-২২ টি১০ এ তারকারা কে কোথায়



এবারের টি১০ লিগে (২০২১-২২) মোট ৬টি টিম অংশ নিয়েছে। এবং এবারের টি১০ লিগের সবগুলো টিমই তারকাসমৃদ্ধ।আসুন টি১০ এর এই আসরে কোন টিমে কোন তারকা খেলছেন তার চিনে দেখে নিই।


বাংলা টাইগার্স



বাংলা টাইগার্স এবারের টি১০ লিগে বেশ শক্তিশালী টিম করেছে ।বাংলা টাইগার্সে তারকাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছেন ফাফ ডু প্লেসিস,ইসুরু উদানা,জেমস ফকনার, শহিদ আফ্রিদি,হজরতউল্লাহ জাজাই, মোঃ আমির,আন্দ্রে ফ্লেচার।



টিম আবুধাবি




টিম আবুধাবির তারকা প্লেয়ারদের মধ্যে রয়েছেন ক্রিস গেইল,পল স্টারলিং,ফিদেল এডওয়ার্ডস,শেলডন কটরেল।



দিল্লি বুলস




দিল্লি বুলস বেশ তারকাসমৃদ্ধ টিম করেছে।এই টিমে তারকা প্লেয়ারদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছেন জেসন রয়,ডোয়াইন ব্রাভো, এউইন মরগান,রাইলি রুশো,রবি রামপাল,আদিল রশিদ।



ডেকান গ্ল্যাডিয়েটর্স




ডেকান গ্ল্যাডিয়েটর্সে তারকা প্লেয়ারদের মধ্যে রয়েছেন আন্দ্রে রাসেল,ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা,এভিন লুইস,টাইমাল মিলস,ওয়াহাব রিয়াজ।



চেন্নাই ব্রেভস




চেন্নাই ব্রেভসে তারকা প্লেয়ারদের মধ্যে রয়েছেন নিকোলাস পুরান, ইউসুফ পাঠান,মিগারেল প্রিটোরিয়াস, মোঃ শেহজাদ,ফেবিয়ান এলেন,রবি বোপারা।



নর্দান ওয়ারিয়র্স



নর্দান ওয়ারিয়র্সে তারকা প্লেয়ারদের মধ্যে রয়েছেন ক্রিস জর্ডান,উপল থারাঙ্গা,মঈন আলী, ইমরান তাহির, কেনার লুইস,রবম্যান পাওয়েল।


বাংলাদেশের প্রথম নারী ওডিআই সেঞ্চুরিয়ান শারমিন আক্তার

                                                                   


                                 ছবি : নারী ক্রিকেটার শারমিন আক্তার 


প্রিয় ক্রিকেট ডটকমঃ মেয়েদের ওডিআই ক্রিকেটে বাংলাদেশের প্রথম সেঞ্চুরি এলো শারমিন আক্তারের হাত ধরে।সম্প্রতি মেয়েদের ওডিআই বিশ্বকাপ বাছাইয়ে জিম্বাবুয়ের হারারেতে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে শারমিন আক্তার এক অনবদ্য সেঞ্চুরি হাঁকান (১৪১ বলে ১৩০ রান)।প্রিয় ক্রিকেট ডটকম'এর পক্ষ থেকে শারমিন আক্তারকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।



মেয়েদের ওডিআই ক্রিকেটে সর্বাধিক সেঞ্চুরিয়ান



মেয়েদের আন্তর্জাতিক ওডিআই ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরির মালিক শীর্ষ পাঁচ ব্যাটারের পরিসংখ্যান এখানে তুলে ধরছি।



ম্যাঘ লানিং



মেয়েদের ওডিআই ক্রিকেটে এযাবতকালে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন অষ্ট্রেলিয়ার ম্যাঘ লানিং।লানিং ৮২টি ওডিআই ইনিংস খেলে মোট ১৪টি সেঞ্চুরি করেন।



সূজি বেইটস 



মেয়েদের ওডিআই ক্রিকেটে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির রূপকার নিউজিল্যান্ডের সূজি বেইটস।বেইটস ১১৮ টি ওডিআই ইনিংস খেলে মোট ১০টি সেঞ্চুরি করেন।



চার্লটি এডওয়ার্ডস



ইংল্যান্ডের চার্লটি এডওয়ার্ডস মেয়েদের ওডিআই ক্রিকেটে তৃতীয় সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির মালিক।এই ব্যাটার ১৮০ ওডিআই ইনিংস খেলে মোট ৯টি সেঞ্চুরি করেন।



ক্লেরি টেইলর 




ইংল্যান্ডের ক্লেরি টেইলর মেয়েদের আন্তর্জাতিক ওডিআই ক্রিকেটে চতুর্থ সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির রূপকার।এই ব্যাটার ১২০টি ওডিআই ইনিংস খেলে মোট ৮টি সেঞ্চুরি করেন।



কারেন রলটন 



মেয়েদের আন্তর্জাতিক ওডিআই ক্রিকেটে ইংল্যান্ডের কারেন রলটন পঞ্চম সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির মালিক ।এই ব্যাটার ১৩২টি ওডিআই ইনিংস খেলে মোট ৮ টি সেঞ্চুরি করেন।



সবধরণের ক্রিকেট থেকে ডিভিলিয়ার্সের অবসর

                                                                 




প্রিয় ক্রিকেট ডটকমঃ সম্প্রতি সবধরণের ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার তারকা ব্যাটার এবি ডিভিলিয়ার্স।২০১৮ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেও প্রথমশ্রেণীর ক্রিকেটে নিয়মিত ছিলেন এই ব্যাটিং লিজেন্ড। ডিভিলিয়ার্সের অবসরের মধ্যদিয়ে মাঠের ক্রিকেট থেকে এক কিংবদন্তির বিদায় সূচিত হলো।ডিভিলিয়ার্স শুধু দক্ষিণ আফ্রিকা জাতীয় টিমের হয়ে সফল ছিলেন তা নয় বরং বিশ্বের সব ফ্রাঞ্চাইজি লিগেই তাঁর সরব উপস্থিতি ছিল।এই ব্যাটিং লিজেন্ডের অবসর জীবন সুন্দর হোক আমাদের সেটিই কামনা।



ডিভিলিয়ার্সের অবিশ্বাস্য গুণগুলো



এবি ডিভিলিয়ার্সকে শুধু জনপ্রিয় ব্যাটার বললে ভুল হবে বরং ক্রিকেট ব্যাটিংয়ের এক ইউনিক চরিত্র হিসেবে তাকে স্বীকৃতি দেয়া হয়। অসাধারণ টেকনিক,উইকেটের চারপাশে নিখুঁত শট খেলার দক্ষতা,উইকেটে দাঁড়িয়ে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ম্যাচকে সফলভাবে ফিনিশ করা ইত্যাদি গুণগুলো ডিভিলিয়ার্সের মধ্যে সবসময় দেখা গেছে।ডিভিলিয়ার্সের ইউনিক গুণগুলো এখানে তুলে ধরছি।



অসাধারণ টেকনিক



গত দুই/তিন দশকের ক্রিকেটে সবচেয়ে সেরা টেকনিকের ব্যাটারদের মধ্যে এবি ডিভিলিয়ার্স অন্যতম। এই ব্যাটার ক্লাসিক্যাল টেকনিকের সাথে নিজের ইনোভেটিভ টেকনিক দিয়ে সবসময় ক্রিকেটমাঠে এক আলোচিত চরিত্র ছিলেন।যেকোন উইকেটে মানিয়ে নেয়ার এক অবিশ্বাস্য টেকনিক তাঁর মধ্যে ছিল।হোক সেটি এশিয়ার ফ্ল্যাট উইকেট কিংবা অষ্ট্রেলিয়ার বাউন্সি উইকেট সবক্ষেত্রেই এবি ডিভিলিয়ার্স ব্যাট হাতে তাঁর অসাধারণ টেকনিকের চিহ্ন রেখেছেন। এবং এরকম সব্যসাচী ব্যাটার ক্রিকেটে আর খুব বেশি নেই। টেকনিক বিচার করলে ডিভিলিয়ার্সের সাথে শুধু বিরাট কোহলির তুলনা চলে।



নিখুঁত শট খেলার দক্ষতা


ডিভিলিয়ার্সের ইউনিক গুণগুলোর একটি হলো তাঁর নিখুঁত শট খেলার দক্ষতা।এতো চমৎকার ও পাওয়ারফুল স্ট্রোকমেকার ক্রিকেটে খুব বেশি নেই।জায়গায় দাঁড়িয়ে উইকেটের চারপাশে নিখুঁত শট খেলার এক অপূর্ব দক্ষতা ডিভিলিয়ার্সের ব্যাটিংয়ে দেখা যায়। বিশেষত চমৎকার ফিটনেস ও কবজির জোর এই ব্যাটারের মধ্যে সবসময় দেখা যায়। এগ্ৰেসিভ ব্যাটিংস্টাইলের সাথে  নিখুঁত শট খেলার দক্ষতা এই ব্যাটারের এক অনন্য গুণ হিসেবে স্বীকৃত।



সফল ফিনিশার



ক্রিকেটে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ম্যাচকে সফলভাবে ফিনিশ করার এক অনন্য গুণ ডিভিলিয়ার্সের ব্যাটিংয়ের মধ্যে দেখা যায়। এরকম বহু উদাহরণ ওয়ানডে ক্রিকেটে রয়েছে যেখানে শুরুতে টপঅর্ডার ব্যর্থ হয়েছে এবং শুধু ডিভিলিয়ার্সের কারণে টিম চারশর বেশি রানও চেজ করতে সমর্থ হয়েছে। অনুরূপভাবে টেস্ট ও টিটুয়েন্টি ক্রিকেটেও ফিনিশার হিসেবে ডিভিয়ার্সের সফলতার অসংখ্য নজির রয়েছে। এক্ষেত্রে এবি ডিভিলিয়ার্স ফিনিশার হিসেবে নিজেকে এক অনন্য উচ্চতায় স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছেন।




 ডিভিলিয়ার্সের ক্যারিয়ারচিএ


এবি ডিভিলিয়ার্স দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে টেস্ট, ওয়ানডে ও টিটুয়েন্টি ক্রিকেট খেলেছেন। এছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকার ডমেষ্টিক ক্রিকেট এবং আইপিএল,বিগব্যাশসহ বিশ্বের বিভিন্ন ফ্রাঞ্চাইজি লিগে ডিভিলিয়ার্স নিয়মিত খেলেছেন।এবি ডিভিলিয়ার্সের ক্যারিয়ারচিএ এখানে তুলে ধরছি।



টেস্ট ক্যারিয়ার



এবি ডিভিলিয়ার্স  ১১৪টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন যেখানে তাঁর মোট রানসংখ্যা ৮৭৬৫। টেস্ট ক্রিকেটে এই ব্যাটিং লিজেন্ডের ২২টি সেঞ্চুরি ও ৪৬টি ফিফটি রয়েছে।


ওয়ানডে ক্যারিয়ার



ওয়ানডে ক্রিকেটে ডিভিলিয়ার্স ২২৮টি ম্যাচ খেলেছেন যেখানে তাঁর মোট সংগ্রহ ৯৫৭৭ রান। এছাড়া ওয়ানডে ক্রিকেটে এই কিংবদন্তি ব্যাটার ২৫টি সেঞ্চুরি ও ৫৩টি ফিফটি করেছেন।


টিটুয়েন্টি ক্যারিয়ার



আন্তর্জাতিক টিটুয়েন্টিতে এবি ডিভিলিয়ার্স ৭৮ ম্যাচ খেলে ১০ফিফটিসহ মোট ১৬৭২ রান করেছেন।


ফাষ্টক্লাশ ক্যারিয়ার



ফাষ্টক্লাশ ক্রিকেটে এবি ডিভিলিয়ার্সের যথারীতি দারুণ সাফল্য রয়েছে।এই তারকা ব্যাটার নর্দানস,টাইটানস,মিডলসেকস,রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু, ব্রিসবেন হিটস,বার্বাডোস ট্রাইডেন্টসের মত বিখ্যাত  ক্লাব ও ফ্রাঞ্চাইজির হয়ে ফাষ্টক্লাশ ক্রিকেট খেলেছেন।


বিশেষ স্বীকৃতি


এবি ডিভিলিয়ার্সের ক্যারিয়ারে অসংখ্য পুরস্কার ও স্বীকৃতি রয়েছে। তাঁর ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা স্বীকৃতি হচ্ছে তিনি তিনবার আইসিসি ওডিআই প্লেয়ার অব দ্য ইয়ার (২০১০,২০১৪ ও ২০১৫) নির্বাচিত হন।



ডিভিলিয়ার্সের সেরা পাঁচ ইনিংস


ডিভিলিয়ার্সের ক্যারিয়ারের সেরা পাঁচ ইনিংসের পরিচয় এখানে তুলে ধরছি।


ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১৪৯ (২০১৫)


২০১৫ সালে ওয়েষ্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জোহানেসবার্গে ডিভিলিয়ার্স ১৪৯ রানের এক টনের্ডো ইনিংস খেলেন যেখানে ১৬টি ছক্কা ও ৯টি চারের মার ছিল।


ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১৬২ (সিডনি)



২০১৫ সালে সিডনিতে ওয়েষ্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ডিভিলিয়ার্স ৬২ বলে ১৬২ রানের এক দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন।সেই ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকা ৪০৮ রানের বিশাল টোটাল গড়তে সক্ষম হয়।



রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে ১৩৩(২০১৫)



২০১৫ সালে আইপিএলে ডিভিলিয়ার্স রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে ৫৯ বলে ১৩৩ রানের দারুণ এক ইনিংস উপহার দেন।



পাকিস্তানের বিপক্ষে ২৭৮ রান(২০১০)



ডিভিলিয়ার্স ২০১৫ সালে আবুধাবিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে এক টেষ্ট ম্যাচে ১০ ঘন্টা ক্রিজে কাটিয়ে ২৭৮ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন। উল্লেখ্য এই ম্যাচে শুরুতে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিংবিপর্যয় হয়েছিল।


অষ্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অপরাজিত ১০৮ (২০০৮)


২০০৮ সালে ডিভিলিয়ার্স অষ্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পারথে ১০৮ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন এবং এর উপর ভর করে দক্ষিণ আফ্রিকা ৪১৪ রানের বিশাল স্কোর চেজ করে রেকর্ড গড়ে।


সাম্প্রতিক চাকরির খবর

                                                                 



প্রিয় ক্রিকেট ডটকমঃ দেশের সুপরিচিত প্রাইভেট কমার্শিয়াল ব্যাংক "মধুমতি ব্যাংক লিমিটেড" এ সম্প্রতি ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি প্রোগ্রামের অধীনে নতুন জনবল নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। এখানে মধুমতি ব্যাংক লিমিটেডের নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হলো।




পদ : ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি।


যোগ্যতা : এমবিএম/এমবিএ অথবা স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যেকোন বিষয়ে মাষ্টার্স ডিগ্ৰি। এছাড়া শিক্ষাজীবনের তিনটি একাডেমিক পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণী বা সমমানের সিজিপিএ।


বয়স : সর্বোচ্চ ৩০ বছর।তবে মুক্তিযোদ্ধা/শহীদ মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ক্ষেএে বয়স সর্বোচ্চ ৩২ বছর।


দক্ষতা : এই পদে আবেদন করতে আগ্ৰহীদের নিম্নোক্ত দক্ষতা থাকতে হবে।


১.চমৎকার যোগাযোগ দক্ষতা।


২.কম্পিউটার চালনায় দক্ষতা।



চাকরির ধরণ : পূর্ণকালীন ।


বেতন : ৪৫,০০০ টাকা ।


কর্মস্থল : বাংলাদেশের যেকোন স্থান।



আবেদন প্রক্রিয়া: অনলাইন (ভিজিট https://career.modhumotibank.net) ।



আবেদনের শেষ তারিখ : ২৭/১১/২০২১



সূত্র : বিডিজবস ডটকম (www.bdjobs.com)



গাপটিল এখন শীর্ষ টি২০ ব্যাটার

                                                                  

                                                   ছবি : মার্টিন গাপটিল


প্রিয় ক্রিকেট ডটকমঃ আন্তর্জাতিক টিটুয়েন্টিতে এখন সবচেয়ে বেশি রান কিউই ব্যাটার মার্টিন গাপটিলের (৩২৪৮ রান)। এতদিন আন্তর্জাতিক টিটুয়েন্টির শীর্ষ ব্যাটার ছিলেন ভারতের বিরাট কোহলি(৩২২৭ রান)।তবে ভারতের বিপক্ষে চলমান টিটুয়েন্টি সিরিজে গাপটিল কোহলিকে ছাড়িয়ে যান।যদিও ভারতের বিপক্ষে চলমান টিটুয়েন্টি সিরিজে ইতিমধ্যে নিউজিল্যান্ড পরাজিত হয়েছে তবু ব্যাট হাতে গাপটিল নিজের পরিচিত ছন্দেই ছিলেন। আসুন আন্তর্জাতিক টিটুয়েন্টির শীর্ষ দশ ব্যাটারের সর্বশেষ পরিসংখ্যান দেখে নিই।




আন্তর্জাতিক টিটুয়েন্টির শীর্ষ দশ ব্যাটার



আন্তর্জাতিক টিটুয়েন্টির ( ম্যানস ) বিশ্বআসর সদ্যই শেষ হয়েছে। এবারের ম্যানস টিটুয়েন্টি বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে অষ্ট্রেলিয়া। সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী আন্তর্জাতিক টিটুয়েন্টির সেরা দশ ব্যাটারের তালিকায় নিউজিল্যান্ডের মার্টিন গাপটিল, ভারতের বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মা,অষ্ট্রেলিয়ার অ্যারন ফিঞ্চ, আয়ারল্যান্ডের পল স্টারলিংয়ের নাম উপরের দিকে রয়েছে। এখানে সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী আন্তর্জাতিক টিটুয়েন্টির শীর্ষ দশ ব্যাটারের রেকর্ড তুলে ধরছি।



মার্টিন গাপটিল



আন্তর্জাতিক টিটুয়েন্টির মারকুটে ও সফল ব্যাটারদের একজন নিউজিল্যান্ডের মার্টিন গাপটিল। সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী আন্তর্জাতিক টিটুয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি রানের মালিক এই ব্যাটার। গাপটিল ইতিমধ্যে ১১১টি আন্তর্জাতিক টিটুয়েন্টি ম্যাচ খেলে ৩২৪৮ রান সংগ্রহ করেছেন।



বিরাট কোহলি



আন্তর্জাতিক টিটুয়েন্টি ক্রিকেটের সবচেয়ে সেরা ব্যাটারদের একজন বিরাট কোহলি। ভারতের এই তারকা ব্যাটার আন্তর্জাতিক টিটুয়েন্টির শীর্ষ দশ ব্যাটারের তালিকায় রয়েছেন।কোহলি ইতিমধ্যে ৯৫টি আন্তর্জাতিক টিটুয়েন্টি ম্যাচ খেলে মোট ৩২২৭ রান করেছেন।




রোহিত শর্মা


আন্তর্জাতিক টিটুয়েন্টির সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী শীর্ষ দশ ব্যাটারের তালিকায় ভারতের মারকুটে ওপেনার রোহিত শর্মার নামটি রয়েছে।এই তারকা ব্যাটার ইতিমধ্যে ১১৮টি আন্তর্জাতিক টিটুয়েন্টি ম্যাচ খেলে মোট ৩১৪১ রান করেছেন।



অ্যারন ফিঞ্চ



অষ্ট্রেলিয়ার অ্যারন ফিঞ্চ আন্তর্জাতিক টিটুয়েন্টির শীর্ষ ব্যাটারদের একজন।সদ্যসমাপ্ত টিটুয়েন্টি বিশ্বকাপে এই তারকা ব্যাটার চমৎকার খেলেছেন। উল্লেখ্য আন্তর্জাতিক টিটুয়েন্টি ক্রিকেটের শীর্ষ দশ ব্যাটারের তালিকায় এই ব্যাটারের নামটিও রয়েছে। ফিঞ্চ ইতিমধ্যে ৮৩টি আন্তর্জাতিক টিটুয়েন্টি ম্যাচ খেলে মোট ২৬০৮ রান করেছেন।



পল স্টারলিং



আন্তর্জাতিক টিটুয়েন্টির শীর্ষ দশ ব্যাটারের তালিকায় আয়ারল্যান্ডের পল স্টারলিংয়ের নাম রয়েছে।এই তারকা ব্যাটার ইতিমধ্যে ৯২টি আন্তর্জাতিক টিটুয়েন্টি ম্যাচ খেলে মোট ২৫৭০ রান করেছেন।


ডেভিড ওয়ার্নার



আন্তর্জাতিক টিটুয়েন্টির জনপ্রিয় ব্যাটারদের একজন ডেভিড ওয়ার্নার। এবার অষ্ট্রেলিয়ার টিটুয়েন্টি বিশ্বকাপ শিরোপা জয়ে এই ব্যাটারের দারুণ ভূমিকা ছিল।ডেভিড ওয়ার্নার আন্তর্জাতিক টিটুয়েন্টিতে ইতিমধ্যে ৮৮ ম্যাচ খেলে মোট ২৫৫৪ রান করেছেন।



বাবর আজম



আন্তর্জাতিক টিটুয়েন্টির শীর্ষ দশ ব্যাটারের তালিকায় পাকিস্তানের ওপেনার বাবর আজমের নামটিও রয়েছে।এই তারকা ব্যাটার ইতিমধ্যে ৬৯টি আন্তর্জাতিক টিটুয়েন্টি ম্যাচ খেলে মোট ২৫১৫ রান করেছেন।



মোহাম্মদ হাফিজ



আন্তর্জাতিক টিটুয়েন্টির শীর্ষ (সর্বাধিক রানকারী) দশ ব্যাটারের তালিকায় পাকিস্তানের মোহাম্মদ হাফিজের নাম রয়েছে।এই তারকা ব্যাটার ইতিমধ্যে ১১৯ ম্যাচ খেলে মোট ২৫১৪ করেছেন।



শোয়েব মালিক



আন্তর্জাতিক টিটুয়েন্টির শীর্ষ দশ ব্যাটারের তালিকায় পাকিস্তানের অভিজ্ঞ ব্যাটার শোয়েব মালিকের নামটিও রয়েছে।এই তারকা ব্যাটার ইতিমধ্যে ১২৪ টি আন্তর্জাতিক টিটুয়েন্টি ম্যাচ খেলে মোট ২৪৩৫ রান করেছেন।



এউইন মরগান



ইংল্যান্ডের টিটুয়েন্টি অধিনায়ক এউইন মরগান আন্তর্জাতিক টিটুয়েন্টির জনপ্রিয় ব্যাটারদের মধ্যে অন্যতম ।এই তারকা ক্রিকেটার আন্তর্জাতিক টিটুয়েন্টির শীর্ষ দশ ব্যাটারের তালিকায়ও রয়েছেন। এউইন মরগান আন্তর্জাতিক টিটুয়েন্টিতে ইতিমধ্যে ১১৩ ম্যাচ খেলে মোট ২৪২৮ রান করেছেন।


বাংলাদেশ-পাকিস্তান টি২০ ও টেষ্ট রেকর্ড

                                                               



প্রিয় ক্রিকেট ডটকমঃ আগামীকাল ১৯ নভেম্বর আরেকটি বাংলাদেশ-পাকিস্তান ক্রিকেট লড়াই শুরু হতে যাচ্ছে। টিটুয়েন্টি  দিয়ে এবারের বাংলাদেশ-পাকিস্তান সিরিজ শুরু হবে। সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স বিবেচনায় এবারের পাকিস্তান টিম কিছুটা শক্তিশালী কারণ সদ্য সমাপ্ত টিটুয়েন্টি বিশ্বকাপে তাঁরা ভালো ক্রিকেট খেলেছে এদিক থেকে বাংলাদেশের টিটুয়েন্টি বিশ্বকাপ পারফরম্যান্স আশাব্যঞ্জক ছিল না।তবে দেশের মাটিতে বাংলাদেশ বরাবরই শক্তিশালী টিম এবং এদিক বিবেচনায় বলা যায় বাংলাদেশ ভালো কিছুই করবে।আসুন  পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের টিটুয়েন্টি ও টেষ্ট রেকর্ডগুলো দেখে নিই।



বাংলাদেশ-পাকিস্তান টিটুয়েন্টি রেকর্ড


টিটুয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স খুব বেশি আশাব্যঞ্জক নাহলেও দেশের মাটিতে বাংলাদেশকে পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে রাখতে হবে।যদিও এই সিরিজের বাংলাদেশ স্কোয়াড কিছুটা  তারুণ্যনির্ভর হবে।অন্যদিকে পাকিস্তান কিন্তু পূর্ণশক্তির টিম নিয়ে এসেছে।তাই সবকিছু বিবেচনায় এবার বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ টিটুয়েন্টি ক্রিকেট লড়াই  হতে যাচ্ছে বলে ধারণা করা যায়। বাংলাদেশ-পাকিস্তান টিটুয়েন্টি রেকর্ড এখানে তুলে ধরছি।


মোট টি২০ ম্যাচ


বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে ইতিমধ্যে ১২টি টিটুয়েন্টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে যেখানে ১০টি ম্যাচে পাকিস্তান জয়লাভ করেছে এবং ২টি ম্যাচে বাংলাদেশ জয়লাভ করেছে।



বাংলাদেশ-পাকিস্তান টেস্ট রেকর্ড


টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশ দেশের মাটিতে শক্তিশালী টিম হিসেবে স্বীকৃত।আর উইকেট ,কন্ডিশন ইত্যাদি বিবেচনায়ও টেষ্টে বাংলাদেশ পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে থাকবে। বাংলাদেশের টেস্ট স্কোয়াডে মুমিনুল হক, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুস্তাফিজ, তাইজুলের মত ইনফর্ম ব্যাটার ও বোলাররা রয়েছেন। এছাড়া ঢাকা ও চট্টগ্রামের উইকেট বাংলাদেশের পক্ষে থাকার সম্ভাবনাই বেশি। আসুন বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের টেস্ট রেকর্ডগুলো দেখে নিই।


মোট টেস্ট ম্যাচ


বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে ইতিমধ্যে ১১টি টেস্ট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে যেখানে ১০টি টেষ্টেই বাংলাদেশ পরাজিত হয়েছে। এছাড়া এই দুদলের মধ্যকার ১টি টেস্ট ম্যাচ ড্র হয়েছে।



পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের সেরা পারফরমার



পাকিস্তানের বিপক্ষে টি২০ ক্রিকেটে বাংলাদেশ প্রথম জয়লাভ করে ২০১৫ সালে। পাকিস্তানের বিপক্ষে টিটুয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশের ব্যাটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংসটি খেলেন সাকিব আল হাসান (৮৪ রান)। পাকিস্তানের বিপক্ষে ইতিমধ্যে বাংলাদেশের  যতগুলো টেস্ট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে সেখানে বাংলাদেশের হয়ে  সবচেয়ে বেশি রান করেছেন হাবিবুল বাশার সুমন (৬ টেষ্টে মোট ৫৫৪ রান)। পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্টে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস তামিম ইকবালের (২০৬ রান)। পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্টে সবচেয়ে বেশি উইকেট নিয়েছেন মোহাম্মদ রফিক (৩টেষ্টে ১৭ উইকেট)। পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্টে বাংলাদেশের একমাত্র বোলার হিসেবে হ্যাটট্রিক করেন অলক কাপালি(২০০৩ সালে পেশোয়ারে)।



বাংলাদেশ-পাকিস্তান সিরিজসূচি


১ম টিটুয়েন্টি - ১৯ নভেম্বর,২০২১ (ভেন্যু মিরপুর)


২য় টিটুয়েন্টি -২০ নভেম্বর,২০২১ (ভেন্যু মিরপুর)


৩য় টিটুয়েন্টি - ২২ নভেম্বর,২০২১ (ভেন্যু মিরপুর)



১ম টেস্ট - ২৬-৩০ নভেম্বর,২০২১ (ভেন্যু চট্রগ্রাম)


২য় টেস্ট - ৪-৮ ডিসেম্বর,২০২১ ( মিরপুর)




টি২০ বিশ্বকাপে ব্যাটেবলে সেরা দশ

                                                               





প্রিয় ক্রিকেট ডটকমঃ এবারের ম্যানস টিটুয়েন্টি বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে অষ্ট্রেলিয়া।অবশ্য এবারের টিটুয়েন্টি বিশ্বকাপে ব্যাটবলের লড়াইয়ে অষ্ট্রেলিয়ার পাশাপাশি নিউজিল্যান্ড, ইংল্যান্ড, পাকিস্তানও বেশ ভালো করেছে। যদিও শেষ হাসি হেসেছে অষ্ট্রেলিয়া। আসুন দেখে নিই এবারের টিটুয়েন্টি বিশ্বকাপে সেরা দশ ব্যাটার ও বোলারের পরিসংখ্যান।


টি২০ বিশ্বকাপের সেরা দশ ব্যাটার


২০২১ ম্যানস টিটুয়েন্টি বিশ্বকাপের ফ্ল্যাট উইকেট ব্যাটারদের জন্য বেশ সুবিধাজনক ছিল বলা যায়। এবং এবারের টিটুয়েন্টি বিশ্বকাপে ব্যাটারদের পরিসংখ্যান দেখলে বোঝা যায় তাঁরা বেশ সাবলিলভাবে ব্যাটিং করেছেন।তবে একটি বিষয় লক্ষণীয় ছিল যে এবারের টিটুয়েন্টি বিশ্বকাপের মন্থর ও স্পিনসহায়ক উইকেটে ভালো টেকনিকের ব্যাটাররা বেশি সাবলিল ছিলেন। এখানে ২০২১ টি২০ বিশ্বকাপের সেরা দশ ব্যাটারের পরিসংখ্যান তুলে ধরছি।


বাবর আজম 



এবারের টিটুয়েন্টি বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি রান করেছেন পাকিস্তানের ব্যাটার বাবর আজম।এই ব্যাটার ৬ ম্যাচ খেলে মোট ৩০৩ রান সংগ্রহ করেন।


ডেভিড ওয়ার্নার



এবারের টিটুয়েন্টি বিশ্বকাপে অষ্ট্রেলিয়ার শিরোপা জয়ে বামহাতি ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার দারুণ ভূমিকা পালন করেন।এই তারকা ব্যাটার তাঁর অসাধারণ ক্লাশ ও টেকনিক দিয়ে স্লো উইকেটে ব্যাটিং করেও ৭ ম্যাচে ২৮৯ রান সংগ্রহ করেন।



মোহাম্মদ রিজওয়ান



এবারের টিটুয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তানের মোহাম্মদ রিজওয়ান সেরা দশ ব্যাটারের তালিকায় রয়েছেন।এই চৌকস ব্যাটার ৬ ম্যাচ খেলে মোট ২৮১ রান সংগ্রহ করেন।



জস বাটলার



ইংল্যান্ডের মারকুটে ওপেনার জস বাটলার এবারের টিটুয়েন্টি বিশ্বকাপে চমৎকার ব্যাটিং করেন।এই ব্যাটার ৬ ম্যাচ খেলে ২৬৯ রান করেন।


চারিত আছালঙ্কা



শ্রীলঙ্কার ব্যাটার চারিত আছালঙ্কা এবারের টিটুয়েন্টি বিশ্বকাপে সেরা দশ ব্যাটারের তালিকায় রয়েছেন।এই ব্যাটার ৬ ম্যাচ খেলে মোট ২৩১ রান সংগ্রহ করেন।


ডেভিড উইজি



এবারের টিটুয়েন্টি বিশ্বকাপে নামিবিয়ার ব্যাটার ডেভিড উইজি ব্যাট হাতে চমক দেখান।এই ব্যাটার ৮ ম্যাচ খেলে ২২৭ রান সংগ্রহ করেন।


পাতুন নিশাঙ্কা



২০২১ ম্যানস টিটুয়েন্টি বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার সফল ব্যাটারদের মধ্যে পাতুন নিশাঙ্কা অন্যতম।নিশাঙ্কা এবারের টিটুয়েন্টি বিশ্বকাপে ৮ ম্যাচ খেলে মোট ২২১ রান সংগ্রহ করেন।



কেন উইলিয়ামসন



নিউজিল্যান্ডের এবারের টিটুয়েন্টি বিশ্বকাপে ফাইনালে যাওয়ার ক্ষেএে অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনের ব্যাটিংয়ের দারুণ ভূমিকা রয়েছে।এই তারকা ব্যাটার ৭ ম্যাচ খেলে মোট ২১৬ রান সংগ্রহ করেন।


ডারেল মিচেল



নিউজিল্যান্ডের তারকা ব্যাটার ডারেল মিচেল এবারের টিটুয়েন্টি বিশ্বকাপে চমৎকার ব্যাটিং করেন।এই ব্যাটার ৭ ম্যাচ খেলে মোট ২০৮ রান সংগ্রহ করেন।


মার্টিন গাপটিল



এবারের ম্যানস টিটুয়েন্টি বিশ্বকাপের সেরা দশ ব্যাটারের মধ্যে নিউজিল্যান্ডের মারকুটে  ওপেনার মার্টিন গাপটিল অন্যতম।এই ওপেনার ৭ ম্যাচ খেলে মোট ২০৮ রান সংগ্রহ করেন।



টি২০ বিশ্বকাপের সেরা দশ বোলার



যদিও বিশ্বকাপ শুরুর আগে ধারণা করা হয়েছিল যে এবারের ম্যানস টিটুয়েন্টি বিশ্বকাপে স্পিনাররা বেশি সফলতা পাবেন তবে বিশ্বকাপ সমাপ্তির পর দেখা গেছে শেষপর্যন্ত স্পিনার ও পেসার উভয় ধরণের বোলারই এবার ভালো করেছেন।তবে এবার সুইং বোলার ও লেগস্পিনাররা উইকেট শিকারে বেশি সফল ছিলেন। এবারের টিটুয়েন্টি বিশ্বকাপের সেরা দশ বোলারের পরিসংখ্যান এখানে তুলে ধরছি।



ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা



এবারের ম্যানস টিটুয়েন্টি বিশ্বকাপের সর্বাধিক উইকেট শিকারি ছিলেন শ্রীলঙ্কার তারকা লেগস্পিনার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা।এই বোলার ৮ ম্যাচে ১৬টি উইকেট শিকার করেন। উল্লেখ্য হাসারাঙ্গা এবারের টিটুয়েন্টি বিশ্বকাপে একটি হ্যাটট্রিকও করেন।


এডাম জাম্পা



এবারের টিটুয়েন্টি বিশ্বকাপে অষ্ট্রেলিয়ার শিরোপা জয়ে লেগস্পিনার এডাম জাম্পার বিশেষ ভূমিকা ছিল।এই তারকা লেগস্পিনার ৭ ম্যাচ খেলে মোট ১৩টি উইকেট নেন।


ট্রেন্ট বোল্ট



এবারের ম্যানস টিটুয়েন্টি বিশ্বকাপের সেরা দশ বোলারের তালিকায় নিউজিল্যান্ডের ট্রেন্ট বোল্টের নামটি রয়েছে।এই তারকা পেসার ৭ ম্যাচ খেলে মোট ১৩টি উইকেট নেন।


সাকিব আল হাসান



এবার টিটুয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের দলীয় পারফরম্যান্স আশাব্যঞ্জক না হলেও টাইগার স্পিনার  সাকিব আল হাসান বল হাতে বেশ সফল ছিলেন।এই তারকা বোলার ৬ ম্যাচ খেলে ১১টি উইকেট নেন।



মার্ক হার্জেলউড



অষ্ট্রেলিয়ার এবারের টিটুয়েন্টি বিশ্বকাপ শিরোপা জয়ে পেসার মার্ক হার্জেলউড দারুণ ভূমিকা পালন করেন।এই তারকা পেসার ৭ ম্যাচ খেলে মোট ১১টি উইকেট শিকার করেন।



এনরিক নরকিয়া



দক্ষিণ আফ্রিকার গতিতারকা এনরিক নরকিয়া এবারের টিটুয়েন্টি বিশ্বকাপের সেরা দশ বোলারের তালিকায় রয়েছেন।এই পেসার ৫ ম্যাচ খেলে মোট ৯টি উইকেট নেন।



শাদাব খান



পাকিস্তানের তারকা স্পিনার শাদাব খান এবারের ম্যানস টিটুয়েন্টি বিশ্বকাপে অসাধারণ বোলিং করেছেন। শাদাব খান ৬ ম্যাচ খেলে ৯টি উইকেট নেন।



আদিল রশিদ



এবারের ম্যানস টিটুয়েন্টি বিশ্বকাপের সেরা দশ বোলারের তালিকায় ইংল্যান্ডের তারকা লেগস্পিনার আদিল রশিদের নামটিও রয়েছে।এই বোলার ৬ ম্যাচ খেলে মোট ৯টি উইকেট শিকার করেন।


ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস



দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস এবারের ম্যানস টিটুয়েন্টি বিশ্বকাপে চমৎকার বোলিং করেন।এই পেসার ৫ ম্যাচ খেলে ৯টি উইকেট নেন।



জস ডেভি



এবারের ম্যানস টিটুয়েন্টি বিশ্বকাপের সেরা দশ বোলারের মধ্যে স্কটল্যান্ডের জস ডেভি অন্যতম।এই বোলার ৫ ম্যাচ খেলে মোট ৯টি উইকেট নেন।




টিটুয়েন্টি বিশ্বকাপের নতুন চ্যাম্পিয়ন অষ্ট্রেলিয়া



            

প্রিয় ক্রিকেট ডটকমঃ অবশেষে অষ্ট্রেলিয়া এবারের ম্যানস টিটুয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা জিতে নিল । ফাইনালে চিরপ্রতিদ্বন্দী নিউজিল্যান্ডকে পরাজিত করে অষ্ট্রেলিয়া এবারের টিটুয়েন্টি বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন    হওয়ার গৌরব অর্জন করে। উল্লেখ্য এটিই অষ্ট্রেলিয়ার প্রথম টিটুয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের রেকর্ড।এর আগে ওয়ানডে বিশ্বকাপে পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন হলেও অষ্ট্রেলিয়া টিটুয়েন্টি   বিশ্বকাপের শিরোপা এবারই প্রথম জিতল।    



টিটুয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল পরিসংখ্যান


২০০৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় আইসিসি ম্যানস টিটুয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম আসর বসে  ।প্রথম আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়  ভারত এবং রানার্সআপ হয় পাকিস্তান। ২০০৯ সালে আইসিসি ম্যানস টিটুয়েন্টি বিশ্বকাপের দ্বিতীয় আসর বসে ইংল্যান্ডে। দ্বিতীয় আসরে শিরোপা জয় করে পাকিস্তান এবং রানার্সআপ হয় শ্রীলঙ্কা।ম্যানস টিটুয়েন্টি বিশ্বকাপের তৃতীয় আসর বসে ওয়েষ্ট ইন্ডিজে ২০১০ সালে এবং সেই আসরে ইংল্যান্ড চ্যাম্পিয়ন এবং অষ্ট্রেলিয়া রানার্সআপ হয়।২০১২ সালে শ্রীলঙ্কায় আইসিসি ম্যানস টিটুয়েন্টি বিশ্বকাপের চতুর্থ আসর বসে এবং সেখানে ওয়েস্ট ইন্ডিজ চ্যাম্পিয়ন ও শ্রীলঙ্কা রানার্সআপ হয়। আইসিসি ম্যানস টিটুয়েন্টি বিশ্বকাপের পঞ্চম আসর ২০১৪ সালে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হয় এবং সেই আসরে শ্রীলঙ্কা চ্যাম্পিয়ন ও ভারত রানার্সআপ হয়।২০১৬ সালে ম্যানস টিটুয়েন্টি বিশ্বকাপের ষষ্ঠ আসর বসে ভারতে এবং সেই আসরে ওয়েষ্ট ইন্ডিজ চ্যাম্পিয়ন ও ইংল্যান্ড রানার্সআপ হয়। এবার (২০২১) আইসিসি ম্যানস টিটুয়েন্টি বিশ্বকাপের সপ্তম আসর সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ওমানে অনুষ্ঠিত হয় এবং ফাইনালে অষ্ট্রেলিয়া নিউজিল্যান্ডকে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হয়।



অষ্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপ রেকর্ড


একসময় অষ্ট্রেলিয়া ওয়ানডে বিশ্বকাপে বিশ্বের সবচেয়ে সফল টিম হিসেবে সমাদৃত ছিল। বিশেষত বিভিন্ন সময় ওয়াহ,রিকি পন্টিং,মাইকেল ক্লার্কের নেতৃত্বে অষ্ট্রেলিয়া স্বল্পদৈর্ঘ্যের ক্রিকেটে এক অনন্য পরাশক্তি হিসেবে স্বীকৃতি পায়। যদিও অষ্ট্রেলিয়া ম্যানস টিটুয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা এবারই প্রথম জিতল। উল্লেখ্য অষ্ট্রেলিয়া ওয়ানডে বিশ্বকাপে পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে।আসুন  অষ্ট্রেলিয়ার ম্যানস ক্রিকেট বিশ্বকাপ শিরোপা জয়ের পরিসংখ্যান দেখে নিই।


অ্যালান বোর্ডারের নেতৃত্বে ১৯৮৭ সালে অষ্ট্রেলিয়া ওয়ানডে বিশ্বকাপে প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন হয় ।


স্টিভ ওয়াহর নেতৃত্বে ১৯৯৯ সালে অষ্ট্রেলিয়া ওয়ানডে বিশ্বকাপে দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন হয়।


রিকি পন্টিংয়ের নেতৃত্বে ২০০৩ সালে অষ্ট্রেলিয়া ওয়ানডে বিশ্বকাপে তৃতীয়বার চ্যাম্পিয়ন হয়।



রিকি পন্টিংয়ের নেতৃত্বে ২০০৭ সালে অষ্ট্রেলিয়া চতুর্থবার ওয়ানডে বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়।


মাইকেল ক্লার্কের নেতৃত্বে ২০১৫ সালে অষ্ট্রেলিয়া পঞ্চমবার  ওয়ানডে বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়।


অ্যারন্স ফিন্সের নেতৃত্বে ২০২১ সালে অষ্ট্রেলিয়া ম্যানস টিটুয়েন্টি বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হল।



বাংলাদেশ-পাকিস্তান সিরিজসূচি

                                                                   





প্রিয় ক্রিকেট ডটকমঃএই মাসে্র ১৯ তারিখ(১৯ নভেম্বর) আরেকটি বাংলাদেশ-পাকিস্তান পূর্ণাঙ্গ ক্রিকেট সিরিজ শুরু হতে যাচ্ছে।এখানে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যকার আসন্ন ক্রিকেট সিরিজের (টেস্ট ও টিটুয়েন্টি) বিস্তারিত সিডিউল তুলে ধরা হলো। উল্লেখ্য এই সিরিজ খেলতে পাকিস্তান টিম ইতিমধ্যে ঢাকায় পৌঁছেছে।

সাম্প্রতিক চাকরির খবর

                                                                  



প্রিয় ক্রিকেট ডটকমঃ দেশের সুপরিচিত প্রাইভেট কমার্শিয়াল ব্যাংক 'পদ্মা ব্যাংক লিমিটেডে' নতুন জনবল নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। আসুন পদ্মা ব্যাংক লিমিটেডে' এর নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির বিস্তারিত তথ্য জেনে নিই।


পদ : ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি অফিসার


পদসংখ্যা : অনির্দিষ্ট


যোগ্যতা : যেকোন স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সব একাডেমিক পরীক্ষায় ন্যূনতম ৩.০০ সিজিপিএসহ স্নাতকোত্তর ডিগ্রি।


দক্ষতা : বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় যথাযথ দক্ষতা থাকতে হবে। চমৎকার যোগাযোগ দক্ষতা থাকতে হবে। কম্পিউটার চালনায় দক্ষতা থাকতে হবে।


বয়স : ৩১.১০.২০২১ তারিখে সর্বোচ্চ ৩০ বছর।


বেতন : ৫০,০০০ টাকা।


কর্মস্থল : বাংলাদেশের যেকোন স্থান 


আবেদন প্রক্রিয়া : অনলাইন (ভিজিট www.padmabankbd.com/career-job-openings)।


আবেদনের শেষ তারিখ : ৩০ নভেম্বর,২০২১।


সূত্র : বিডিজবস ডটকম (www.bdjobs.com)



দেশের প্রথম ট্রিপল সেঞ্চুরিয়ানের মূত্যু

                                                                


প্রিয় ক্রিকেট ডটকমঃ বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের প্রথম ট্রিপল সেঞ্চুরিয়ান তারিকুজ্জামান মুনির সম্প্রতি মৃত্যুবরণ করেছেন।১৯৮৪-৮৫ জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ ক্রিকেটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হয়ে এক ম্যাচে ৩০৮ রান করে দেশের ক্রিকেটে প্রথম ট্রিপল সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েন এই ক্রিকেটার।


ক্রিকেট ক্যারিয়ার


তারিকুজ্জামান মুনির খেলোয়াড়ি জীবনে আবাহনী, মোহামেডান,বিমানের মত বড় ক্লাবে খেলেছেন। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুটি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচও খেলেছেন এই ক্রিকেটার। পরবর্তীতে খেলা ছেড়ে দেয়ার পর বিসিবির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।

টিটুয়েন্টিতে রশিদ খানের দ্রুততম ৪০০ উইকেট

                                                                 



প্রিয় ক্রিকেট ডটকমঃ টিটুয়েন্টি ক্রিকেটের জনপ্রিয় ও সফল বোলারদের মধ্যে আফগানিস্তানের লেগস্পিনার রশিদ খান অন্যতম। টিটুয়েন্টি ক্রিকেটে রশিদ খানের মত সফল স্পিনার খুবই কম। এই আফগান লেগি সম্প্রতি টিটুয়েন্টি ক্রিকেটে দ্রুততম ৪০০ উইকেট শিকারের রেকর্ড গড়েছেন। এবারের ম্যানস টিটুয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের শেষ ম্যাচে  রশিদ খান স্বীকৃত টিটুয়েন্টি ক্রিকেটে ৪০০ উইকেট নেয়ার কৃতিত্ব অর্জন করেন। উল্লেখ্য স্বীকৃত টিটুয়েন্টিতে  ৪০০ উইকেট নিতে রশিদ খান ২৮৯টি টিটুয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন যা সবচেয়ে দ্রুততম।



টিটুয়েন্টিতে শীর্ষ দ্রুততম  ৪০০ উইকেটশিকারি 


টিটুয়েন্টি ক্রিকেট বোলারদের জন্য এমনিতেই বেশ চ্যালেঞ্জিং। এখানে  ডটবল , পাওয়ার প্লে বোলিং ,দ্রুত উইকেট নেয়া ইত্যাদি অনেক কিছু মাথায়  নিয়ে একজন বোলারকে বল করতে হয়।আর এসব জটিল হিসেবের ভেতরেও অনেক তারকা বোলার টিটুয়েন্টি ক্রিকেটে দারুণ বোলিং করছেন।আসুন দেখে নিই স্বীকৃত টিটুয়েন্টি ক্রিকেটে দ্রুততম ৪০০ উইকেটশিকারি তিন বোলারের পরিসংখ্যান।


১.রশিদ খান - ২৮৯ ম্যাচে ৪০০ উইকেট (অর্থাৎ স্বীকৃত টিটুয়েন্টিতে ৪০০ উইকেট শিকার করতে রশিদ খানের ২৮৯ টি ম্যাচ খেলতে হয়েছে।)


২.ইমরান তাহির - ৩২০ ম্যাচে ৪০০ উইকেট (অর্থাৎ ইমরান তাহিরকে স্বীকৃত টিটুয়েন্টিতে ৪০০ উইকেট শিকার করতে ৩২০ ম্যাচ খেলতে হয়েছে।)


৩.সুনীল নারাইন - ৩৬২ ম্যাচে ৪০০ উইকেট (অর্থাৎ সুনীল নারাইনকে স্বীকৃত টিটুয়েন্টিতে ৪০০ উইকেট শিকার করতে ৩৬২ ম্যাচ খেলতে হয়েছে।)



টিটুয়েন্টির শীর্ষ পাঁচ বোলার


আসুন সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী স্বীকৃত টিটুয়েন্টির শীর্ষ (সর্বোচ্চ উইকেট) পাঁচ বোলারের রেকর্ড দেখে নিই।


ডোয়াইন ব্রাভো


স্বীকৃত টিটুয়েন্টি ক্রিকেটে এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি উইকেট শিকারি বোলার ওয়েষ্ট ইন্ডিজের ডোয়াইন ব্রাভো।ব্রাভো ইতিমধ্যে ৫২১টি টিটুয়েন্টি ম্যাচ খেলে মোট ৫৫৩টি উইকেট নিয়েছেন।


সুনীল নারাইন

 
স্বীকৃত টিটুয়েন্টি ক্রিকেটে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেটের মালিক উইন্ডিজ স্পিনার সুনীল নারাইন।নারাইন ৩৮৩ ম্যাচ খেলে মোট ৪২৫টি উইকেট নিয়েছেন।


ইমরান তাহির


দক্ষিণ আফ্রিকার তারকা লেগস্পিনার ইমরান তাহির স্বীকৃত টিটুয়েন্টিতে তৃতীয় সর্বোচ্চ উইকেটের মালিক (৩৩৪ ম্যাচে ৪২০ উইকেট)।


রশিদ খান


তারকা আফগান লেগস্পিনার রশিদ খান স্বীকৃত টিটুয়েন্টির চতুর্থ সর্বোচ্চ উইকেটের মালিক। রশিদ খান ইতিমধ্যে ২৮৯টি টিটুয়েন্টি ম্যাচ খেলে ৪০০টি উইকেট নিয়েছেন।


সাকিব আল হাসান


বাংলাদেশের তারকা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান স্বীকৃত টিটুয়েন্টির পঞ্চম সর্বোচ্চ উইকেটের মালিক। সাকিব আল হাসান ইতিমধ্যে ৩৫১টি টিটুয়েন্টি ম্যাচ খেলে ৩৯৮টি উইকেট নিয়েছেন।

টিটুয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে তিন সুপার জায়ান্টের বিদায়

                                                                  



প্রিয় ক্রিকেট ডটকমঃ অবশেষে এবারের (২০২১) ম্যানস টিটুয়েন্টি বিশ্বকাপের চার সেমিফাইনালিষ্ট চূড়ান্ত হয়ে গেল। এবারের টিটুয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলবে চার টিম -ইংল্যান্ড, পাকিস্তান, নিউজিল্যান্ড ও অষ্ট্রেলিয়া। এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথা হলো এই চার টিম বিশ্বকাপের আগে থেকেই সম্ভাব্য সেরা টিমগুলোর অন্যতম হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।যদিও এবার টিটুয়েন্টি বিশ্বকাপে সবচেয়ে ফেবারিট হিসেবে স্বীকৃত ভারত সেমিফাইনালের আগেই বিদায় নিয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজকে নিয়েও অনেকে অনেক সম্ভাবনার কথা বলেছেন তবে এই দুই শক্তিশালী টিমও সেমিফাইনালের আগেই বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিয়েছে।এই লেখায় ২০২১ টিটুয়েন্টি বিশ্বকাপে  তিন সুপার জায়ান্টের (ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ) ব্যর্থতার কারণগুলো খুঁজবো।



ভারতের ব্যর্থতার কারণ


এবারের ম্যানস টিটুয়েন্টি বিশ্বকাপের মূল আয়োজক ভারত।যদিও ভেন্যু মধ্যপ্রাচ্য। এছাড়া বর্তমান টিটুয়েন্টি ক্রিকেটে শক্তিশালী টিমগুলোর একটি ভারত। উপরন্তু এবারের টিটুয়েন্টি বিশ্বকাপের উইকেট ব্যাটিং সহায়ক,স্পিন সহায়ক । এবং এসবকিছু বিবেচনায় ধারণা করা হয়েছিল যে ভারত অন্তত ফাইনালে যাবে।তবে বাস্তবতা হচ্ছে ভারত সেমিফাইনালের আগেই টিটুয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিয়েছে। ভারতের টিটুয়েন্টি বিশ্বকাপে ব্যর্থতার পেছনে বেশকিছু কারণ পাওয়া যায়।প্রথমত সদ্যই আইপিএল শেষ হয়েছে ফলে ভারতের প্লেয়াররা সম্ভবত কিছুটা ক্লান্ত ছিল। রোহিত শর্মা,বিরাট কোহলি,শার্দুল ঠাকুরদের শরীরের ভাষায় ক্লান্তির ছাপ দেখা গেছে। ভারতের এবারের টিটুয়েন্টি বিশ্বকাপে ব্যর্থতার দ্বিতীয় কারণ সম্ভবত উইকেট বুঝতে না পারা । ভারতের টিম ম্যানেজমেন্ট সম্ভবত  সুপার টুয়েলভের প্রথমদিকের ম্যাচগুলোতে উইকেট বুঝতে পারেনি।আর এখানেই তারা পিছিয়ে পড়েছে। ভারতের বিশ্বকাপ ব্যর্থতার আরো একটি কারণ সম্ভবত অতি আত্নবিশ্বাস। মধ্যপ্রাচ্যের উইকেটে সদ্যই আইপিএল খেলা হয়েছে তাই ভারতীয় টিমে অতিরিক্ত আত্নবিশ্বাসের সমস্যা হয়তো ছিল।আর উপরিউক্ত কারণগুলো এবার ভারতের টিটুয়েন্টি বিশ্বকাপ স্বপ্নকে ব্যর্থ করেছে।




দক্ষিণ আফ্রিকার বিদায়ের কারণ



এবারের টিটুয়েন্টি বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকা বেশ পজিটিভ ক্রিকেট খেলেছে।ডুসেন,মার্করাম,মিলার,নরকিয়া,রাবাদা,সামসি প্রত্যেকেই চমৎকার খেলেছে।ধারণা করা হয়েছিল যে এবার মনে হয় দক্ষিণ আফ্রিকা টিটুয়েন্টি বিশ্বকাপে দারুণ কিছু করবে।তবে শেষপর্যন্ত দলটি সেমিফাইনালের আগেই বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিল। টিটুয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে দক্ষিণ আফ্রিকার আগাম বিদায়ের পেছনে  প্রথমত টিটুয়েন্টি বিশ্বকাপ নিয়ে তাদের ভালো ও সূক্ষ পরিকল্পনার অভাব দায়ি। টিটুয়েন্টি বিশ্বকাপ নিয়ে  দক্ষিণ আফ্রিকার টিম ম্যানেজমেন্টের পরিকল্পনায় কমতি ছিল। তাছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকার চোকার্স চরিত্র এবারও তাদের সঙ্গী হয়েছে। কিছু ম্যাচে তাদের রানরেট কম ছিল ফলে ম্যাচ জিতলেও চূড়ান্ত পরিসংখ্যানে তারা সেমি থেকে বাদ পড়ে যায়। এক্ষেত্রে দক্ষিণ আফ্রিকার শুরু থেকেই রানরেট নিয়ে ভালো পরিকল্পনা থাকা উচিত ছিল। এবং তাদের টপঅর্ডারে দারুণ সব হাডহিটার রয়েছে তাই আরো ভালো পরিকল্পনা নিয়ে খেললে তাদের পক্ষে সেমিতে যাওয়ার সুযোগ ছিল।



ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যর্থতার কারণ



শুধুমাএ তারকা প্লেয়ার দিয়ে যে টিটুয়েন্টি ক্রিকেটে জয়ী হওয়া যায় না ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবার টিটুয়েন্টি বিশ্বকাপে তার প্রমাণ দিয়েছে।এবারের টিটুয়েন্টি বিশ্বকাপের ডিপেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ওয়েষ্ট ইন্ডিজ খুব বাজেভাবে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিয়েছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবার টিটুয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে পাঁচ ম্যাচের চারটিতেই হেরেছে। এবং এর পেছনে বেশকিছু কারণ পাওয়া যায়।প্রথমত টিমে বয়স্ক প্লেয়ারের আধিক্য ওয়েস্ট ইন্ডিজকে এবার ডুবিয়েছে। গেইল,রাসেল,ব্রাভোর বয়স হয়েছে এবং টিম এদের উপর অতিমাত্রায় নির্ভরশীল ছিল।ফলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে ভালো ক্রিকেট খেলা সম্ভব হয়নি।অর্থাৎ এবারের টিটুয়েন্টি বিশ্বকাপে উইন্ডিজদের ব্যর্থতার পেছনে ভুল বিশ্বকাপ স্কোয়াড একটি বড় কারণ ছিল। বরং গেইলের বদলে সিমন্সকে নিয়মিত ওপেন করালে হয়তো ভালো হতো।আন্দ্রে রাসেলের বদলে তরুণ কাউকে সুযোগ দিলে সেটি অধিক যুক্তিযুক্ত হতো। বোলিংয়ে  শেলডন কটরেলকে নিয়মিত খেলানো উচিত ছিল। এসবকিছু বিবেচনায় বলা যায় এবারের টিটুয়েন্টি বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের টিম সিলেকশনে, ওভারওল গেমপ্ল্যানে  ভুল ছিল যা মূলত তাদেরকে বিশ্বকাপে পিছিয়ে দিয়েছে।


সাম্প্রতিক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি

                                                       



প্রিয় ক্রিকেট ডটকমঃ বাংলাদেশ রেলওয়ের" সহকারী স্টেশনমাস্টার" পদে জনবল নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। রেলওয়ের নতুন এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির বিস্তারিত তথ্য এখানে তুলে ধরছি।


পদ : সহকারী স্টেশনমাষ্টার



পদসংখ্যা : ৫৬০



যোগ্যতা : যেকোন স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অন্যুন  দ্বিতীয় শ্রেণী বা সমমানের সিজিপিএসহ স্মাতক ডিগ্রি।



বয়স : ১৮-৩০। তবে গত ২৫ মার্চ ২০২০ তারিখে যাদের বয়স ৩০ বছর পূর্ণ হয়েছে তাঁরাও আবেদন করতে পারবেন। এছাড়া মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও শারীরিক প্রতিবন্ধীদের ক্ষেএে বয়স সর্বোচ্চ ৩২ বছর।


বেতনস্কেল : ৯,৭০০ -২৩,৪৯০ টাকা


আবেদন প্রক্রিয়া : অনলাইন ( ভিজিট http://br.teletalk.com.bd) । 


আবেদন ফি :  আবেদনের ৭২ ঘন্টার মধ্যে টেলিটক সিমের মাধ্যমে ১১২ টাকা পাঠাতে হবে।


আবেদনের শেষ তারিখ : ২২ নভেম্বর,২০২১ (বিকাল ৫টা)



সূত্র : প্রথম আলো অনলাইন






ভারতের মূল কোচ এখন রাহুল দ্রাবিড়

                                                               



প্রিয় ক্রিকেট ডটকমঃ ভারত জাতীয় ক্রিকেট দলের নতুন কোচের দায়িত্ব পেয়েছেন সাবেক তারকা ব্যাটার রাহুল দ্রাবিড়।চলতি টিটুয়েন্টি বিশ্বকাপের পর বর্তমান কোচ রবি শাস্ত্রী আর ভারতের মূল কোচের দায়িত্বে থাকছেন না তাই এই পদে সাবেক তারকা ব্যাটার রাহুল দ্রাবিড়কে নিয়োগ দিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। রাহুল দ্রাবিড় খেলোয়াড়ি জীবনে অসামান্য টেকনিক এবং অনন্য ব্যাটিং স্টাইলের জন্য বিখ্যাত । এমনকি টেস্ট ক্রিকেট ব্যাটিংয়ের ইতিহাসে দ্রাবিড় বলতে একটি স্বতন্ত্র অধ্যায়কেই বোঝায়। রাহুল দ্রাবিড় টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে সর্বাধিক রান সংগ্রাহকদের একজন । আসুন  সাবেক এই তারকা ব্যাটারের ক্যারিয়ারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রেকর্ড জেনে নিই।


,

টেস্ট ক্যারিয়ার


রাহুল দ্রাবিড়কে বলা হয় ক্রিকেটের দ্য ওয়াল।খেলোয়াড়ি জীবনে এই কুল ব্যাটার ৩১,২৫৪টি বল মোকাবেলা করেছেন যা আর কোন ব্যাটার করতে পারেননি। এছাড়া টেস্ট ক্রিকেটে রাহুল দ্রাবিড় মোট ৪৪,১৫২ মিনিট ক্রিজে কাটিয়েছেন যে রেকর্ড টেষ্ট ইতিহাসে আর কোন ব্যাটারের নেই। টেস্ট ক্রিকেটে দ্রাবিড় ও শচীন টেন্ডুলকার জুটি ক্রিকেটের এক অবিশ্বাস্য সফল জুটি হিসেবে স্বীকৃত। রাহুল দ্রাবিড় মোট ১৬৪টি টেস্ট খেলেছেন যেখানে তাঁর মোট রানসংখ্যা ১৩,২৮৮। টেস্ট ক্রিকেটে এই ব্যাটারের ৩৬টি সেঞ্চুরি ও ৬৩টি ফিফটি রয়েছে।



ওয়ানডে ক্যারিয়ার



ওয়ানডে ক্রিকেটেও দ্রাবিড়ের দারুণ সাফল্য রয়েছে। রাহুল দ্রাবিড় ৩৪৪টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছেন যেখানে তাঁর মোট রানসংখ্যা ১০,৮৮৯। এছাড়া ওয়ানডে ক্রিকেটে এই ব্যাটারের ১২টি সেঞ্চুরি ও ৮৩টি ফিফটি রয়েছে।



টিটুয়েন্টি ক্যারিয়ার



রাহুল দ্রাবিড় একটি আন্তর্জাতিক  টিটুয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন যেখানে তাঁর ব্যাট থেকে ৩১রান এসেছে।



ফাষ্টক্লাস ক্যারিয়ার



রাহুল দ্রাবিড়ের অসামান্য ফাষ্টক্লাস ক্যারিয়ার রয়েছে। তিনি কর্ণাটক,কেন্ট,মেরিলিবোর্ন ক্রিকেট ক্লাব, রাজস্থান রয়্যালসের মত বিখ্যাত ক্লাব ও ফ্রাঞ্চাইজির হয়ে ফাষ্টক্লাস ক্রিকেট খেলেছেন।এই ব্যাটার ফাষ্টক্লাস ক্রিকেটে ২৯৮টি ম্যাচ খেলেছেন যেখানে তাঁর মোট রানসংখ্যা ২৩,৭৯৪।ফাষ্টক্লাস ক্রিকেটে এই তারকা ব্যাটারের ৬৮টি সেঞ্চুরি ও ১১৭টি ফিফটি রয়েছে।



কোচিং ক্যারিয়ার



রাহুল দ্রাবিড় ২০১৬-২০১৯ পর্যন্ত ভারত আন্ডারনাইটিন ও এ টিমের হেডকোচ ছিলেন। তাঁর অধীনে ভারত আন্ডারনাইটিন টিম ২০১৬ সালে আন্ডারনাইটিন বিশ্বকাপে রানার্সআপ হয় এবং ২০১৮ আন্ডারনাইটিন বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়।





ক্রিকেট থেকে আজগর আফগানের অবসর

                                                                



প্রিয় ক্রিকেট ডটকমঃ  চলমান টিটুয়েন্টি বিশ্বকাপের মাঝপথেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন আফগানিস্তানের তারকা অলরাউন্ডার আজগর আফগান। উল্লেখ্য আজগর আফগান আফগানিস্তানের ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সফল অধিনায়ক হিসেবেও পরিচিত।আসুন আজগর আফগানের ক্যারিয়ারের উল্লেখযোগ্য বিভিন্ন তথ্য জেনে নিই।


আজগর আফগানের ক্যারিয়ার


আজগর আফগান আফগানিস্তানের সেরা অলরাউন্ডারদের একজন হিসেবে স্বীকৃত। এছাড়া অধিনায়ক হিসেবে তাঁর দারুণ সফলতা রয়েছে।আজগর আফগানের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় ২০০৯ সালে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে। পরবর্তীতে এই তারকা অলরাউন্ডার ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটেই আফগানিস্তানের প্রতিনিধিত্ব করেন ।২০১৫ সালে তিনি আফগানিস্তানের অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পান। আফগানিস্তানের অধিনায়ক হিসেবে তিনি ১১৫টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর নেতৃত্বে আফগান টিম ২টি টেস্ট,৩৪টি ওয়ানডে এবং ৪২টি টিটুয়েন্টি ম্যাচ জিতেছে।


টেস্ট ক্যারিয়ার


আজগর আফগান ৬টি টেস্ট খেলেছেন যেখানে তাঁর মোট  রানসংখ্যা (১টি সেঞ্চুরি ও ৩টি ফিফটিসহ) ৪৪০।



ওয়ানডে ক্যারিয়ার


আজগর আফগান ১১৪টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছেন যেখানে তাঁর মোট রানসংখ্যা (১টি সেঞ্চুরি ও ১২টি ফিফটিসহ) ২৪২৪। এছাড়া এই তারকা অলরাউন্ডার বল হাতে ৩টি উইকেট নিয়েছেন।



টিটুয়েন্টি ক্যারিয়ার


আজগর আফগান আফগানিস্তানের হয়ে ৭৫টি আন্তর্জাতিক টিটুয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন যেখানে তাঁর মোট রানসংখ্যা (৪ফিফটিসহ) ১৩৮২। এছাড়া বল হাতে নিয়েছেন ১টি উইকেট।




সাম্প্রতিক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি

                                                             


প্রিয় ক্রিকেট ডটকমঃ সম্প্রতি বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের 'ফায়ার ফাইটার' পদে জনবল নিয়োগের জন্য  বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।এই পদে বাংলাদেশের সকল জেলার আগ্ৰহী প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। আসুন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির বিস্তারিত তথ্য জেনে নিই।


পদ : ফায়ার ফাইটার (পুরুষ)


পদসংখ্যা : ২৮৯টি


শিক্ষাগত যোগ্যতা : দ্বিতীয় বিভাগ বা সমমানের জিপিএসহ এসএসসি পাশ।


শারীরিক যোগ্যতা : ন্যূনতম উচ্চতা ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি এবং বুকের মাপ ৩২ ইঞ্চি


বয়স :২০২০ সালের ২৫ মার্চ তারিখে প্রার্থীর বয়স ১৮-২০ বছর তবে ১ নভেম্বর ২০২১ তারিখে যাদের বয়স সর্বোচ্চ ১৮-২০ বছর তারাও আবেদন করতে পারবেন। এছাড়া মুক্তিযোদ্ধা/শহীদ মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ক্ষেএে ২৫ মার্চ ২০২০ তারিখে বয়স সর্বোচ্চ ৩২ বছর।


বেতনস্কেল : ৯০০০-২১৮০০ টাকা 


বৈবাহিক অবস্থা : অবিবাহিত


আবেদন প্রক্রিয়া : অনলাইন (ভিজিট fscd.teletalk.gov.bd)


আবেদনের তারিখ : ২ নভেম্বর ২০২১ থেকে ২৪ নভেম্বর ২০২১ পর্যন্ত 


সূত্র : প্রজবসবিডি



হ্যাপি বার্থডে ভিভিএস লক্ষণ ও মোঃ সাইফুদ্দিন

                               

                                  ছবি: ভিভিএস লক্ষ্মণ


প্রিয় ক্রিকেট ডটকমঃআজ ১ নভেম্বর , ভারতের সাবেক তারকা ব্যাটসম্যান ভিভিএস লক্ষণের জন্মদিন।ভিভিএস লক্ষণ ভারত তথা ক্রিকেট বিশ্বের সর্বকালের সেরা  লংগার ভার্সন ব্যাটসম্যানের একজন হিসেবে স্বীকৃত।প্রিয় ক্রিকেট ডটকম'এর পক্ষ থেকে এই গ্ৰেট ব্যাটসম্যানকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।

                                                   

                            ছবি : মোঃ সাইফুদ্দিন



আজ বাংলাদেশের পেসবোলিং অলরাউন্ডার মোঃ সাইফুদ্দিনের জন্মদিন। মোঃ সাইফুদ্দিন বাংলাদেশের পেসবোলিং অলরাউন্ডার হিসেবে এই সময়ের এক সেরা আবিষ্কার।  প্রিয় ক্রিকেট ডটকম'এর পক্ষ থেকে এই তারকা ক্রিকেটারকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।


রশিদ খানের দ্রুততম শত উইকেট

                                                                 


প্রিয় ক্রিকেট ডটকমঃ এই সময়ের ক্রিকেটের সবচেয়ে চৌকস লেগিদের মধ্যে আফগানিস্তানের রশিদ খান উল্লেখযোগ্য এক উদাহরণ। অসাধারণ লেগস্পিন ও চমৎকার বুদ্ধিদীপ্ত ভেলিভারি এই বোলারকে দিয়েছে এক অনন্য উচ্চতা।সম্প্রতি রশিদ খানের রেকর্ডের খাতায় নতুন এক অধ্যায় যুক্ত হয়েছে। সম্প্রতি টিটুয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে টিটুয়েন্টি ক্রিকেটে দ্রুততম সময়ে শত উইকেট শিকারের রেকর্ড গড়েন এই জনপ্রিয় লেগস্পিনার। টিটুয়েন্টি ক্রিকেটে ১০০ উইকেট নিতে তাকে ৫৩টি ইনিংস খেলতে হয়েছে।এতো কম ইনিংস খেলে টিটুয়েন্টি ক্রিকেটে আর কোন বোলার শত উইকেট নিতে পারেননি।



টিটুয়েন্টিতে চার দ্রুততম শত উইকেটশিকারি বোলার


টিটুয়েন্টি ক্রিকেটে সবচেয়ে কম ইনিংস খেলে শত উইকেট শিকারির তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন আফগানিস্তানের তারকা লেগস্পিনার রশিদ খান (৫৩ ইনিংসে ১০০ উইকেট)। টিটুয়েন্টি ক্রিকেটে দ্রুততম শত উইকেটশিকারির তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন সাবেক লংকান স্পিডস্টার লাসিথ মালিঙ্গা ( ৭৬ ইনিংসে ১০০ উইকেট)। টিটুয়েন্টি দ্রুততম শত উইকেটশিকারি বোলারের তালিকায় শীর্ষ চারে রয়েছেন নিউজিল্যান্ডের তারকা পেসার টিম সাউদি (৮২ ইনিংসে ১০০ উইকেট)। টিটুয়েন্টি ক্রিকেটে দ্রুততম শত উইকেটশিকারি বোলারের তালিকায় শীর্ষ চারে বাংলাদেশের তারকা স্পিনার সাকিব আল হাসানের নামও রয়েছে (৮৩ ইনিংসে ১০০ উইকেট)।



টিটুয়েন্টি ক্রিকেটের শীর্ষ পাঁচ বোলার


আসুন জেনে নিই আন্তর্জাতিক টিটুয়েন্টি ক্রিকেটে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি পাঁচ বোলারের পরিসংখ্যান।


১.সাকিব আল হাসান(বাংলাদেশ) - ৯৪ ম্যাচে ১১৭ উইকেট

২.লাসিথ মালিঙ্গা(শ্রীলঙ্কা) - ৮৪ ম্যাচে ১০৭ উইকেট

৩.রশিদ খান(আফগানিস্তান) - ৫৪ ম্যাচে ১০২ উইকেট

৪.টিম সাউদি (নিউজিল্যান্ড)- ৮৫ ম্যাচে ১০১ উইকেট

৫.শহিদ আফ্রিদি(পাকিস্তান) - ৯৯ ম্যাচে ৯৮ উইকেট