WHAT'S NEW?
Loading...

টিটুয়েন্টিতে পোলার্ডের নতুন রেকর্ড

                                                                   


প্রিয় ক্রিকেট ডটকমঃ টিটুয়েন্টি ক্রিকেটের জনপ্রিয় মুখ কিয়েরন পোলার্ড সম্প্রতি এক অনন্য রেকর্ড গড়েছেন। টিটুয়েন্টি ক্রিকেটে প্রথম ও একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে একই সাথে ১০ হাজার রান ও ৩০০ উইকেট শিকারের এক অনন্য নজির গড়েছেন পোলার্ড। উল্লেখ্য টিটুয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে এই রেকর্ড আরো কারো নেই। আসুন পোলার্ডের টিটুয়েন্টি ক্যারিয়ার ও বিভিন্ন রেকর্ড সম্পর্কে জেনে নিই।


পোলার্ডের টিটুয়েন্টি ক্যারিয়ার


টিটুয়েন্টিতে সবচেয়ে সফল ক্রিকেটারদের মধ্যে কিয়েরন পোলার্ড অন্যতম। অসাধারণ ব্যাটসম্যান এবং গুড হিটার হিসেবে পোলার্ড বিশ্বব্যাপী টিটুয়েন্টি ক্রিকেটের এক জনপ্রিয় মুখ। এছাড়া চৌকস ও বুদ্ধিমান টিটুয়েন্টি বোলার হিসেবেও এই উইন্ডিজ গ্ৰেট সমাদৃত।


পোলার্ডের টিটুয়েন্টি ক্যারিয়ার


কিয়েরন পোলার্ড শুধু বিগহিটার হিসেবে সমাদৃত তা না সেইসাথে কুল ফিনিশার হিসেবে  বিশ্বব্যাপী টিটুয়েন্টি ক্রিকেটে তাঁর সুনাম রয়েছে। এছাড়া টিটুয়েন্টি ক্রিকেটের এক বুদ্ধিমান বোলার হিসেবে তাঁর সুনাম রয়েছে।এই তারকা অলরাউন্ডার ইতিমধ্যে ৮৮টি আন্তর্জাতিক টিটুয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন যেখানে তাঁর মোট রানসংখ্যা (৬ ফিফটিসহ)১৩৭৮ । এছাড়া আন্তর্জাতিক টিটুয়েন্টিতে পোলার্ড বল হাতে ৩৮টি উইকেট নিয়েছেন।তবে মোট হিসেবে পোলার্ড ইতিমধ্যে সবধরণের স্বীকৃত টিটুয়েন্টি ক্রিকেটে ব্যাট হাতে ১০হাজারের বেশি রান করেছেন এবং বল হাতে মোট ৩০০টির বেশি উইকেট নিয়েছেন যা টিটুয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে আরো কারো নেই।



পোলার্ডের কিছু অনন্য রেকর্ড


কিয়েরন পোলার্ড টিটুয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে বিচিত্র চরিএগুলোর একটি।যেমন ব্যাট হাতে তাঁর অবিশ্বাস্য সফলতা রয়েছে তেমনি বল হাতে রেখে চলেছেন গুরুত্বপূর্ণ অবদান। এছাড়া ফিল্ডার হিসেবেও তাঁর চমৎকার সফলতা রয়েছে।পোলার্ডের কিছু অনন্য রেকর্ড সম্পর্কে এখানে আলোচনা করছি।


ছয় বলে ছয় ছক্কা

টিটুয়েন্টি ক্রিকেটে দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে ছয় বলে ছয় ছক্কা মারার নজির রয়েছে পোলার্ডের নামের পাশে। উল্লেখ্য আন্তর্জাতিক টিটুয়েন্টি ক্রিকেটে প্রথম ছয় বলে ছয় ছক্কা মারার নজির গড়েন ভারতের যুবরাজ সিং।


১০ হাজার রান ও ৩০০ উইকেট


কিয়েরন পোলার্ড টিটুয়েন্টি ক্রিকেটে একমাত্র প্লেয়ার হিসেবে একই সাথে ১০ হাজার রান ও ৩০০ উইকেট নেয়ার কৃতিত্ব দেখিয়েছেন।


১৫টি ফাইনাল শিরোপা


পোলার্ড নিজ দেশ ও বিভিন্ন দলের হয়ে (আন্তর্জাতিক ও স্বীকৃত টিটুয়েন্টি) ইতিমধ্যে ১৫টি টিটুয়েন্টি টুর্নামেন্টের শিরোপা জিতেছেন যা টিটুয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে এক অনন্য দৃষ্টান্ত।


৫০০ টিটুয়েন্টি ম্যাচ ও ২য় সর্বোচ্চ ছক্কা

পোলার্ড প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ৫০০ এর বেশি টিটুয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন। এছাড়া ক্রিস গেইলের পর টিটুয়েন্টি ক্রিকেটে দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে পোলার্ড ৭০০ এর বেশি ছক্কা মেরেছেন।


এক টিমের হয়ে সর্বাধিক আইপিএল ম্যাচ


পোলার্ড একমাত্র বিদেশি প্লেয়ার হিসেবে একই টিমের হয়ে সর্বাধিক ১৫০টি আইপিএল ম্যাচ খেলেছেন।


টেস্ট থেকে মঈন আলীর অবসর

                                                                


প্রিয় ক্রিকেট ডটকমঃ সম্প্রতি টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন ইংল্যান্ডের জনপ্রিয় অলরাউন্ডার মঈন আলী (সূত্র: ইএসপিএন ক্রিকইনফো)।তবে এই চৌকস অলরাউন্ডার ওয়ানডে ও টিটুয়েন্টি ক্রিকেট যথারীতি চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন।মঈন আলী ইংল্যান্ডের সফল অলরাউন্ডারদের মধ্যে অন্যতম।ব্যাটবলে সফলতার পাশাপাশি ভালো ফিল্ডার হিসেবেও তাঁর সুনাম রয়েছে। আসুন মঈন আলীর ক্যারিয়ার সম্পর্কে জেনে নিই।


মঈন আলীর ক্যারিয়ারচিএ


ইংল্যান্ডের ক্রিকেট ইতিহাসের সফল অলরাউন্ডারদের মধ্যে মঈন আলী অন্যতম।চৌকস ব্যাটসম্যান হিসেবে সফলতার পাশাপাশি কার্যকর অফস্পিনার হিসেবে ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটেই তাঁর সাফল্য রয়েছে।মঈন আলীর ক্রিকেট ক্যারিয়ারের উল্লেখযোগ্য অর্জনগুলো এখানে তুলে ধরছি।


টেস্ট ক্যারিয়ার


মঈন আলীর টেস্ট অভিষেক হয় ২০১৪ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। তিনি সর্বশেষ টেস্ট খেলেছেন ভারতের বিপক্ষে (২সেপ্টেম্বর,২০২১)। মঈন আলী ইতিমধ্যে ৬৪টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন যেখানে তাঁর মোট রানসংখ্যা ২৯১৪। টেস্ট ক্রিকেটে এই অলরাউন্ডারের ৫টি সেঞ্চুরি ও ১৪ টি ফিফটি রয়েছে। এছাড়া টেষ্টে বল হাতে মোট ১৯৫টি উইকেট নিয়েছেন এই তারকা অলরাউন্ডার।


ওয়ানডে ক্যারিয়ার


ওয়ানডে ক্রিকেটেও মঈন আলী দারুণ সফলতা দেখিয়েছেন। ইংল্যান্ডের প্রথম ওয়ানডে বিশ্বকাপ জয়ে(২০১৪) তাঁর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।মঈন আলী ইতিমধ্যে ১১২টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছেন যেখানে তাঁর মোট রানসংখ্যা ১৮৭৭। ওয়ানডে ক্রিকেটে এই অলরাউন্ডার ৩টি সেঞ্চুরি ও ৫টি হাফসেঞ্চুরি করেছেন। এছাড়া ওয়ানডে ক্রিকেটে বল হাতে মোট ৮৭টি উইকেট নিয়েছেন এই তারকা অলরাউন্ডার।



টিটুয়েন্টি ক্যারিয়ার


মঈন আলী ইতিমধ্যে ৩৮টি আন্তর্জাতিক টিটুয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন যেখানে তাঁর মোট রানসংখ্যা ৪৩৭। আন্তর্জাতিক টিটুয়েন্টিতে মঈন আলীর ২টি ফিফটি রয়েছে। এছাড়া এই তারকা অলরাউন্ডার আন্তর্জাতিক টিটুয়েন্টিতে মোট ২১টি উইকেট নিয়েছেন।


ফাষ্টক্লাস ক্যারিয়ার


মঈন আলী ফাষ্টক্লাস ক্রিকেটেও দারুণ সফল এক অলরাউন্ডার।ফাষ্টক্লাস ক্রিকেটে এই অলরাউন্ডারের অবিশ্বাস্য সফলতার নজির রয়েছে।মঈন আলী ইতিমধ্যে ১৯৭টি ফাষ্টক্লাস ম্যাচ খেলেছেন যেখানে তাঁর মোট রানসংখ্যা ১১৩৩৪। সেইসাথে ফাষ্টক্লাস ক্রিকেটে এই অলরাউন্ডারের ২০টি সেঞ্চুরি ও ৬৯টি ফিফটি রয়েছে।মঈন আলী ফাষ্টক্লাস ক্রিকেটে বল হাতে অসাধারণ নৈপুণ্য দেখিয়েছেন যেখানে তাঁর মোট উইকেট সংখ্যা ৩৮২।

আইপিএলের সফল ক্যাপ্টেন

                                                                   


প্রিয় ক্রিকেট ডটকমঃ টিটুয়েন্টি ক্রিকেটে এমনিতেই অধিনায়কদের উপর ব্যাপক চাপ থাকে।আর আইপিএলের মত তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ও উওেজনাপূর্ণ ফ্রাঞ্চাইজি লিগে অধিনায়কত্ব নিশ্চয় আরো বেশি চ্যালেঞ্জিং।কারণ আইপিএলে একজন অধিনায়ককে বহুমাত্রিক চাপ মোকাবেলা করতে হয়। একদিকে ফ্রাঞ্চাইজির চাপ অন্যদিকে সমর্থকদের তুমুল উত্তেজনার মধ্যেই এখানে একজন ক্যাপ্টেনকে নেতৃত্ব দিতে হয়।আর এসব কিছু বিবেচনায় বলা যায় ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের মত টিটুয়েন্টি লিগে ক্যাপ্টেনসি সত্যিই বিশাল চ্যালেঞ্জের বিষয়। আজকের আলোচনায়  আইপিএলের সফল ক্যাপ্টেনদের বিভিন্ন রেকর্ড পরিসংখ্যান দেখে নেব।



আইপিএলে ক্যাপ্টেনদের যত চ্যালেঞ্জ


ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ এমনিতেই টিটুয়েন্টি লিগগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি উওেজনাপূর্ণ।ফলে এখানে একজন ক্যাপ্টেনের জন্য মূল কাজটি অবশ্যই চ্যালেঞ্জিং। আসুন দেখে নিই আইপিএলে ক্যাপ্টেনদের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের স্বরূপ।


মাঠের বাইরের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত


আইপিএলের মত তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ টিটুয়েন্টি লিগে দর্শক ও ফ্রাঞ্চাইজির বিভিন্ন চাপ মাথায় রেখে একজন অধিনায়ককে একাদশ নির্বাচন,টিম কম্বিনেশন,টস ,ব্যাটিং অর্ডার, বোলিং অর্ডার ইত্যাদি নির্ধারণ করতে হয়। ফলে আইপিএলে একজন ক্যাপ্টেনকে যথেষ্ট বিচক্ষণ হতে হয়।


মাঠের নেতৃত্ব


আইপিএলে প্রতিপক্ষের দুর্বলতা বোঝে সঠিক সময়ে সঠিক ব্যাটিং অর্ডার , বোলিং অর্ডার নির্বাচন একজন ক্যাপ্টেনকে করতে হয়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথা হলো আইপিএলের মত জনপ্রিয় টিটুয়েন্টি লিগে একজন অধিনায়ককে টিমের গেমপ্লেন নির্ধারণ ও সেটি বাস্তবায়নে মূল নেতৃত্ব দিতে হয়।


বিচক্ষণ সিদ্ধান্ত


আইপিএলের মত তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ টিটুয়েন্টি লিগে একটি ওভার কিংবা একটি বল  অনেক ক্ষেত্রে ম্যাচের জয় পরাজয়ের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে।ফলে এখানে একজন ক্যাপ্টেনকে যথেষ্ট বিচক্ষণ হতে হয়। আইপিএলের ইতিহাসে সফল ক্যাপ্টেনদের দিকে তাকালে দেখা যায় তারা প্রত্যেকেই মাঠের সিদ্ধান্ত নিতে বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েছেন। এক্ষেত্রে মুম্বাইয়ের ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মা কিংবা চেন্নাইয়ের ক্যাপ্টেন এম এস ধোনির নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।



আইপিএলের সফল ক্যাপ্টেন


ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের মত তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ টিটুয়েন্টি লিগে একজন অধিনায়ককে বিভিন্ন ধরণের চাপ মেনে দায়িত্ব পালন করতে হয়।কারণ এখানে মাঠের মূল লড়াইয়ে সব গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত ক্যাপ্টনকেই নিতে হয়।টস,একাদশ নির্বাচন থেকে ব্যাটিং অর্ডার, বোলিং অর্ডার সবকিছুই একজন ক্যাপ্টনকে নির্ধারণ করতে হয়।ফলে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের মত জনপ্রিয় টিটুয়েন্টি লিগে নেতৃত্ব একটি কঠিন বিষয় হিসেবে বিবেচিত হয়। তাছাড়া এখানে  মাঠের প্রতিটি সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেএে একজন অধিনায়ককে যথেষ্ট বিচক্ষণতার পরিচয় দিতে হয়। আসুন দেখে নিই আইপিএলের সফল ক্যাপ্টেনদের পরিসংখ্যান।



রোহিত শর্মা 


রোহিত শর্মা আইপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে সফল ক্যাপ্টেন হিসেবে পরিচিত। তাঁর নেতৃত্বে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স মোট পাঁচবার আইপিএলের শিরোপা জিতেছে।


এম এস ধোনি


আইপিএলের নেতৃত্বে সবচেয়ে সফল ক্যাপ্টেনদের মধ্যে এম এস ধোনির নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তাঁর নেতৃত্বে চেন্নাই সুপার কিংস মোট তিনবার আইপিএল শিরোপা জয় করে।


গৌতম গম্ভীর


আইপিএলের সফল ক্যাপ্টেনদের তালিকায় গৌতম গম্ভীরের নামটিও রয়েছে। গম্ভীরের নেতৃত্বে কেকেআর দুইবার আইপিএল জয় করে।


শেন ওয়ার্ন


আইপিএল অধিনায়ক হিসেবে শেন ওয়ার্ন সফলতা দেখিয়েছেন। তাঁর নেতৃত্বে  রাজস্থান রয়্যালস ২০০৮ সালের আইপিএলে চ্যাম্পিয়ন হয়।



এডাম গিলক্রিস্ট


সাবেক অসি ওপেনার এডাম গিলক্রিস্ট আইপিএলে অধিনায়ক হিসেবে সাফল্য পেয়েছেন। তাঁর নেতৃত্বে ২০০৯ সালে ডেকান চার্জার্স আইপিএল জয় করে।


ডেভিড ওয়ার্নার


ডেভিড ওয়ার্নার আইপিএল অধিনায়ক হিসেবে সফলতা পেয়েছেন। ২০১৬ সালে ওয়ার্নারের নেতৃত্বে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ আইপিএলে চ্যাম্পিয়ন হয়।





সাবেক জাতীয় ক্রিকেট কোচ জালাল আহমেদ চৌধুরীর চলে যাওয়া

                                                                     



প্রিয় ক্রিকেট ডটকমঃ না ফেরার দেশে চলে গেলেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক কোচ জালাল আহমেদ চৌধুরী। জালাল আহমেদ চৌধুরীর মৃত্যুতে প্রিয় ক্রিকেট ডটকম' এর পক্ষ থেকে গভীর শোক ও সমবেদনা জানাচ্ছি। উল্লেখ্য এই খ্যাতিমান ক্রিড়াব্যক্তিত্ব ক্রিকেট কোচিংয়ের পাশাপাশি সাংবাদিক,ক্রিড়ালেখক,সংগঠক হিসেবেও সুপরিচিত ছিলেন।


জালাল আহমেদ চৌধুরীর জীবন ও কর্ম



জালাল আহমেদ চৌধুরী দেশের ক্রিকেটের জনপ্রিয় মুখ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। চমৎকার ক্রিকেট নলেজ এবং ক্রিকেটের প্রতি গভীর অনুরাগের জন্য এই গুণী ক্রিড়াব্যক্তিত্ব সর্বদাই স্মরণীয়। জালাল আহমেদ চৌধুরীর জীবন ও কর্ম সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এখানে তুলে ধরছি।


কোচিংয়ের শুরু


জালাল আহমেদ চৌধুরী দেশের ঘরোয়া ও জাতীয় ক্রিকেটের জনপ্রিয় কোচ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। জালাল আহমেদ চৌধুরী পাতিয়ালা থেকে কোচিংয়ে ডিপ্লোমা ডিগ্ৰি নিয়ে জাতীয় ক্রিড়া পরিষদের বেতনভুক্ত কোচ হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন।


জাতীয় দলের কোচ


দেশের ক্রিকেটের জনপ্রিয় মুখ জালাল আহমেদ চৌধুরী বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।১৯৭৯ সালে বাংলাদেশ প্রথমবারের মত আইসিসি ট্রফি খেলতে যায় এবং জাতীয় দলের সেই প্রথম আইসিসি ট্রফি অভিযানে জালাল আহমেদ চৌধুরী এবং ওসমান খান কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া বাংলাদেশের প্রথম আইসিসি ট্রফি জয়ী (১৯৯৭) দলে মূলকোচ গর্ডন গ্ৰিনিজের সাথে সহকারী কোচ হিসেবে এই গুণী ক্রিকেট কোচ যুক্ত ছিলেন। সেইসাথে ১৯৯৭ সালে বাংলাদেশের আইসিসি ট্রফির বাংলাদেশ দল নির্বাচনেও তাঁর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। এসবকিছুর সাথে দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে দীর্ঘদিন কোচিংয়ে যুক্ত ছিলেন এই গুণী ক্রিড়াব্যক্তিত্ব।


বহু ক্রিকেটার তৈরির কারিগর


বিভিন্ন ক্রিড়াবিশ্লেষকের ভাষ্যমতে জালাল আহমেদ চৌধুরী কোচ হিসেবে ক্রিয়েটিভ ও ইনোভেটিভ ছিলেন। তাঁর কোচিংয়ের মাধ্যমে দেশের বহু বিখ্যাত ক্রিকেটার উপকৃত হয়েছেন। বাংলাদেশের বর্তমান টিটুয়েন্টি দলের অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ এক সময় জালাল আহমেদ চৌধুরীর ছাএ ছিলেন।



দেশের প্রথম আধুনিক কোচ 


ক্রিড়া বিশ্লেষকদের মতে জালাল আহমেদ চৌধুরী দেশের প্রথম আধুনিক কোচ ছিলেন।বলা হয় দেশের ক্রিকেটে প্রথম আধুনিক ক্রিয়েটিভ কোচিং তিনিই শুরু করেন। তাঁর কোচিং দর্শনের একটি উল্লেখযোগ্য দিক ছিল যা তিনি বলতেন ক্রিকেট দলগত খেলা এবং এখানে দলের সবাই সক্রিয় না হলে সাফল্য আসবে না। জালাল আহমেদ চৌধুরীর কোচিংয়ের আরেকটি উল্লেখযোগ্য দিক ছিল তিনি সবসময় খেলা ও অনুশীলনকে উপভোগ্য করে তুলতে চেষ্টা করতেন।



আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে টেলরের বিদায়

                                                                 


প্রিয় ক্রিকেট ডটকমঃ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেন জিম্বাবুয়ের ক্রিকেট নক্ষএ ব্রেন্ডন টেলর। অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার,গ্ৰেন্ট ফ্লাওয়ার,আলিষ্টার ক্যাম্পবেল,নীল জনসনদের পরে জিম্বাবুয়ের সবচেয়ে সফল ব্যাটসম্যান বলা হয় তাকে।যতদিন জিম্বাবুয়ের হয়ে খেলেছেন ততদিন ব্যাট হাতে এবং সেইসাথে উইকেটের পেছনে গ্লাভস হাতে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে গেছেন এই তারকা প্লেয়ার। তাছাড়া অসাধারণ টেকনিক, চমৎকার ক্রিকেট নলেজ, উইকেটের চারপাশে শট খেলার দক্ষতা বিবেচনায় ব্রেন্ডন টেলর গত দুই তিন দশকের জিম্বাবুয়ে তথা বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান হিসেবে স্বীকৃত।ব্রেন্ডন টেলরের আরেকটি গুণ হচ্ছে কুল ও ক্যালকুলেটেড স্ট্রোকপ্লে। উইকেটে সেট হলে  টেলর চমৎকার সব স্ট্রোকপ্লের জন্য বিখ্যাত।ব্রেন্ডন টেলরের ক্যারিয়ারচিএ এখানে তুলে ধরছি।



ব্রেন্ডন টেলরের অভিষেক ও অন্যান্য


জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটে যে'কজন ক্রিকেটার দীর্ঘ সময় সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন ব্রেন্ডন টেলর তাদের মধ্যে অন্যতম।টেলরকে সফল ব্যাটসম্যান,সফল অধিনায়ক দুই রূপেই পাওয়া যায়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথা হলো ব্রেন্ডন টেলর অত্যন্ত প্রতিভাবান ক্রিকেটার। জিম্বাবুয়ে জাতীয় দলে ব্রেন্ডন টেলরের অভিষেক হয় ২০০৪ সালে। তাঁর টেস্ট ও ওয়ানডে অভিষেক হয় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে।ব্রেন্ডন টেলর বাংলাদেশের বিপক্ষে নিজের প্রথম আন্তর্জাতিক টিটুয়েন্টি ম্যাচ খেলেন।



যেসব ক্লাবে খেলেছেন


ব্রেন্ডন টেলর বিশ্বের প্রায় সব বড় টিটুয়েন্টি লিগে খেলেছেন ।এছাড়া বিশ্বের বেশকিছু বিখ্যাত ক্লাবের হয়ে প্রথমশ্রেণীর ক্রিকেট খেলেছেন এই তারকা ব্যাটসম্যান।টেলর যেসব ফ্রাঞ্চাইজি ও ক্লাবের হয়ে খেলেছেন তারমধ্যে উল্ল্যেখযোগ্য হচ্ছে নর্দানস, ওয়েলিংটন, সানরাইজার্স হায়দরাবাদ, চিটাগাং কিংস, নটিংহ্যাম্পশায়ার, খুলনা টাইটানস,লাহোর কালান্দর্স।



টেলরের উল্লেখযোগ্য রেকর্ড


ব্রেন্ডন টেলর জিম্বাবুয়ের সর্বকালের অন্যতম সেরা উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান হিসেবে স্বীকৃত। অসাধারণ টেকনিকের অধিকারী এই ব্যাটসম্যান দীর্ঘদিন যাবত জিম্বাবুয়ের টপঅর্ডারের নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন। এবং এই সময়ে টেলরের ঝুঁলিতে অসংখ্য রেকর্ড যুক্ত হয়েছে।ব্রেন্ডন টেলরের উল্লেখযোগ্য রেকর্ডগুলো এখানে তুলে ধরা হলো।

১. প্রথম জিম্বাবুয়ান ব্যাটসম্যান হিসেবে ওডিআই ক্রিকেটে টেলরের ব্যাক টু ব্যাক সেঞ্চুরি রয়েছে।

২.টেলর  ওডিআই ক্রিকেটে জিম্বাবুয়ের হয়ে সর্বাধিক সেঞ্চুরি (১১) করেছেন ।

৩.জিম্বাবুয়ের হয়ে ক্রিকেটের তিন ফরম্যাট মিলিয়ে সর্বাধিক সেঞ্চুরি তাঁর (১৭)।



ব্রেন্ডন টেলরের ক্যারিয়ারচিএ


ব্রেন্ডন টেলর ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটেই জিম্বাবুয়ের প্রতিনিধিত্ব করেছেন।ব্রেন্ডন টেলরের ক্যারিয়ারচিএ এখানে তুলে ধরছি।

টেস্ট ক্যারিয়ার


টেলর ৩৪টি টেস্ট খেলেছেন যেখানে তাঁর মোট রানসংখ্যা ২৩২০। এছাড়া টেস্ট ক্রিকেটে এই ব্যাটসম্যানের ৬টি সেঞ্চুরি ও ১২টি ফিফটি রয়েছে।


ওয়ানডে ক্যারিয়ার


ব্রেন্ডন টেলর জিম্বাবুয়ের হয়ে ২০৫টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছেন যেখানে তাঁর মোট সংগ্রহ ৬৬৮৪ রান সাথে রয়েছে ১১টি সেঞ্চুরি ও ৩৯টি ফিফটি।


টিটুয়েন্টি ক্যারিয়ার


টেলর ৪৪টি আন্তর্জাতিক টিটুয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন যেখানে তাঁর মোট রানসংখ্যা ৮৫৯। আন্তর্জাতিক টিটুয়েন্টিতে টেলরের ৫টি ফিফটিও রয়েছে।



বিশ ওভারের ক্রিকেট থেকেও মালিঙ্গার অবসর

                                                                   


প্রিয় ক্রিকেট ডটকমঃ শ্রীলঙ্কা তথা বিশ্ব ক্রিকেটের সবচেয়ে বিস্ময়কর পেসার লাসিথ মালিঙ্গা এবার টিটুয়েন্টি ক্রিকেট থেকেও অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন। টেস্ট, ওয়ানডে ও ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেট থেকে আগেই বিদায় নিয়েছিলেন এই কিংবদন্তি পেসার। উল্লেখ্য আসন্ন টিটুয়েন্টি বিশ্বকাপের লংকান স্কোয়াডে তাকে রাখা হয়নি।যদিও আন্তর্জাতিক টিটুয়েন্টি ক্রিকেটে এই মুহূর্তে সর্বাধিক উইকেটের মালিক এই তারকা পেসার শ্রীলঙ্কার ২০১৪ সালের টিটুয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ী দলের অধিনায়ক ছিলেন। এছাড়া টিটুয়েন্টি ক্রিকেটে সবচেয়ে কার্যকর পেসারদের মধ্যে মালিঙ্গার নামটি সবার আগে উচ্চারিত হয়। সেইসাথে ডেথওভারে মালিঙ্গা এক তুলনাহীন বোলার হিসেবে  স্বীকৃত। লাসিথ মালিঙ্গার ইউনিক গুণ ও ক্যারিয়ারচিএ এখানে তুলে ধরছি।



মালিঙ্গার ইউনিক গুণগুলো


শুধু লংকান ক্রিকেটে নয় বরং বৈশ্বিক ক্রিকেটেই লাসিথ মালিঙ্গা এক অদ্ভুত ধাঁধার নাম।যদিও শুরুতে এই বোলার শুধুই এক পেসার ছিলেন তবে যত সময় গড়িয়েছে ততই মালিঙ্গার বোলিংয়ের ধার বেড়েছে। এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথা হলো ওয়ানডে ও টিটুয়েন্টি ক্রিকেটের ডেথ ওভার বোলিংয়ে মালিঙ্গা নিজেকে এক অনন্য পেসার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন। তাছাড়া নিখুঁত ও কার্যকর ইয়র্কারের জন্য ক্রিকেটের রেকর্ড বইয়ে বহুকাল তাঁর নামটি উচ্চারিত হবে। মালিঙ্গার কিছু ইউনিক গুণ নিয়ে এখানে আলোচনা করছি।


নিখুঁত পেস ও ইয়র্কার


স্বল্পদৈর্ঘ্যের ক্রিকেটে পেসারদের বহুমাত্রিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হয়। এবং এক্ষেত্রে একজন পেস বোলারের বড় অস্ত্র হলো নিখুঁত পেস ও ভ্যারিয়েশন।যদিও এক্ষেত্রে প্রায় প্রত্যেক বোলারের শক্তির জায়গা ভিন্ন। কিন্তু নিখুঁত পেস ও কার্যকর ইয়র্কারের প্রসঙ্গ এলে লাসিথ মালিঙ্গা ক্রিকেটের এক অনন্য পেসার হিসেবে স্বীকৃত। এবং ধারণা করা হয় হয়তো বহুকাল এরকম পেসার ক্রিকেটে পাওয়া যাবে না।


বিচিত্র বোলিং স্টাইল


মালিঙ্গার ইউনিক গুণগুলোর একটি হচ্ছে তাঁর বিচিত্র বোলিং স্টাইল।সচরাচর এরকম বিচিত্র বোলিং স্টাইলের বোলারদের বহুমাত্রিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হয়। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো অ্যাকুরেসি। লাসিথ মালিঙ্গা বিচিত্র স্টাইলের বোলিংয়ের পাশাপাশি নিজেকে একজন সেরা পেসার হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে সমর্থ হয়েছেন যা কিছুটা হলেও বিস্ময়কর।


ডেথ ওভারে অবিশ্বাস্য সফলতা


ডেথ ওভারের বোলিং খুবই চ্যালেঞ্জিং এক কাজ অথচ এই কঠিন কাজটি মালিঙ্গা অসংখ্যবার সফলভাবে সম্পন্ন করেছেন । শুধু ডেথ ওভারের বোলিং দিয়ে লাসিথ মালিঙ্গা শ্রীলঙ্কা  ও ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেটে বহু ম্যাচের গতিপথ পাল্টে দিয়েছেন। এবং ডেথ ওভারের সাফল্য বিবেচনায় লাসিথ মালিঙ্গার মত পেসার ক্রিকেটে খুবই কম রয়েছেন।



লাসিথ মালিঙ্গার ক্যারিয়ারচিএ


লাসিথ মালিঙ্গা ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটেই শ্রীলঙ্কার প্রতিনিধিত্ব করেছেন।তবে এই পেসার টেস্ট ক্রিকেটের তুলনায় স্বল্প দৈর্ঘ্যের ক্রিকেট বেশি খেলেছেন এবং স্বল্প দৈর্ঘ্যের ক্রিকেটে তাঁর সাফল্যও ব্যাপক। এছাড়া আইপিএলেও মালিঙ্গার সফলতার রেকর্ড রয়েছে।



টেস্ট ক্যারিয়ার


লাসিথ মালিঙ্গা টেস্ট ক্রিকেটে ৩০টি ম্যাচ খেলেছেন যেখানে ব্যাট হাতে তাঁর একটি ফিফটি রয়েছে। টেস্ট ক্রিকেটে বল হাতে মোট ৩০ ম্যাচে ১০১টি উইকেট নিয়েছেন এই তারকা পেসার। এছাড়া তিনি টেষ্টে ৩বার ম্যাচে ৫উইকেট নিয়েছেন।



ওয়ানডে ক্যারিয়ার


লাসিথ মালিঙ্গা ওয়ানডে ক্রিকেটে শ্রীলঙ্কা তথা বিশ্বের অন্যতম সেরা এক পেসার। মালিঙ্গা মোট ২২৬টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছেন যেখানে ব্যাট হাতে তাঁর ১টি ফিফটি রয়েছে। এছাড়া এই তারকা পেসার ওয়ানডে ক্রিকেটে বল হাতে মোট ৩৩৮টি উইকেট নিয়েছেন। ওয়ানডে ক্রিকেটে মালিঙ্গা মোট ৮বার ম্যাচে ৫উইকেট নিয়েছেন ।


টিটুয়েন্টি ক্যারিয়ার


টিটুয়েন্টি বোলিংয়ে মালিঙ্গা নিজেকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন।এই মুহূর্তে এই বোলার  আন্তর্জাতিক টিটুয়েন্টিতে সর্বোচ্চ উইকেটের মালিক । মালিঙ্গা তাঁর টিটুয়েন্টি ক্যারিয়ারে ৮৩ ম্যাচ খেলে মোট ১০৭টি উইকেট নিয়েছেন। এছাড়া আন্তর্জাতিক টিটুয়েন্টিতে এই বোলার ২বার ম্যাচে ৫উইকেট নিয়েছেন।



আইপিএল রেকর্ড


ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগেও(আইপিএল) লাসিথ মালিঙ্গার দারুণ সফলতার রেকর্ড রয়েছে। আইপিএলে মালিঙ্গা মোট ১২২টি ম্যাচ খেলেছেন যেখানে তাঁর উইকেট সংখ্যা ১৭০। সেইসাথে আইপিএলে ১বার ম্যাচে ৫উইকেট নিয়েছেন এই তারকা পেসার।

২০২১ সিপিএলের চ্যাম্পিয়ন ব্রাভোর প্যাটট্রিয়র্স

                                                                   


প্রিয় ক্রিকেট ডটকমঃ টিটুয়েন্টি ক্রিকেটের জনপ্রিয় লিগ সিপিএলের ২০২১ সালের আসর শেষ হলো। এবার সিপিএলে শিরোপা জিতেছে ডোয়াইন ব্রাভোর নেতৃত্বাধীন সেন্ট কিটস এন্ড নেভিস প্যাটট্রিয়র্স। ফাইনালে সেন্ট লুসিয়া কিংসকে পরাজিত করে ডোয়াইন ব্রাভোর নেতৃত্বাধীন সেন্ট কিটস এন্ড নেভিস প্যাটট্রিয়র্স চ্যাম্পিয়ন হয় । উল্লেখ্য সেন্ট কিটস এন্ড নেভিস প্যাটট্রিয়র্সে এবার ক্রিস গেইল,ফ্যাবিয়ান এলেন,ডোয়াইন ব্রাভো,এভিন লুইসের মত তারকারা খেলেছেন। আসুন দেখে নিই এবারের সিপিএলের সেরা ব্যাটসম্যান ও বোলারদের পরিসংখ্যান।


এবারের সিপিএলের সেরা ব্যাটসম্যান



এবারের সিপিএলে ব্যাট বলের ধুন্ধুমার লড়াই দর্শকদের আনন্দ দিয়েছে।যদিও করোনার কারণে ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগের  সবগুলো ম্যাচ ওয়ার্নার পার্কে অনুষ্ঠিত হয়েছে তবু এবারের সিপিএলেও চার ছক্কার ফুলঝুরি প্রতি ম্যাচেই দেখা গেছে। সিপিএলের এবারের আসরের সেরা পাঁচ ব্যাটসম্যানের পরিসংখ্যান এখানে তুলে ধরছি।


রোষ্টন চেজ


২০২১ সালের সিপিএলে সেরা ব্যাটসম্যান ছিলেন রোষ্টন চেজ।এই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার ১২ ম্যাচ খেলে মোট ৪৪৬ রান সংগ্রহ করেন।এর সাথে চেজের ৪টি ফিফটিও ছিল।


এভিন লুইস


এভিন লুইস এবার সিপিএলের শিরোপাজয়ী দল সেন্ট কিটস এন্ড নেভিস প্যাটট্রিয়র্সকে ব্যাট হাতে দারুণ সহায়তা করেছেন।লুইস ১১ ম্যাচে ১টি সেঞ্চুরি ও ৩ফিফটিসহ মোট ৪২৬ রান সংগ্রহ করেন।


টিম ডেভিড



এবারের সিপিএলে ব্যাট হাতে অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান ছিলেন সেন্ট লুসিয়া কিংসের টিম ডেভিড।এই ব্যাটসম্যান ১২ ম্যাচ খেলে ১টি ফিফটিসহ মোট ২৮২ রান সংগ্রহ করেন।


ফাফ ডু প্লেসিস



ফাফ ডু প্লেসিস এবার সিপিএলে ব্যাট হাতে আলো ছড়িয়েছেন।এই তারকা ব্যাটসম্যান ৯ ম্যাচ খেলে মোট ২৭৭ রান করেন। এছাড়া ডু প্লেসিস ১টি সেঞ্চুরি ও ১টি ফিফটি করেছেন।



কলিন মুনরো



২০২১ সিপিএলের সেরা পাঁচ ব্যাটসম্যানের অন্যতম হলেন কলিন মুনরো।মুনরো এবারের সিপিএলে মোট ১১ ম্যাচ খেলে ২টি ফিফটিসহ ২৬৭ রান সংগ্রহ করেন।





এবারের সিপিএলের সেরা বোলার



সিপিএলে সাধারণত চার ছক্কার ঝনঝনানি থাকে ফলে বোলারদের জন্য এটি এক চ্যালেঞ্জিং ক্ষেএ।তবু যথারীতি এবারের ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগেও বেশকজন বোলার বল হাতে সাফল্য পেয়েছেন। এছাড়া এবারের সিপিএলে বল হাতে তরুণদের পাশাপাশি বেশকজন অভিজ্ঞ বোলার সাফল্য পেয়েছেন।২০২১ সিপিএলের সেরা পাঁচ বোলারের পরিসংখ্যান দেখে নিন।




রবি রামপাল


অভিজ্ঞ উইন্ডিজ পেসার রবি রামপাল এবারের সিপিএলে সবচেয়ে বেশি উইকেট নিয়েছেন। রামপাল ১০ ম্যাচ খেলে মোট ১৯টি উইকেট নেন।


রোমারিও শেফার্ড


রোমারিও শেফার্ড এবার সিপিএলে দারুণ বোলিং করেছেন।এই তারকা বোলার ৯ম্যাচ খেলে মোট ১৮টি উইকেট নেন।


ওডেন স্মিথ


ওডেন স্মিথ এবারের সিপিএলের অন্যতম সেরা বোলার ছিলেন।ওডেন স্মিথ এবারের সিপিএলে ১১ম্যাচ খেলে ১৮টি উইকেট নেন।


ডমিনিক ড্রেকস



এবারের সিপিএলের শিরোপাজয়ী দলের অন্যতম সেরা বোলার ছিলেন ডমিনিক ড্রেকস।ড্রেকস মোট ১১ ম্যাচ খেলে ১৬টি উইকেট নেন।



মিগায়েল প্রিটোরিয়াস


মিগায়েল প্রিটোরিয়াস ১০ ম্যাচ খেলে এবারের সিপিএলে মোট ১৬টি উইকেট নেন।

বাংলাদেশের বিশ্বকাপ স্কোয়াড মূল্যায়ন

                                                                   






অবশেষে আসন্ন টিটুয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য বাংলাদেশের  স্কোয়াড ঘোষিত হলো। মোটামুটি প্রত্যাশিত স্কোয়াডই ঘোষণা করা হয়েছে। টাইগার বিশ্বকাপ স্কোয়াডে বড় কোন চমক নেই।চমক বলতে শুধু দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবাল এবারের টিটুয়েন্টি বিশ্বকাপের স্কোয়াডে নেই। তাছাড়া অভিজ্ঞ পেসার রুবেল হোসেন ও অলরাউন্ডার মোসাদ্দেক হোসেন টিটুয়েন্টি বিশ্বকাপ স্কোয়াডে জায়গা পাননি।অবশ্য এক্ষেত্রে এদের (রুবেল, মোসাদ্দেক) বিকল্প প্লেয়ার স্কোয়াডে রয়েছে যারা গত দুই তিন সিরিজে নিয়মিত পারফর্ম করছে যেমন পেসার শরিফুল ইসলাম ও ব্যাটসম্যান শামিম হোসেনের নাম এক্ষেত্রে বলা যায়। আসুন দেখে নিই কেমন হলো  বাংলাদেশের টিটুয়েন্টি বিশ্বকাপ স্কোয়াড ।


স্কোয়াডের সবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছে



এবারের টিটুয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রায় প্রতিটি দলই শক্তিশালী।এর সাথে প্রায় সব দলেই এক বা একাধিক তারকা ক্রিকেটার রয়েছে। এসবকিছু বিবেচনায় বলা যায় এবারের টিটুয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে।আর এসব বিষয় বিবেচনা করে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ স্কোয়াডে একটি ভালো বৈশিষ্ট্য রয়েছে সেটি হলো এই স্কোয়াডের সবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে একাধিক ম্যাচ খেলেছে।ফলে বাংলাদেশ দল এক্ষেত্রে কিছু সুবিধা পাবে।কারণ একেবারে আনকোরা প্লেয়ার দলে নেই এতে দলের কনফিডেন্স শুরু থেকেই ভালো থাকবে। অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ, অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, তাসকিন আহমেদ , লিটন দাস,সৌম্য সরকার,মোস্তাফিজ,আফিফ, সাইফুদ্দিন এরা প্রত্যেকেই ব্যাপকভাবে অভিজ্ঞ ক্রিকেটার যা বাংলাদেশের বিশ্বকাপ স্কোয়াডের একটি চমৎকার দিক। এছাড়া শরিফুল,শামিম হোসেন আন্ডারনাইটিন বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য। বিশ্বকাপ স্কোয়াডে থাকা তরুণ স্পিনার নাসুম আহমেদ সম্প্রতি বেশকিছু ম্যাচে পারফর্ম করেছে।ফলে সবকিছু মিলিয়ে বাংলাদেশের টিটুয়েন্টি বিশ্বকাপ স্কোয়াড মোটামুটি প্রত্যাশিত হয়েছে সেকথা বলাই যায়।


ওপেনারদের উপর চাপ বাড়বে



দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবাল এবারের টিটুয়েন্টি বিশ্বকাপ স্কোয়াডে নেই ফলে এটি বাংলাদেশ টিমের জন্য একটি ধাক্কা। তামিমের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা দল এবার পাবে না।ফলে লিটন দাস,নাঈম শেখকে সম্ভবত টিটুয়েন্টি বিশ্বকাপে ওপেন করতে হবে।হয়তো সৌম্য সরকারও দু-একটি ম্যাচে ওপেন করবেন। তামিম বিহীন এই টিমের ওপেনার লিটন,নাঈমদের তাই এবার বাড়তি দায়িত্ব নিতে হবে।স্টাইকরেট এবং পরিস্থিতির প্রত্যাশা দুই মিলিয়ে লিটন-নাঈমদের সেরা পারফরম্যান্স দেখাতে হবে। তাছাড়া মুশফিক ও সাকিব দলের এই দুই সিনিয়র ব্যাটসম্যান সাম্প্রতিক সিরিজগুলোতে তেমন কিছু করতে পারেননি এটিও ওপেনারদের জন্য বাড়তি চাপ তৈরি করতে পারে।যদিও বড় ইভেন্টে মুশফিক, সাকিবের মত অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানরা বরাবরই সফল। তবু বাংলাদেশের টিটুয়েন্টি বিশ্বকাপে ভালো কিছু পেতে ওপেনারদের ফর্ম খুব গুরুত্বপূর্ণ ।অবশ্য মিরপুরের স্লো উইকেটেও নাঈম শেখ ও লিটন দাসকে সাম্প্রতিক দুই টিটুয়েন্টি সিরিজে বেশ সাবলিল দেখা গেছে।আশা করা যায় বিশ্বকাপের স্পোটিং উইকেটে  লিটন,নাঈমরা আরো ভালো করবেন।


মিডলঅর্ডার যেমন দেখছি



বাংলাদেশের টিটুয়েন্টি বিশ্বকাপে ভালো কিছু পেতে হলে মিডলঅর্ডারকে ক্লিক করতেই হবে। টাইগার বিশ্বকাপ স্কোয়াডের মিডলঅর্ডারে সাকিব, মুশফিক, মাহমুদুল্লাহ, সোহান,আফিফের মত অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানরা রয়েছেন।তবে এখানে মাহমুদুল্লাহ ও আফিফ ছাড়া বাকিদের সাম্প্রতিক ফর্ম মোটেও সন্তোষজনক নয়। সাকিব অবশ্য বল হাতে সাফল্য পেয়েছেন কিন্তু তাঁর ব্যাট গত দুই তিন সিরিজে তেমনভাবে কথা বলেনি। সুতরাং টিটুয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশের টপঅর্ডার বেশ শক্তিশালী দেখালেও প্লেয়ারদের ফর্ম নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।তবে একটি কথা স্মরণ করলে কিছুটা আশাবাদী হতে হয় এবং কথাটি হচ্ছে সাকিব, মুশফিককে বলা হয় বড় ম্যাচের প্লেয়ার ।বড় ইভেন্টে ও বড় ম্যাচে সাকিব,মুশফিকের মত প্লেয়াররা সাধারণত জ্বলে উঠেন এবং সেইদিক থেকে টাইগার টপঅর্ডারকে নিয়ে আশাবাদী হওয়া যায়। যদিও সবকিছুর হিসেব বিশ্বকাপ মাঠে গড়ালেই পাওয়া যাবে।



রুবেল,মোসাদ্দেকের বাদ পড়া



বলা হয় বাংলাদেশে জেনুইন ফাষ্টবোলার এশিয়ার অন্য দলগুলোর তুলনায় সংখ্যায় কম।আর জেনুইন ফাষ্টবোলারের শূন্যতা গোছাতে একসময় বাংলাদেশ দলের বড় ভরসা ছিলেন রুবেল হোসেন। তবে বাংলাদেশের এবারের টিটুয়েন্টি বিশ্বকাপের স্কোয়াডে রুবেল হোসেনের জায়গা হয়নি।যদিও টাইগার স্কোয়াডে জেনুইন ফাষ্টবোলার হিসেবে তাসকিন আহমেদ রয়েছেন। এছাড়া শরিফুল ইসলামও জেনুইন পেস করতে পারেন। এখন দেখার বিষয় রুবেল হোসেনের বদলে এই দুজন পেস অ্যাটাকে কেমন ভূমিকা রাখতে পারেন। টিটুয়েন্টি ক্রিকেটে ভালো ব্যাটসম্যান হবার প্রধান দুটি শর্ত হলো এক.ভালো বিগহিট করতে পারা এবং দুই.উইকেটের চারপাশে শট খেলার দক্ষতা থাকা।এসব বিষয় বিবেচনায় নিলে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ স্কোয়াডে সাকিব, মুশফিক, মাহমুদুল্লাহ,আফিফ,সৌম্য ও লিটন সেরা ব্যাটসম্যান।এর বাইরে বাকিরা স্ট্রোকমেকার কিন্তু উইকেটের চারপাশে সমানভাবে দক্ষ নন। এবং এই দিক বিবেচনায় মোসাদ্দেক হোসেনকে লেট মিডল অর্ডারের জন্য রাখা যেত। তাছাড়া মোসাদ্দেক অভিজ্ঞ ও পরীক্ষিত ফিনিশার। সেইসাথে মোসাদ্দেকের একটি চমৎকার দিক হচ্ছে সে প্রায় সব ধরণের শট খেলতে পারে। যাহোক এখন দেখার বিষয় মোসাদ্দেকের বদলে দলে জায়গা পাওয়া শামিম হোসেন লেট মিডল অর্ডারে কেমন ব্যাট করেন।



পেস অ্যাটাক ঠিক আছে



বাংলাদেশের টিটুয়েন্টি বিশ্বকাপ স্কোয়াডে পেসার হিসেবে রয়েছেন মোস্তাফিজ, তাসকিন, শরিফুল ও সাইফুদ্দিন।যদিও জেনুইন পেস বোলার হিসেবে টাইগার বিশ্বকাপ স্কোয়াডে রয়েছেন দুজন  (তাসকিন ও শরিফুল)।অনেকের ধারণা ছিল রুবেল হোসেন হয়তো জায়গা পাবেন যদিও রুবেলকে শেষপর্যন্ত বিশ্বকাপের স্কোয়াডে রাখা হয়নি। রুবেলকে বাদ দেয়ার পেছনে সম্ভবত মূল কারণ ছিল বেশ কিছুদিন ধরে তাঁর টিটুয়েন্টি না খেলার বিষয়।এর ফলে ধরে নেয়া যায় যারা টিটুয়েন্টি দলে নিয়মিত পারফর্ম করছেন তাদের উপরই নির্বাচকরা আস্থা রেখেছেন।আর এসব কিছু বিবেচনায় বলা যায় মোস্তাফিজের সাথে শরিফুল, তাসকিন, সাইফুদ্দিনের সমন্বয়ে বাংলাদেশের পেস অ্যাটাক কিছুটা ব্যালেন্সড প্রকৃতির হয়েছে। অর্থাৎ বাংলাদেশের পেস অ্যাটাকে জেনুইন ফাষ্টবোলার ও সুইং বোলার দুইই রাখা হয়েছে।



স্পিনে অভিজ্ঞ সাকিব ও অন্যরা



বাংলাদেশের টিটুয়েন্টি বিশ্বকাপ স্কোয়াডে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে সাকিবের মত একজন গ্ৰেট টিটুয়েন্টি স্পিনার এখানে রয়েছে। সাকিব এই মুহূর্তে আন্তর্জাতিক টিটুয়েন্টি ক্রিকেটে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি। সুতরাং এক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান বেশ ভালো বলা যায়। এছাড়া টাইগার টিটুয়েন্টি স্কোয়াডে তরুণ স্পিনার নাসুম আহমেদ রয়েছেন। সেইসাথে অকেশনাল স্পিনার হিসেবে রয়েছেন মাহমুদুল্লাহ,আফিফ।এরা দুজন ব্রেকথ্রো স্পিনার হিসেবে বেশ সফল।এদিক থেকে বাংলাদেশের স্পিন অ্যাটাক বেশ শক্তিশালী হয়েছে বলা যায়।


তিন অলরাউন্ডার প্রসঙ্গ



টিটুয়েন্টি ক্রিকেটে সফলতার জন্য চৌকস অলরাউন্ডার খুব প্রয়োজন। বাংলাদেশের বিশ্বকাপ স্কোয়াডে মূল অলরাউন্ডার তিনজন (সাকিব, সাইফুদ্দিন,আফিফ)।বাকিরা যেমন সৌম্য, মাহমুদুল্লাহ উইকেট ও পরিস্থিতির প্রয়োজনে অলরাউন্ডারের দায়িত্ব পালন করেন। যদিও গত দুই তিন সিরিজে সাকিবের বোলিং ভালো হচ্ছে কিন্তু ব্যাটে রান নেই আবার আফিফ ব্যাটিং ভালো করছেন কিন্তু বোলিংয়ের সুযোগ পাননি। সাইফুদ্দিন ব্যাট হাতে সাম্প্রতিক সিরিজগুলোতে  বড় রান করতে পারেননি।এখন দেখার বিষয় বিশ্বকাপ মাঠে গড়ালে বাংলাদেশের অলরাউন্ডাররা কেমন করেন।



তবু সম্ভাব্য সেরা স্কোয়াড হয়েছে



ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিং মিলিয়ে বাংলাদেশের টিটুয়েন্টি বিশ্বকাপ স্কোয়াড মোটামুটি প্রত্যাশিত হয়েছে বলা যায়।যদিও ওপেনিংয়ে তামিমের অবর্তমানে লিটন,নাঈম,সৌম্যরা কতটুকু মুন্সিয়ানা দেখাতে সক্ষম হন সেটি অবশ্যই ভাবনার বিষয়। তাছাড়া বেশকিছু তরুণ ক্রিকেটার এবার টাইগার বিশ্বকাপ স্কোয়াডে জায়গা পেয়েছেন যাদের উপর বাংলাদেশের সাফল্য অনেকাংশে নির্ভর করবে। সবকিছুর পর এটুকু বলতে হবে যে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ স্কোয়াডে এবার কিছুটা ব্যালেন্স রাখা হয়েছে যেখানে অভিজ্ঞদের সাথে সাম্প্রতিক সময়ে ভালো করা বেশকিছু তরুণ ক্রিকেটার রয়েছে।


বাংলাদেশের টিটুয়েন্টি বিশ্বকাপ স্কোয়াড


মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ (অধিনায়ক), সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, সৌম্য সরকার, লিটন দাস, নাঈম শেখ, আফিফ হোসেন,নুরুল হাসান সোহান, শামীম হোসেন পাটোয়ারী, তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, মোঃ সাইফুদ্দিন,শরিফুল ইসলাম,নাসুম আহমেদ,শেখ মাহেদি হাসান।


স্ট্যান্ডবাই : রুবেল হোসেন, আমিনুল ইসলাম বিপ্লব

লিখেছেনঃ প্রভাকর চৌধুরী

সাম্প্রতিক চাকরির খবর

                                                                    


প্রিয় ক্রিকেট ডটকমঃদেশের চাকরির বাজারে বেশকিছু নতুন জব সার্কুলার প্রকাশিত হয়েছে। দেশের চাকরির বাজারের কিছু  সাম্প্রতিক  জব সার্কুলারের তথ্য এখানে তুলে ধরছি।


বাংলাদেশ ব্যাংকে নিয়োগ


বাংলাদেশ ব্যাংকে অফিসার (জেনারেল) পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।

পদ : অফিসার ( জেনারেল)

পদসংখ্যা : ২০০

যোগ্যতা : যেকোন স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চারবছর মেয়াদি স্মাতক ডিগ্রি বা স্মাতকোওর ডিগ্ৰি।

বয়স : আগ্ৰহী প্রার্থীদের বয়স ২০২০ সালের ২৫ মার্চ তারিখে ১৮-৩০ বছর হতে হবে।তবে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রতিবন্ধীদের ক্ষেএে বয়স সর্বোচ্চ ৩২ বছর।

বেতন : ১৬০০০-৩৮৬৪০ টাকা

আবেদন প্রক্রিয়া: অনলাইন (ভিজিট https://erecruitment.bb.org.bd)

আবেদনের শেষ তারিখ : ৩০/০৯/২০২১


সূত্র : যুগান্তর অনলাইন



পূবালী ব্যাংকে নিয়োগ


দেশের শীর্ষস্থানীয় প্রাইভেট কমার্শিয়াল ব্যাংক পূবালী ব্যাংক লিমিটেডে ডেপুটি জুনিয়র অফিসার (ক্যাশ) পদে জনবল নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।


পদ : ডেপুটি জুনিয়র অফিসার (ক্যাশ)

পদসংখ্যা : ১০৭৫

যোগ্যতা : কোন পর্যায়ে তৃতীয়  বিভাগ ছাড়া ন্যূনতম স্মাতক ডিগ্রি।

অভিজ্ঞতা : সংশ্লিষ্ট (ব্যাংকিং) ক্ষেএে কমপক্ষে দুই বছরের অভিজ্ঞতা।

চাকরির ধরণ : পূর্ণকালীন

বেতন : ৩১২০০ টাকা

বয়স : ২০২১ সালের ৩১ আগষ্ট তারিখে সর্বোচ্চ ৩২ বছর।


আবেদন প্রক্রিয়া : অনলাইন (ভিজিট https://www.pubalibangla.com/career.asp)

আবেদনের শেষ তারিখ : ১৪/১০/২০২১

সূত্র : যুগান্তর অনলাইন



ব্যাংক এশিয়ায় নিয়োগ


দেশের শীর্ষস্থানীয় প্রাইভেট কমার্শিয়াল ব্যাংক 'ব্যাংক এশিয়া লিমিটেডে' ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।

পদ : ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি

পদসংখ্যা : অনির্দিষ্ট

যোগ্যতা : ইউজিসি অনুমোদিত যেকোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চারবছর মেয়াদি স্মাতক ডিগ্রি।


বয়স : সর্বোচ্চ ৩০ বছর

চাকরির ধরণ : পূর্ণকালীন


আবেদন প্রক্রিয়া : অনলাইন (https://www.bankasia-bd.com/about/career)

আবেদনের শেষ তারিখ : ২৬/০৯/২০২১

সূত্র :  বিডিজবস ডটকম



এফআইভিডিবিতে নিয়োগ


দেশের সুপরিচিত প্রাইভেট এনজিও এফআইভিডিবিতে' শাখা ব্যবস্থাপক' ,' কর্মসূচি সহকারী-১ ,পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।

(১) পদ : শাখা ব্যবস্থাপক

পদসংখ্যা : অনির্দিষ্ট

যোগ্যতা  : যেকোন বিষয়ে স্মাতক ডিগ্রি

অভিজ্ঞতা : সংশ্লিষ্ট পদে ৩ বছর কাজের অভিজ্ঞতা। এছাড়া কম্পিউটারে এম এস ওয়ার্ড,এক্সেল সম্পর্কে জানতে হবে ও মটরসাইকেল চালনার বৈধ লাইসেন্স থাকতে হবে।

চাকরির ধরণ : পূর্ণকালীন

বয়স : ২৮-৪৫ বছর

বেতন : ২৩৫০০ টাকা


কর্মক্ষেত্র : ব্রাম্মণবাড়িয়া , মৌলভীবাজার, সিলেট, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, নরসিংদী সদর।

আবেদন প্রক্রিয়া : বিস্তারিত আবেদন প্রক্রিয়া জানতে ভিজিট করুন ( www.bdjobs.com) 

আবেদনের শেষ তারিখ  : ১৯/০৯/২০২১

সূত্র : বিডিজবস ডটকম



(২) পদ : কর্মসূচি সহকারী-১

পদসংখ্যা : ২০

যোগ্যতা : এইসএসসি

অভিজ্ঞতা : ক্ষুদ্র ঋণ কার্যক্রম পরিচালনায় ৩ বছরের অভিজ্ঞতা

চাকরির ধরণ : পূর্ণকালীন

বয়স : ২০-৪৫ বছর

কর্মক্ষেত্র : নরসিংদী,ব্রাম্মণবাড়িয়া, সিলেট

বেতন : ১৫৮৫৬টাকা

আবেদন প্রক্রিয়া : অনলাইন ও ডাকযোগে । বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন (www.bdjobs.com)

সূত্র : বিডিজবস ডটকম


মাহমুদুল্লাহ এখন দেশের সফলতম টিটুয়েন্টি ব্যাটসম্যান

                                                                  


প্রিয় ক্রিকেট ডটকমঃ বাংলাদেশের বর্তমান টিটুয়েন্টি অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ নিজের সাফল্যের পালে নতুন একটি রেকর্ড যুক্ত করলেন। দেশের টিটুয়েন্টি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের রান এখন সবচেয়ে বেশি।কুল ফিনিশার হিসেবে পরিচিত মাহমুদুল্লাহ বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল টিটুয়েন্টি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে অন্যতম। এবার রান সংগ্রহের দিক থেকে আন্তর্জাতিক টিটুয়েন্টিতে দেশসেরা হলেন এই চৌকস ব্যাটসম্যান।


মাহমুদুল্লাহর টিটুয়েন্টি ক্যারিয়ার



বাংলাদেশের টিটুয়েন্টি অধিনায়ক হিসেবে মাহমুদুল্লাহ ইতিমধ্যে নিজেকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ দেশের মাটিতে অষ্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টিটুয়েন্টি সিরিজে জয়লাভ করেছে।এর পাশাপাশি তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি টিটুয়েন্টি ম্যাচ জিতেছে। এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথা হলো মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ বাংলাদেশকে টিটুয়েন্টি ক্রিকেটে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন।এই দেশসেরা টিটুয়েন্টি ব্যাটসম্যানের টিটুয়েন্টি ক্যারিয়ার চিএ এখানে তুলে ধরছি।


মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ইতিমধ্যে ১০২টি আন্তর্জাতিক টিটুয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন যেখানে তাঁর রান সংখ্যা ১৭৭০। এছাড়া আন্তর্জাতিক টিটুয়েন্টিতে এই ব্যাটসম্যানের ৫টি ফিফটি রয়েছে। আন্তর্জাতিক টিটুয়েন্টিতে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংসটি ৬৪ রানের। এসবের সাথে দেশের হয়ে টিটুয়েন্টি ক্রিকেটে ৩৩টি মূল্যবান উইকেটও নিয়েছেন এই তারকা ক্রিকেটার।


বাংলাদেশের শীর্ষ দশ টিটুয়েন্টি ব্যাটসম্যান


বাংলাদেশের টিটুয়েন্টি ব্যাটিং নিয়ে অনেক আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেও ইনডিভিজুয়াল রেকর্ড বিবেচনায় এখানে বেশকজন সফল ব্যাটসম্যান রয়েছেন।বাংলাদে‌শের টিটুয়েন্টি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সবচেয়ে সফল হিসেবে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম,সৌম্য সরকারের নাম বিশেষভাবে স্মরণযোগ্য। বাংলাদেশের শীর্ষ দশ টিটুয়েন্টি ব্যাটসম্যানের পরিসংখ্যান এখানে তুলে ধরছি।


মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ


এই মুহূর্তে বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল টিটুয়েন্টি ব্যাটসম্যান মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ।তিনি বাংলাদেশের হয়ে টিটুয়েন্টি ক্রিকেটে এখন সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক (১৭৭০ রান)।


সাকিব আল হাসান


বাংলাদেশের শীর্ষ দশ টিটুয়েন্টি ব্যাটসম্যানের মধ্যে সাকিব আল হাসান অন্যতম।এই তারকা ব্যাটসম্যান ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক টিটুয়েন্টিতে ১৭৬৩ রান করেছেন।


তামিম ইকবাল


দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবাল টিটুয়েন্টি ক্রিকেটে দেশের অন্যতম সেরা রান সংগ্রাহক।এই বাঁহাতি ওপেনার ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক টিটুয়েন্টিতে ১৭০১ রান করেছেন।



মুশফিকুর রহিম


মুশফিকুর রহিম বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান হিসেবে স্বীকৃত।এই নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যানের আন্তর্জাতিক টিটুয়েন্টি রান বর্তমানে ১৩২১।


সৌম্য সরকার


সৌম্য সরকার বাংলাদেশের অন্যতম সেরা টিটুয়েন্টি ব্যাটসম্যান হিসেবে পরিচিত।এই স্টাইলিশ ওপেনার ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক টিটুয়েন্টিতে ১১০৯ রান করেছেন।


সাব্বির রহমান


সাব্বির রহমান ব্যাট হাতে আন্তর্জাতিক টিটুয়েন্টিতে বেশ সফলতা পেয়েছেন।এই ব্যাটসম্যান দেশের হয়ে টিটুয়েন্টি ক্রিকেটে ৯৪৬ রান সংগ্রহ করেন।



লিটন দাস


লিটন দাস টিটুয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ওপেনারদের একজন।এই তারকা ব্যাটসম্যান আন্তর্জাতিক টিটুয়েন্টিতে ইতিমধ্যে ৭১১ রান করেছেন।


মোহাম্মদ নাঈম


মোহাম্মদ নাঈম বর্তমানে বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে প্রতিভাবান তরুণ ওপেনার হিসেবে পরিচিত।এই বাঁহাতি ওপেনার ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক টিটুয়েন্টিতে ৫৭০ রান করেছেন।


মোঃ আশরাফুল


মোঃ আশরাফুল বাংলাদেশের ক্রিকেটে একসময় বড় আইকন ছিলেন।এই তারকা ব্যাটসম্যান    বাংলাদেশের হয়ে আন্তর্জাতিক টিটুয়েন্টিতে মোট ৪৫০ রান করেন।


মাশরাফি বিন মুর্তজা


বাংলাদেশের সফল ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা দেশের শীর্ষ দশ টিটুয়েন্টি ব্যাটসম্যানের তালিকায় রয়েছেন। মাশরাফি আন্তর্জাতিক টিটুয়েন্টিতে মোট ৩৭৭ রান সংগ্রহ করেন।

কোন স্পিনাররা টি২০ বিশ্বকাপ মাতাবেন

                                                                  


প্রিয় ক্রিকেট ডটকমঃ করোনা মহামারীর মধ্যেই অবশেষে টিটুয়েন্টি বিশ্বকাপ মাঠে গড়াতে যাচ্ছে।যদিও মূল ভেন্যুর (ভারত) বদলে বিকল্প ভেন্যু মধ্যপ্রাচ্যে (সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ওমান) এবারের টিটুয়েন্টি বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে। ইতিমধ্যে বেশকিছু দেশ তাদের চূড়ান্ত স্কোয়াড ঘোষণা করেছে। এছাড়া কে জিতবে এবারের টিটুয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা ,কে হবেন সেরা ব্যাটসম্যান, বোলার ইত্যাদি নিয়ে ইতিমধ্যে ক্রিকেট পাড়ায় আলোচনা শুরু হয়েছে । আমাদের আজকের স্টোরিটি আসন্ন টিটুয়েন্টি বিশ্বকাপের সম্ভাব্য সেরা স্পিনারদের নিয়ে তৈরি করা হয়েছে। 



কারা হবেন  বিশ্বকাপের সেরা স্পিনার



টিটুয়েন্টি ক্রিকেটের শুরু থেকেই স্পিনাররা এর এক প্রধান নিয়ন্ত্রক হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন। এবং টিটুয়েন্টি ক্রিকেটে একজন চৌকস স্পিনার যেকোন মুহুর্তে ম্যাচের গতিপথ পাল্টে দিতে পারেন। সেইসাথে টিটুয়েন্টি ক্রিকেটে একজন কৌশলী স্পিনার যেকোন অধিনায়কের জন্য   বড় এক রসদ। এক্ষেত্রে আসন্ন টিটুয়েন্টি বিশ্বকাপে সম্ভাব্য সেরা স্পিনার হিসেবে বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান, দক্ষিণ আফ্রিকার টি সামসী, ওয়েস্ট ইন্ডিজের হেইডেন ওয়ালস জুনিয়র কিংবা ভারতের যুজবেন্দ্র চাহালের কথা বলা যায়। আসুন কোন স্পিনাররা এবার টিটুয়েন্টি বিশ্বকাপ মাতাবেন তার একটি চিএ দেখে নিই।


দক্ষিণ আফ্রিকার সামসী



দক্ষিণ আফ্রিকা আসন্ন টিটুয়েন্টি বিশ্বকাপের অন্যতম শিরোপা প্রত্যাশী । দুর্দান্ত টপঅর্ডার, অসাধারণ কিছু ফিনিশার এবং একাধিক বিশ্বসেরা বোলার (পেস ও স্পিন) নিয়ে এবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিশ্বকাপ মিশন শুরু হবে।আর দক্ষিণ আফ্রিকার বিশ্বকাপ মিশনে  বড়  হাতিয়ার হয়ে  উঠতে পারেন স্পিনার টি সামসী। সাম্প্রতিক সময়ে টি সামসী টিটুয়েন্টি ও ওয়ানডে ক্রিকেটে দারুণ বোলিং করছেন। উল্লেখ্য সামসী ইতিমধ্যে ৩৯টি আন্তর্জাতিক টিটুয়েন্টি ম্যাচ খেলে ৪৫টি উইকেট নিয়েছেন।


বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান



বাংলাদেশের টিটুয়েন্টি বিশ্বকাপে সাফল্য অনেকাংশে সাকিব আল হাসানের উপর নির্ভর করবে। আন্তর্জাতিক টিটুয়েন্টি ক্রিকেটে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি এই স্পিনার এবারের টিটুয়েন্টি বিশ্বকাপে জ্বলে উঠতে পারেন। এছাড়া সাকিব এই মুহূর্তে টিটুয়েন্টি ক্রিকেটে সবচেয়ে সফল স্পিনারদের মধ্যে অন্যতম। সেইসাথে মধ্যপ্রাচ্যের উইকেট স্পিন সহায়ক হতে পারে।আর স্পিন সহায়ক স্পোটিং উইকেটে সাকিব বরাবরই সফল। উল্লেখ্য সাকিব আল হাসান ইতিমধ্যে ৮৭টি আন্তর্জাতিক টিটুয়েন্টি ম্যাচ খেলে ১০৬টি উইকেট নিয়েছেন।



ওয়েস্ট ইন্ডিজের হেইডেন ওয়ালস



আসন্ন টিটুয়েন্টি বিশ্বকাপে সম্ভাব্য সেরা স্পিনারদের মধ্যে উইন্ডিজ স্পিনার হেইডেন ওয়ালস জুনিয়রের নামটিও উচ্চারিত হচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে এই তরুণ স্পিনার চমৎকার বোলিং করছেন।হেইডেন ওয়ালস খুবই চৌকস স্পিনার।হেইডেন ওয়ালসের আরেকটি অসাধারণ গুণ  কুইক ভেলিভারি যা ব্যাটসম্যানদের জন্য প্রায়ই বিব্রতকর হয়ে উঠে। সবকিছু মিলিয়ে আসন্ন টিটুয়েন্টি বিশ্বকাপের উইকেট স্পোটিং হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি এবং সেখানে হেইডেন ওয়ালসের সাফল্যের ভালো সম্ভাবনা রয়েছে। হেইডেন ওয়ালস জুনিয়র ইতিমধ্যে ২০টি আন্তর্জাতিক টিটুয়েন্টি ম্যাচ খেলে ১৯টি উইকেট নিয়েছেন।




ভারতের রবীন্দ্র জাদেজা



রবীন্দ্র জাদেজা ভারতের টিটুয়েন্টি ক্রিকেটের অন্যতম সেরা স্পিনার। ভারতের বিশ্বকাপ মিশনে যুক্ত হলে জাদেজাও আসন্ন টিটুয়েন্টি বিশ্বকাপে জ্বলে উঠতে পারেন।অভিজ্ঞ ও নিখুঁত স্পিনার হিসেবে রবীন্দ্র জাদেজা বরাবরই সফল এক নাম।যদি ভারতের বিশ্বকাপ স্কোয়াডে জায়গা পান তাহলে এই কৌশলী স্পিনার দারুণ কিছু করবেন বলেই আমাদের ধারণা। রবীন্দ্র জাদেজা ইতিমধ্যে ৫০টি আন্তর্জাতিক টিটুয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন যেখানে তাঁর উইকেট সংখ্যা ৩৯।


ইংল্যান্ডের আদিল রশিদ



এই সময়ের টিটুয়েন্টি ক্রিকেটে সবচেয়ে চৌকস স্পিনারদের মধ্যে ইংল্যান্ডের আদিল রশিদ অন্যতম।ব্রেকথ্রো স্পিনার হিসেবে আদিল রশিদ এক অতুলনীয় বোলার। নিখুঁত স্পিনের সাথে কুইক ভেলিভারি আদিল রশিদের বিশেষ গুণ।আসন্ন টিটুয়েন্টি বিশ্বকাপে এই স্পিনার প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানদের জন্য মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠতে পারেন।আদিল রশিদ ইতিমধ্যে ইংল্যান্ডের হয়ে ৬২টি টিটুয়েন্টি ম্যাচ খেলে মোট ৬৫টি উইকেট নিয়েছেন।




অষ্ট্রেলিয়ার এডাম জাম্পা



অষ্ট্রেলিয়ার আসন্ন টিটুয়েন্টি বিশ্বকাপ মিশনে এডাম জাম্পা এক গুরুত্বপূর্ণ নাম। অভিজ্ঞতা ও সাফল্য বিবেচনায় জাম্পা এই মুহূর্তে বিশ্বের অন্যতম সেরা লেগ স্পিনার। তাছাড়া জাম্পা অত্যন্ত কৌশলী স্পিনার হিসেবে পরিচিত।ব্রেকথ্রো স্পিনার হিসেবেও জাম্পার ব্যাপক সফলতা রয়েছে। এবং এসবকিছু বিবেচনায় এডাম জাম্পা আসন্ন টিটুয়েন্টি বিশ্বকাপের এক সফল বোলার হয়ে উঠতে পারেন বলে আমাদের ধারণা। উল্লেখ্য এডাম জাম্পা ইতিমধ্যে ৫০ টি আন্তর্জাতিক টিটুয়েন্টি ম্যাচ খেলে ৫২টি উইকেট নিয়েছেন।


ভারতের যুজবেন্দ্র চাহাল



আসন্ন টিটুয়েন্টি বিশ্বকাপের উইকেট স্পিনারদের জন্য সুবিধাজনক হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে টিটুয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পেলে ভারতের যুজবেন্দ্র চাহাল হয়ে উঠতে পারেন এক সেরা বোলার।এই কৌশলী স্পিনার এমনিতেই টিটুয়েন্টি ক্রিকেটে দারুণ সফল এবং  এবার টিটুয়েন্টি বিশ্বকাপে বল হাতে চমক দেখাতে পারেন এই বোলার।চাহাল ইতিমধ্যে ৪৯টি আন্তর্জাতিক টিটুয়েন্টি খেলেছেন যেখানে তাঁর উইকেট সংখ্যা ৬৩।


নিউজিল্যান্ডের ইস সোদি



বর্তমান টিটুয়েন্টি ক্রিকেটের অন্যতম সেরা স্পিনার ইস সোদি।এই কিউই স্পিনার এবারের টিটুয়েন্টি বিশ্বকাপে দারুণ কিছু করবেন বলেই আমাদের ধারণা।ইস সোদি স্পোটিং উইকেটে চমৎকার বোলিং করে থাকেন। এবং এবার নিউজিল্যান্ডের বিশ্বকাপ সাফল্য ব্যাপকভাবে এই স্পিনারের  উপর নির্ভর করবে। টিটুয়েন্টি ক্রিকেটে বল হাতে ইস সোদির অসাধারণ সফলতা রয়েছে।সোদির টিটুয়েন্টি রেকর্ডের দিকে তাকালে দেখা যায় তিনি ইতিমধ্যে ৫৭টি আন্তর্জাতিক টিটুয়েন্টি ম্যাচ খেলে ৭৩টি উইকেট নিয়েছেন।


আফগানিস্তানের রশিদ খান


এবার টিটুয়েন্টি বিশ্বকাপে আফগানিস্তান সরাসরি মূল পর্বে খেলবে। এবং আফগানিস্তানের  সাম্প্রতিক টিটুয়েন্টি সাফল্যের অন্যতম রূপকার রশিদ খান। অসাধারণ প্রতিভাবান এই লেগস্পিনারের দিকে এবার টিটুয়েন্টি বিশ্বকাপে সবার দৃষ্টি থাকবে। কৌশলী এই লেগস্পিনার মধ্যপ্রাচ্যের উইকেটে আগেও সফলতা পেয়েছেন এবং এবারো তেমন কিছু ঘটবে বলেই আমাদের ধারণা। উল্লেখ্য রশিদ খান ইতিমধ্যে ৫১টি টিটুয়েন্টি ম্যাচ খেলে ৯৫টি উইকেট নিয়েছেন।


শ্রীলঙ্কার হাসারাঙ্গা



২০২১ সালে শ্রীলঙ্কার স্পিন বোলিংয়ে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা।এই সময়ের ক্রিকেটের অন্যতম সেরা এক লেগস্পিনার হাসারাঙ্গা।বল হাতে নিয়মিত সাফল্য পাচ্ছেন। হাসারাঙ্গা খুবই কৌশলী স্পিনার । আসন্ন টিটুয়েন্টি বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বড় ভরসার নাম ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। ধারণা করা হচ্ছে এই তারকা স্পিনার এবারের টিটুয়েন্টি বিশ্বকাপে বল হাতে জ্বলে উঠবেন। উল্লেখ্য ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ইতিমধ্যে ২১টি আন্তর্জাতিক টিটুয়েন্টি ম্যাচ খেলে মোট ৩৩টি উইকেট নিয়েছেন।



পাকিস্তানের সাদাব খান 



এবারের পাকিস্তান বিশ্বকাপ স্কোয়াডে সহ-অধিনায়ক হিসেবে সাদাব খানের নাম রয়েছে।সাদাব খান টিটুয়েন্টি ক্রিকেটে খুবই সফল এক স্পিনার।চৌকস ও কৌশলী স্পিনার হিসেবে আসন্ন টিটুয়েন্টি বিশ্বকাপে সাদাব খান দারুণ কিছু করবেন বলেই আমাদের ধারণা।সাদাব খান ইতিমধ্যে ৫৩টি আন্তর্জাতিক টিটুয়েন্টি ম্যাচ খেলে ৫৮টি উইকেট নিয়েছেন।

কোন স্মার্টফোন কিনবেন

                                                                   



প্রিয় ক্রিকেট ডটকমঃ এখনকার দৈনন্দিন জীবনে স্মার্টফোন অনেকভাবে  সহায়ক হিসেবে ভূমিকা রাখছে। আপনার বাসা ও কর্মক্ষেএ দুইয়ের কাজেই স্মার্টফোন এখন দরকারি এক ডিভাইস।একটি স্মার্টফোন অনেক ক্ষেত্রে আপনার গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী হয়ে উঠছে। সামাজিক যোগাযোগ, প্রাতিষ্ঠানিক যোগাযোগ,সংবাদ জানা,পএিকা পড়া ইত্যাদি অনেক দৈনন্দিন কাজ এখন হাতের স্মার্টফোন দ্বারা করা যায়।তাই স্মার্টফোন প্রায় সবার কাছেই এক গুরুত্বপূর্ণ জিনিস।আসুন স্মার্টফোন ক্রয়ের কিছু টিপস এবং এই সময়ের সাশ্রয়ী দামের কিছু স্মার্টফোন সম্পর্কে জেনে নিই।


স্মার্টফোন কেনার আগে


স্মার্টফোন ছাড়া এখন জীবন কল্পনা করা বেশ কঠিন।ঘরে কিংবা বাইরে সর্বএ স্মার্টফোনের প্রয়োজন এখন ব্যাপক।তবে এক্ষেত্রে স্মার্টফোন থেকে ভালো অভিজ্ঞতা পেতে চাইলে আপনাকে এই ডিভাইসটি কেনার আগে কিছু বিষয় জেনে নিতে হবে।তাহলে স্মার্টফোন ক্রয়ের পর ভালো সাপোর্ট পাবেন।টেক বিশেষজ্ঞদের মতে স্মার্টফোন কেনার আগে কিছু বিষয় দেখে নেয়া ভালো তাহলে সঠিক ডিভাইসটি আপনি ক্রয় করতে সক্ষম হবেন। স্মার্টফোন কেনার আগে এই বিষয়গুলো জেনে নিন।


ব্রান্ড


অবশ্যই স্মার্টফোন কেনার আগে এর ব্রান্ড সম্পর্কে জেনে নিন।কারণ ভালো ব্রান্ডের স্মার্টফোন কিনলে ভালো পারফরম্যান্স ও সঠিক বিক্রয়োত্তর সেবা পাবেন।তাই স্মার্টফোন কেনার আগে বিভিন্ন স্মার্টফোন ব্রান্ড সম্পর্কে জেনে নিন।


মেমোরি


স্মার্টফোন কেনার আগে ডিভাইসটির মেমোরি সম্পর্কে জেনে নিন।কারণ টেক বিশেষজ্ঞদের মতে  মেমোরি যত বেশি হবে স্মার্টফোনের পারফরম্যান্স তত ভালো হবে।তাই স্মার্টফোন কেনার সময় বেশি মেমোরির ডিভাইস ক্রয়ের চিন্তা করুন।


অপারেটিং সিস্টেম

স্মার্টফোনের  নিরাপত্তা ও ভালো পারফরম্যান্স পেতে এর অপারেটিং সিস্টেম খুব গুরুত্বপূর্ণ।তাই স্মার্টফোন কেনার আগে এর অপারেটিং সিস্টেমের সর্বশেষ ভার্সনটি সিলেক্ট করুন। কারণ অপারেটিং সিস্টেমের ভার্সনটি আপডেট থাকলে আপনার ডিভাইসের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা দুইই ভালো হবে।


ক্যামেরা


স্মার্টফোন এখন আমাদের প্রাত্যহিক জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সঙ্গী।বাসা ও কর্মক্ষেএ দুইয়ের কাজেই প্রায়ই স্মার্টফোনের প্রয়োজন পড়ে। স্মার্টফোন কেনার আগে এর ক্যামেরার মান সম্পর্কে জেনে নিন।কারণ বিভিন্ন কাজে আমাদের স্মার্টফোন দিয়ে ছবি নিতে হয় তাই ভালো ক্যামেরা না থাকলে সেটি সম্ভব হবে না।তাই স্মার্টফোন কেনার আগে এর ক্যামেরা সম্পর্কে জেনে নিন।


ব্যাটারী


স্মার্টফোনের সেরা পারফরম্যান্স পেতে হলে এর ব্যাটারীর ক্ষমতা ভালো হতে হবে।ব্যাটারীর ক্ষমতা যত বেশি হবে স্মার্টফোনের পারফরম্যান্স তত ভালো হবে।যদি আপনার স্মার্টফোনটিতে উপরিউক্ত সব সুবিধা থাকে কিন্তু এর ব্যাটারী হয় দুর্বল তাহলে আপনি স্মার্টফোন থেকে সেরা পারফরম্যান্স নাও পেতে পারেন।তাই স্মার্টফোন কেনার সময়  কমপক্ষে ৩ হাজার এমএএইস ক্ষমতার ব্যাটারীর স্মার্টফোন চোজ করুন।


এই সময়ের সাশ্রয়ী স্মার্টফোন


এখন বাজারে বিভিন্ন নতুন ও পুরনো ব্রান্ডের স্মার্টফোন রয়েছে। এছাড়া স্মার্টফোনের বাজারে এখন ভালো ব্রান্ডের বেশকিছু স্মার্টফোন রয়েছে যেগুলোর দামও বেশ সাশ্রয়ী। আসুন এই সময়ের কিছু সাশ্রয়ী স্মার্টফোনের বাজারদর দেখে নিই (সূত্র : ক্লাসিপ্রাইস)।


স্যামসাং গ্যালাক্সি এ ০১



এই সময়ের স্মার্টফোনের বাজারে  সাশ্রয়ী দামের সেরা একটি ডিভাইস স্যামসাং গ্যালাক্সি এ ০১। এই স্মার্টফোনটির বিভিন্ন ফিচার দেখে নিন।

অপারেটিং সিস্টেম : এন্ড্রোয়েড ১০

সিম : ডুয়াল

মেমোরি : রেম ৮ জিবি / রম ১২৮ জিবি

ব্যাটারী : ৩০০০ এমএএইস

দাম : ৬৯৯৯ টাকা



ইনফিনিক্স হট ৯ লাইট


এই সময়ের এক সাশ্রয়ী স্মার্টফোন হচ্ছে ইনফিনিক্স হট ৯ লাইট।এই স্মার্টফোনটির বিভিন্ন ফিচার দেখে নিন।


অপারেটিং সিস্টেম : এন্ড্রোয়েড ১০

সিম : ডুয়াল

মেমোরি : রেম ২,৩ জিবি / রম ৩২,৬৪ জিবি

ব্যাটারী : ৫০০০ এমএএইস

দাম : ৭৫০০ টাকা



ইনফিনিক্স এস৫ লাইট


ইনফিনিক্স এস৫ লাইট এই সময়ের সাশ্রয়ী দামের সেরা স্মার্টফোনগুলোর একটি।এই ফোনটির ফিচার দেখে নিন।

অপারেটিং সিস্টেম : এন্ড্রোয়েড ৯

সিম : ডুয়াল

মেমোরি : রেম ৩,৪জিবি / রম ৩২,৬৪ জিবি

ব্যাটারী : ৪০০০ এমএএইস

দাম : ৯৫০০ টাকা


নকিয়া সি ৩


নকিয়া ব্রান্ডের নকিয়া সি৩ একটি সেরা স্মার্টফোন। ফোনটির বিভিন্ন ফিচার দেখে নিন।

অপারেটিং সিস্টেম : এন্ড্রোয়েড ১০

সিম : ডুয়াল

মেমোরি : রেম ৩ জিবি / রম ৩২ জিবি

ব্যাটারী : ৩০৪০ এমএএইস

দাম : ১০০০০টাকা


শাওমি রেডমি ৯সি


শাওমি রেডমি ৯সি এই সময়ের স্মার্টফোনের বাজারে সাশ্রয়ী দামের একটি সেরা ফোন। ফোনটির বিভিন্ন ফিচার দেখে নিন।

অপারেটিং সিস্টেম : এন্ড্রোয়েড ১০

সিম : ডুয়াল

মেমোরি : রেম ২,৪জিবি / রম ৩২,৬৪ জিবি

ব্যাটারী : ৫০০০ এমএএইস

দাম : ৯০০০ টাকা

অধিনায়ক হিসেবে রিয়াদের মাইলফলক

                                                                     


প্রিয় ক্রিকেট ডটকমঃ বাংলাদেশের টিটুয়েন্টি অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ এখন দেশের ক্রিকেটে সবচেয়ে সফল টিটুয়েন্টি দলনেতা। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে চলমান টিটুয়েন্টি সিরিজে রিয়াদ বাংলাদেশের টিটুয়েন্টি অধিনায়ক হিসেবে সর্বাধিক ম্যাচ জয়ের রেকর্ড গড়েন।এর আগে দেশের সবচেয়ে সফল টিটুয়েন্টি অধিনায়ক ছিলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। মাহমুদুল্লাহর নেতৃত্বে বাংলাদেশ টিটুয়েন্টি ক্রিকেটে দারুণ কিছু সাফল্য পেয়েছে(অসিদের বিপক্ষে সিরিজজয় অন্যতম) এবং আসন্ন টিটুয়েন্টি বিশ্বকাপেও এই তারকা অলরাউন্ডার বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেবেন।



বাংলাদেশের শীর্ষ টিটুয়েন্টি অধিনায়ক



বাংলাদেশের টিটুয়েন্টি ক্রিকেট ইতিমধ্যে সাতজন অধিনায়ক পেয়েছে। বাংলাদেশের টিটুয়েন্টি অধিনায়ক হিসেবে উল্লেখযোগ্য হচ্ছেন মোঃ আশরাফুল,সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মাশরাফি বিন মুর্তজা ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ।তবে এদের সবার মধ্যে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের সাফল্যের হার সবচেয়ে বেশি। রিয়াদের নেতৃত্বে বাংলাদেশ মোট ২৪ টি টিটুয়েন্টি ম্যাচ খেলে ১২টিতে জয় পেয়েছে।এর আগে মাশরাফির নেতৃত্বে বাংলাদেশ টিম ১০টি টিটুয়েন্টি ম্যাচ জিতেছিল। এছাড়া মুশফিকের নেতৃত্বে বাংলাদেশ ৮টি টিটুয়েন্টি ম্যাচ জিতেছে। সাকিবের ক্যাপ্টেনসিতে বাংলাদেশ ৭টি টিটুয়েন্টি ম্যাচ জিতেছে। আশরাফুলের নেতৃত্বে বাংলাদেশ টিম ২টি টিটুয়েন্টি ম্যাচে জয় পেয়েছে।


শীর্ষ পাঁচ টিটুয়েন্টি অধিনায়ক



টিটুয়েন্টি ক্রিকেট ক্রিকেটের সবচেয়ে ছোট আন্তর্জাতিক সংস্করণ । এবং ক্রিকেটীয় উওেজনা, ধুন্ধুমার ব্যাটবলের লড়াই ইত্যাদি বিবেচনায় ক্রিকেটের এই ছোট সংস্করণ ইতিমধ্যে দারুণ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এবং ২০ ওভারের ক্রিকেটে যেখানে খুব দ্রুততম সময়ে খেলায় অবতীর্ণ হতে হয় সেক্ষেত্রে একজন অধিনায়ককে এখানে বেশ কঠিন দায়িত্ব পালন করতে হয়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথা হলো টিটুয়েন্টি ক্রিকেটে 'ডু ওর ডাই' সিচুয়েশন থেকে একজন অধিনায়ককে বেষ্ট ফর্মুলা নির্ধারণ করতে হয়।আর এসবকিছু বিবেচনায় ক্রিকেটের এই ছোট ফরম্যাটের অধিনায়কত্ব সর্বদা খেলাটির এক আলোচিত  চরিএ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। টিটুয়েন্টি ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন এমন পাঁচ অধিনায়কের পরিসংখ্যান এখানে তুলে ধরছি।


এম এস ধোনি


টিটুয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে সর্বাধিক ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন ভারতের সাবেক তারকা অধিনায়ক এম এস ধোনি।ধোনির নেতৃত্বে ভারত ৭২ টি টিটুয়েন্টি ম্যাচ খেলে ৪১টিতে জয় পেয়েছে।


এউইন মরগান


টিটুয়েন্টি ক্রিকেটের সফল অধিনায়কদের মধ্যে এউইন মরগান অন্যতম।ইংল্যান্ডের টিটুয়েন্টি ক্যাপ্টেন এউইন মরগানের নেতৃত্বে ইংলিশরা ৬৪টি টিটুয়েন্টি ম্যাচ খেলে ৩৭টিতে জয় পেয়েছে।


উইলিয়াম পোটারফিল্ড


আয়ারল্যান্ডের টিটুয়েন্টি অধিনায়ক উইলিয়াম পোটারফিল্ড ৫৬টি ম্যাচে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন যেখানে ২৬টি ম্যাচে আয়ারল্যান্ড দল জয়ী হয়েছে।


আজগর স্টানিকজাই


আন্তর্জাতিক টিটুয়েন্টি ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ নেতৃত্ব দেয়ার ক্ষেএে আফগানিস্তানের আজগর স্টানিকজাই ( আজগর আফগান) চতুর্থ অবস্থানে রয়েছেন।আজগর ৫২টি টিটুয়েন্টি ম্যাচে আফগানিস্তানকে নেতৃত্ব দিয়েছেন যেখানে ৪২টি ম্যাচে তাঁর দল জয়ী হয়েছে।



অ্যারন ফিঞ্চ


আন্তর্জাতিক টিটুয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি ম্যাচে নেতৃত্ব দেয়ার ক্ষেএে অষ্ট্রেলিয়ার অ্যারন ফিঞ্চের নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।ফিঞ্চ মোট ৪৯টি টিটুয়েন্টি ম্যাচে অসিদের নেতৃত্ব দিয়েছেন যেখানে ২৩টি ম্যাচে জয়লাভের রেকর্ড রয়েছে।

ক্রিকেট থেকে ডেল স্টেইনের অবসর

                                                                 


প্রিয় ক্রিকেট ডটকমঃ দক্ষিণ আফ্রিকার সর্বকালের অন্যতম সেরা পেসার ডেল স্টেইন সবধরণের ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন।সম্প্রতি এক টুইট বার্তায় স্টেইন সবধরণের ক্রিকেট থেকে নিজের অবসরের কথা জানান (সূত্র: ইএসপিএন ক্রিকইনফো)।আর এর ফলে মাঠের ক্রিকেট থেকে এই পেসতারকা বিদায় নিলেন। এবং এর ফলে স্টেইনকে আর বল হাতে দৌড়াতে দেখা যাবে না। উল্লেখ্য ক্রিকেটের তিন ফরম্যাট মিলিয়ে ডেল স্টেইন মোট ২৬৫টি ম্যাচ খেলেছেন যেখানে তাঁর মোট সংগ্রহ ৬৯৯ উইকেট।ডেল স্টেইনের ক্যারিয়ার ও বিভিন্ন রেকর্ডচিএ এখানে তুলে ধরছি।



ডেল স্টেইনের ইউনিক বৈশিষ্ট্য



ডেল স্টেইন দক্ষিণ আফ্রিকা তথা ক্রিকেটের সর্বকালের সেরা বোলারদের মধ্যে অন্যতম। দারুণ গতি, নিখুঁত ভেলিভারি,ভেরিয়েশন ইত্যাদি বিবেচনায় ডেল স্টেইন পেস বোলিংয়ের এক তুলনাহীন চরিত্র।আর এসবের মিশেলে স্টেইন নিজেকে ক্রিকেটের রেকর্ড বইয়ের এক অনন্য চরিত্রে পরিণত করেন। স্টেইনের ক্যারিয়ারে একাধিকবার ইনজুরি ইত্যাদি কারণে ছন্দপতন ঘটেছে তবু শেষপর্যন্ত এই কিংবদন্তি ফাষ্টবোলার নিজেকে সফল এক পেসার হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে সমর্থ হন। স্টেইনের বোলিংয়ের কিছু ইউনিক বৈশিষ্ট্য নিয়ে এখানে আলোচনা করছি।



নিখুঁত ভেলিভারি



ডেল স্টেইনের এক উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য তাঁর নিখুঁত ভেলিভারি। এবং এই ডেলিভারির মাধ্যমে স্টেইন বিশ্বের সব কন্ডিশনে সফলতা পেয়েছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার বাউন্সি উইকেটে যেমন তাঁর সহজাত ভেলিভারি কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে তেমনি এশিয়ার ব্যাটিং উইকেটেও স্টেইন সফলতা পেয়েছেন। এক্ষেত্রে তাঁর বড় শক্তি ছিল নিখুঁত ভেলিভারি ও গতি।এর ফলে স্টেইনকে খেলার সময় ব্যাটসম্যানদের বাড়তি সচেতনতা ও অনুশীলনের প্রয়োজন পড়তো।



চমৎকার ফিটনেস



এই সময়ের ক্রিকেটে ফিটনেস খুব গুরুত্বপূর্ণ এক বিষয়। এবং পেস বোলারদের জন্য ফিটনেস আরো বেশি জরুরী।ডেল স্টেইনের অসাধারণ পেসের মূল সহায়ক ছিল তাঁর চমৎকার ফিটনেস। ভালো ফিটনেসের কারণে ডেল স্টেইন তাঁর ভেলিভারি এবং গতির মধ্যে দারুণ সমন্বয়  করতে সমর্থ হন। হয়তো খুঁজলে দেখা যাবে গত দুই তিন দশকের সবচেয়ে ফিট পেসারদের মধ্যে ডেল স্টেইনের নামটিও রয়েছে।



কার্যকর গতি



ডেল স্টেইনের বোলিংয়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি বৈশিষ্ট্য কার্যকর গতি। তাঁর বোলিংয়ের গতির মধ্যে চমৎকার কন্ট্রোল দেখা যায় যা এই গ্ৰেট পেসারের সাফল্যের অন্যতম নিয়ামক।গতির সাথে বলের কন্ট্রোল দারুণ থাকার ফলে স্টেইন ব্যাটসম্যানদের সহজে পরীক্ষায় ফেলতে সক্ষম হয়েছেন।সেই সাথে স্টেইনের বলে  ছিল সুইং ও ভেরিয়েশন।ফলে নিখুঁত ভেলিভারির সাথে গতির চমৎকার সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে স্টেইন নিজেকে এক অনন্য পেসার হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন।



দারুণ ভেরিয়েশন



একজন বোলারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গুণগুলোর একটি হচ্ছে কার্যকর ভেরিয়েশন।আর পেসারদের ক্ষেএে ভেরিয়েশন ছাড়া বোলিংয়ে সাফল্যের সম্ভাবনা খুবই কম থাকে।ডেল স্টেইনের বোলিংয়ের বড় এক শক্তি ভেরিয়েশন। ইনসুইং,আউটসুইং, অসাধারণ ইয়র্কার এসব কিছু মিলে স্টেইনের বোলিং বারবার সব পেসারের জন্য বড় এক অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছে।তুমুল গতির সাথে ভেরিয়েশন দিয়ে স্টেইন নিজেকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যান। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথা হলো তুমুল গতি ও দারুণ ভেরিয়েশনের জন্য এই গ্ৰেট পেসার সবধরণের উইকেটে সফলতা পেয়েছেন।



ডেল স্টেইনের ক্যারিয়ারচিএ


ডেল স্টেইন ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটেই সফলতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। জাতীয় দলের পাশাপাশি বিশ্বের বিভিন্ন ফ্রাঞ্চাইজি ও প্রথমশ্রেণীর ক্রিকেট লিগে তাঁর অসাধারণ সব বোলিংয়ের উদাহরণ রয়েছে।


টেস্ট ক্যারিয়ার


ডেল স্টেইন ২০০৪ সালে টেস্ট ক্রিকেট শুরু করেন।এই গ্ৰেট পেসার ৯৩টি টেস্ট ম্যাচ খেলে মোট ৪৩৯টি উইকেট নেন। টেস্ট ক্রিকেটে স্টেইন ৫বার ম্যাচে ১০ উইকেট নিয়েছেন। এছাড়া ক্রিকেটের এই অভিজাত ফরম্যাটে স্টেইন মোট ২৬বার ম্যাচে ৫ উইকেট নিয়েছেন। সেরা বোলিং ৭/৫১। এছাড়া টেষ্টে ব্যাট হাতে ২টি করেছেন স্টেইন।



ওয়ানডে ক্যারিয়ার


স্টেইনের ওয়ানডে অভিষেক হয় ২০০৫ সালে। তিনি ১২৫টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলে মোট ১৯৬টি উইকেট নেন। ওয়ানডে ক্রিকেটে স্টেইন মোট ৩বার ম্যাচে ৫ উইকেট নিয়েছেন। সেরা বোলিং ৬/৩৯। ওয়ানডে ক্রিকেটে ব্যাট হাতে তাঁর ১টি ফিফটি রয়েছে।



টিটুয়েন্টি ক্যারিয়ার


ডেল স্টেইন ২০০৭ সালে টিটুয়েন্টি ক্রিকেটে অভিষিক্ত হন তারপর ৪৭টি টিটুয়েন্টি ম্যাচ খেলে এই তারকা পেসার মোট ৬৪টি উইকেট নিয়েছেন।সেরা বোলিং ৪/৯।



ডেল স্টেইন যেসব টিমে খেলেছেন



ডেল স্টেইন ক্যারিয়ারজুড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা জাতীয় দলের পাশাপাশি বিশ্বের বিভিন্ন প্রথমশ্রেণীর ক্রিকেট লিগে খেলেছেন। স্টেইন যেসব টিমের হয়ে প্রথমশ্রেণীর ক্রিকেট খেলেছেন তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে নর্দানস,টাইটানস,এসেক্স, ওয়ারউইকশায়ার, রয়াল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু,গ্লামারগাণ, কেপটাউন ব্লিজ, জামাইকা তালাওয়াশ, মেলবোর্ন স্টারস ।




উল্লেখযোগ্য স্বীকৃতি


১.ডেল স্টেইন ২০০৮ সালে আইসিসি টেস্ট প্লেয়ার অব দ্য ইয়ার মনোনিত হন।


২.২০১১-২০২০ আইসিসি টেস্ট টিম অব দ্য ডিকেইডে তাঁর নাম রয়েছে।


৩.২০০৮ সালে স্টেইন দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ষসেরা ক্রিকেটার মনোনিত হন।


৪.২০১৩ সালে স্টেইন উইজডেন লিডিং ক্রিকেটার মনোনিত হন।


৫.২০১৪ সালে এই তারকা পেসার উইজডেন বর্ষসেরা ক্রিকেটার মনোনিত হন।