WHAT'S NEW?
Loading...

স্টয়নিসের আইপিএল হিষ্ট্রি

                                                                  

প্রিয় ক্রিকেট ডটকমঃ মারকাস স্টয়নিস এই সময়ের ক্রিকেটের এক জনপ্রিয় অলরাউন্ডার। ওয়ানডে ও টিটুয়েন্টি ক্রিকেটে অসাধারণ ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি মিডিয়াম পেস বোলার হিসেবে দারুণ সফল এই অসি তারকা। স্টয়নিস অসাধারণ ফিল্ডার হিসেবেও সমাদৃত। আইপিএলেও বেশ সফল এই অলরাউন্ডার।ব্যাট হাতে দুর্দান্ত সব ইনিংসের পাশাপাশি আইপিএলে বল হাতেও নিয়েছেন বেশকিছু উইকেট। এছাড়া গেমচেঞ্জার ও ফিনিশার হিসেবে আইপিএলে স্টয়নিসের ব্যাপক সাফল্য রয়েছে। এখানে মারকাস স্টয়নিসের আইপিএল ক্যারিয়ার নিয়ে আলোচনা করছি।


যেসব ফ্রাঞ্চাইজিতে খেলেছেন

স্টয়নিস ২০১৬ থেকে ২০১৮ আইপিএল পর্যন্ত কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের হয়ে খেলেছেন।২০১৮ আইপিএলে এই তারকা অলরাউন্ডার রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে খেলেছেন।২০২০ থেকে বর্তমান আইপিএল পর্যন্ত দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে খেলছেন।

স্টয়নিসের আইপিএল ক্যারিয়ার

আইপিএলে মারকাস স্টয়নিস অলরাউন্ডার হিসেবে বেশ জনপ্রিয়।মূলত ব্যাটসম্যান হলেও এই অসি তারকা মিডিয়াম পেসার হিসেবেও দারুণ কার্যকর।স্টয়নিস স্লগওভারে ফিনিশার হিসেবেও দারুণ সফল।এই তারকা অলরাউন্ডার ২০১৬ সাল থেকে আইপিএলে অংশগ্রহণ করছেন। স্টয়নিস ইতিমধ্যে আইপিএলে  ৫৩ টি ম্যাচ খেলেছেন এবং তাতে ৪ ফিফটিসহ তাঁর সংগ্রহ৮৯৬  রান।বল হাতে আইপিএলে ৩০ টি উইকেট নিয়েছেন এই অলরাউন্ডার।

আইপিএল ২০১৬


আইপিএলের ২০১৬ সালের আসরে স্টয়নিস প্রথম অংশগ্ৰহন করেন। এবং সেই আসরে ৭ ম্যাচ খেলে ১৪৬ রান করেন। এছাড়া বল হাতে নেন ৮টি উইকেট।

আইপিএল ২০১৭


২০১৭ আইপিএলে এই তারকা অলরাউন্ডার ৫ ম্যাচ খেলে ব্যাট হাতে ১৭ রানের পাশাপাশি বল হাতে ২টি উইকেট নেন।

আইপিএল ২০১৮


আইপিএলের ২০১৮আসরে স্টয়নিস ব্যাট হাতে ৭ ম্যাচে ৯৯রানের পাশাপাশি বল হাতে ৩টি উইকেট নেন।

আইপিএল ২০১৯


আইপিএল ২০১৯ এ স্টয়নিস ১০ ম্যাচ খেলে ব্যাট হাতে ২১১ রানের পাশাপাশি বল হাতে ২টি উইকেট নেন।

আইপিএল ২০২০


আইপিএল ২০২০ আসরে এই তারকা অলরাউন্ডার ১৭ ম্যাচ খেলে ব্যাট হাতে ৩ফিফটিসহ ৩৫২ রান করেন এবং বল হাতে নেন ১৩টি উইকেট।

আইপিএল ২০২১


আইপিএলের বর্তমান (২০২১) আসরে মারকাস স্টয়নিস ইতিমধ্যে ৭টি ম্যাচ খেলেছেন এবং তাতে ব্যাট হাতে তাঁর সংগ্রহ ৭১রান ও বল হাতে নিয়েছেন ২টি উইকেট।

সুরেশ রায়নার আইপিএল হিষ্ট্রি

                                                               

    

প্রিয় ক্রিকেট ডটকমঃ ভারতীয় ক্রিকেট লিজেন্ড সুরেশ রায়না আইপিএলের ইতিহাসে সফল ব্যাটসম্যানদের অন্যতম।এই গ্ৰেট অলরাউন্ডার ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে বিপুল সংখ্যক রেকর্ডের মালিক।যদিও রায়না ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা অলরাউন্ডারদের একজন তবু আইপিএলে এই তারকা ক্রিকেটার ব্যাটসম্যান হিসেবে বেশি সফলতা পেয়েছেন। এছাড়া আইপিএলে দারুণ সব ফিল্ডিংয়ের জন্য রায়নার নামটি বিশেষভাবে স্মরণযোগ্য। এখানে সুরেশ রায়নার আইপিএল ক্যারিয়ার নিয়ে আলোচনা করছি।


যেসব ফ্রাঞ্চাইজিতে খেলেছেন


সুরেশ রায়নার আইপিএল জার্নি শুরু হয় ২০০৮ সালে।আইপিএলে সুরেশ রায়না ২০০৮ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে খেলেছেন।২০১৬-১৭ সালে রায়না গুজরাট লায়ন্সের হয়ে খেলেছেন। এবং ২০১৮ থেকে বর্তমান আইপিএল পর্যন্ত এই গ্ৰেট অলরাউন্ডার আবারো চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে খেলছেন।

সুরেশ রায়নার আইপিএল ক্যারিয়ার

রায়না আইপিএলে ইতিমধ্যে ১৯৯টি ম্যাচ খেলেছেন। তাঁর আইপিএল রানসংখ্যা ৫৪৮৯। আইপিএলে এই তারকা অলরাউন্ডার ইতিমধ্যে ১টি সেঞ্চুরি ও ৩৯টি ফিফটি মেরেছেন। সুরেশ রায়না আইপিএলের ইতিহাসে  সর্বোচ্চ রানকারী ব্যাটসম্যানদের অন্যতম।

আইপিএল ২০০৮

আইপিএলের ২০০৮ সালের আসরে সুরেশ রায়না ১৬ ম্যাচ খেলে ৩ফিফটিসহ ৪২১ রান করেন। এছাড়া বল হাতে নেন ১টি উইকেট।

আইপিএল ২০০৯

২০০৯ আইপিএলে রায়না ১৪ ম্যাচ খেলে ২ফিফটিসহ ৪৩৪ রান সংগ্রহ করেন। এছাড়া বল হাতে নেন ৭টি উইকেট।

আইপিএল ২০১০

আইপিএলের ২০১০ সালের আসরে সুরেশ রায়না ১৬ ম্যাচ খেলে ৪ফিফটিসহ ৫২০ রান করেন। এবং বল হাতে নেন ৬টি উইকেট।

আইপিএল ২০১১


২০১১ আইপিএলে এই তারকা অলরাউন্ডার ১৬টি ম্যাচ খেলে ৪ফিফটিসহ ৪৩৮ রান সংগ্রহ করেন এবং বল হাতে নেন ৪টি উইকেট।

আইপিএল ২০১২

২০১২ আইপিএলে এই তারকা ক্রিকেটার ১৯ ম্যাচ খেলে ১ফিফটিসহ ৪৪১ রান করেন এবং বল হাতে নেন ২টি উইকেট।

আইপিএল ২০১৩

২০১৩ সালের আইপিএলে রায়না মোট ১৮ ম্যাচ খেলে ৫৪৮ রান করেন যেখানে ১ সেঞ্চুরি ও ৪টি ফিফটি ছিল। এছাড়া বল হাতে নেন ১টি উইকেট।

আইপিএল ২০১৪


২০১৪ আইপিএলে রায়না মোট ১৬ ম্যাচ খেলে ৫২৩ রান করেন যেখানে ৫টি ফিফটিও ছিল। এছাড়া বল হাতে নেন ১টি উইকেট।

আইপিএল ২০১৫

আইপিএল ২০১৫তে এই তারকা অলরাউন্ডার ১৭টি ম্যাচ খেলে ২ফিফটিসহ  ৩৭৪ রান সংগ্রহ করেন এবং বল হাতে নেন ২টি উইকেট।

আইপিএল ২০১৬

২০১৬ আইপিএলে রায়নার সংগ্রহ ছিল ১৫ ম্যাচে ৩ফিফটিসহ ৩৯৯ রান ।

আইপিএল ২০১৭

আইপিএল ২০১৭তে রায়না ১৪টি ম্যাচ খেলে ৩ফিফটিসহ ৪৪২ রান করেন। এছাড়া বল হাতে নেন ১টি উইকেট।

আইপিএল ২০১৮

২০১৮ সালের আইপিএলে রায়না মোট ১৫ ম্যাচ খেলে ৪ফিফটিসহ ৪৪৫ রান করেন।

আইপিএল ২০১৯

২০১৯ আইপিএলে রায়না ১৭ ম্যাচ খেলে ৩ফিফটিসহ ৩৮৩ রান করেন।

আইপিএল ২০২১

বর্তমান (২০২১) আইপিএলে ইতিমধ্যে এই তারকা অলরাউন্ডার ৬ টি ম্যাচ খেলেছেন এবং তাতে তাঁর সংগ্রহ ১ফিফটিসহ ১২১ রান।


২০২১ সিপিএলের সূচি ও অন্যান্য

                                                                    

প্রিয় ক্রিকেট ডটকমঃ টিটুয়েন্টি ক্রিকেটের জনপ্রিয় আসর ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগের ২০২১ সালের সময়সূচি প্রকাশ করা হয়েছে। এবারের সিপিএল শুরু হবে এ বছরের ২৮ আগষ্ট তারিখে(সূত্র: বিডিক্রিকটাইম)।তবে ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটের এই মহাযজ্ঞে করোনার কারণে বেশকিছু শর্ত আরোপ করা হয়েছে। উল্লেখ্য করোনার জন্য গত সিপিএলও বেশ ধরাবাধা বিধিনিষেধের মধ্যদিয়ে সম্পন্ন করা হয়েছিল। আসুন  সিপিএলের বিভিন্ন তথ্য জেনে নিই।


ক্রিকেটার ও স্টাফদের জৈব সুরক্ষা বলয়


এবারের সিপিএলেও খেলোয়াড় ও সাপোর্ট স্টাফদের জৈব সুরক্ষা বলয়ে থাকতে হবে।এজন্য সিপিএল কর্তৃপক্ষ ৬ ফ্রাঞ্চাইজির জন্য আলাদা জৈব সুরক্ষা বলয়ের ব্যবস্থা করবে। এছাড়া সবগুলো টিমের জন্য থাকবে আলাদা অনুশীলনের ব্যবস্থা।

এক মাঠে সবগুলো খেলা

এবারের সিপিএলের সবগুলো ম্যাচ একটি মাঠে অনুষ্ঠিত হবে।করোনার কারণে গত সিপিএলের ম্যাচগুলো হয়েছিল এিনিদাদ এন্ড টোবাগোয় তবে এবারের সিপিএলের ভেন্যু সেন্ট কিটসের ওয়ার্নার পার্ক স্টেডিয়াম। এই সিপিএলের ৩৩টি ম্যাচই এই স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে।

মাঠে দর্শক থাকবেন

২০২১ সিপিএলে দর্শকদের জন্য সুখবর রয়েছে।এবার দর্শকরা মাঠে বসে সরাসরি খেলাগুলো দেখতে পারবেন।তবে মাঠে মোট আসনের  ৫০ শতাংশ দর্শক প্রবেশের সুযোগ পাবেন। যদিও যেসব দর্শক করোনার টিকা নিয়েছেন শুধু তারাই মাঠে বসে খেলা দেখতে পারবেন।

সিপিএলের ৬ ফ্রাঞ্চাইজি


সিপিএলে ৬টি ফ্রাঞ্চাইজি মাঠে নামবে।ফ্রাঞ্চাইজিগুলো যথাক্রমে জামাইকান তালাওয়াশ,সেন্ট লুসিয়া জুকস,গায়ানা আমাজন ওয়ারিয়র্স,বার্বাডোস ট্রাইডেন্টস,সেন্ট কিটস এন্ড নেভিস প্যাটট্রিয়র্স,এিনবাগো নাইট রাইডার্স।

সিপিএলের শীর্ষ ব্যাটসম্যান

ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগের শীর্ষ দশ ব্যাটসম্যানের রেকর্ড এখানে তুলে ধরছি।

লিন্ডল সিমন্স 

সিমন্স সিপিএলে সর্বাধিক রানের মালিক। তিনি মোট ৮২ ম্যাচ খেলে ১৯ফিফটিসহ ২৪৩৬ রান করেন।

ক্রিস গেইল

ক্রিস গেইল সিপিএলে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের মালিক। তিনি ৭৬ ম্যাচ খেলে ৪টি শতকসহ ২৩৫৪ রান করেন।


এডিএস ফ্লেচার

সিপিএলের ইতিহাসে এডিএস ফ্লেচার ৭৮ ম্যাচ খেলে ১১ফিফটিসহ ২০৮১ রান করেছেন।

জনসন চার্লস


জনসন চার্লস সিপিএলে ৭৮ টি ম্যাচ খেলে ১৩ফিফটিসহ মোট ২০৫৬ রান করেছেন।

কিয়েরন পোলার্ড

কিয়েরন পোলার্ড ইতিমধ্যে সিপিএলে ৮১টি ম্যাচ খেলেছেন এবং তাতে তাঁর সংগ্রহ ১শতক ও ১৯ টি অর্ধশতকসহ মোট ১৯৬৬ রান।

চ্যাডউইক ওয়ালটন

চ্যাডউইক ওয়ালটন সিপিএলে ৮১ ম্যাচ খেলে ৯ ফিফটিসহ ১৮০৩ রান করেন।

এভিন লুইস

এভিন লুইস সিপিএলে ৬৯ টি ম্যাচ খেলে ১৪টি ফিফটিসহ মোট ১৭৮৭ রান করেন।

কলিন মুনরো

কলিন মুনরো আইপিএলে ৫৪ ম্যাচ খেলে ১শতক ও ১৪টি ফিফটিসহ ১৭৫৩ রান করেন।

ডারেন ব্রাভো

ডারেন ব্রাভো এই মুহূর্তে সিপিএলের নবম সর্বোচ্চ রানের মালিক।এই তারকা ব্যাটসম্যান সিপিএলে ৮১ ম্যাচ খেলে ১১ ফিফটিসহ ১৭২৬ রান করেন।

শোয়েব মালিক

শোয়েব মালিক সিপিএলে ৫৬ ম্যাচ খেলে ১২ফিফটিসহ ১৭০৭ রান করেন।

সিপিএলের শীর্ষ বোলার

সিপিএলের ইতিহাসে শীর্ষ দশ ব্যাটসম্যানের পরিসংখ্যান এখানে তুলে ধরছি।

সিপিএলের সর্বোচ্চ দশ উইকেট শিকারী যথাক্রমে ১.ডোয়াইন ব্রাভো ৭৯ ম্যাচে ১০৬টি উইকেট(বেষ্ট ৫/২৩)।২.এমরিট ৮৫ ম্যাচে ৯৬ উইকেট(বেষ্ট ৪/৩৫)।৩.সানটকি ৫৮ ম্যাচে ৮৫ উইকেট ( বেষ্ট ৪/১১)।৪.সুনীল নারাইন ৭৬ ম্যাচে ৭৮ উইকেট(বেষ্ট ৩/৬)।৫.শেলডন কটরেল ৫৭ ম্যাচে ৭৪ উইকেট (৪/২০)।৬.সোহেল তানভির ৫৯ ম্যাচে ৬৮ উইকেট(বেষ্ট ৫/৩)।৭.উইলিয়ামস ৫৩ ম্যাচে ৬৬ উইকেট ( বেষ্ট ৪/৩৭) । ৮.কুপার ৫৬ ম্যাচে ৫৯ উইকেট ( বেষ্ট ৩/২১)।৯.আন্দ্রে রাসেল ৬৬ ম্যাচে ৫৮ উইকেট (৪/২৩)।১০.কিয়েরন পোলার্ড ৮১ ম্যাচ ৫৫ উইকেট (বেষ্ট ৪/১৬)।


রাবাদার আইপিএল হিষ্ট্রি

                                                                    

প্রিয় ক্রিকেট ডটকমঃ দক্ষিণআফ্রিকা তথা বর্তমান ক্রিকেটবিশ্বের সবচেয়ে নিখুঁত ও জনপ্রিয় পেসারদের মধ্যে রাবাদা এক বিশিষ্ট নাম। বুদ্ধিদীপ্ত ভেলিভারি ও ভেরিয়েশনের জন্য রাবাদা ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটেই সফল এবং জনপ্রিয়। এছাড়া বিশ্বের সব বড় টিটুয়েন্টি লিগে রাবাদার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। আইপিএলে রাবাদার ক্যারিয়ার খুব বেশি দিনের নয় তবু ইতিমধ্যে যতগুলো আসরে খেলেছেন তাতে নজরকাড়া পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন এই তারকা পেসার। এখানে রাবাদার আইপিএল ক্যারিয়ার সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জেনে নেব।


যেসব ফ্রাঞ্চাইজিতে খেলেছেন


আইপিএলের সফল বোলারদের মধ্যে রাবাদা অন্যতম। নিয়ন্ত্রিত পেসের সাথে বুদ্বিদীপ্ত ভেলিভারির সমন্বয়ে রাবাদা ইতিমধ্যে আইপিএলে বেশ সফলতা পেয়েছেন।২০১৭ সালের আইপিএল থেকে বর্তমান (২০২১) আসর পর্যন্ত এই গতিতারকা দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে খেলছেন।

রাবাদার আইপিএল ক্যারিয়ার

কাগিছো রাবাদা এ সময়ের ক্রিকেটের জনপ্রিয় এক পেসার। আইপিএলেও এই গতিতারকার প্রচুর জনপ্রিয়তা রয়েছে। এবারের আইপিএলে রাবাদা দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে খেলছেন।কাগিছো রাবাদা আইপিএলে প্রথম অংশগ্ৰহন করেন ২০১৭ সালে। এই তারকা পেসার ইতিমধ্যে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে ৪০টি ম্যাচ খেলেছেন এবং তাতে ব্যাট হাতে ১৩৪ রান ও বল হাতে ৬৬টি উইকেট নিয়েছেন। আইপিএলে রাবাদার সেরা বোলিং ২১ রানে ৪ উইকেট।


আইপিএল ২০১৭

কাগিছো রাবাদা ২০১৭ সালের আইপিএলে প্রথম অংশগ্ৰহন করেন এবং ৬ ম্যাচ খেলে ব্যাট হাতে ৫৫ রানের পাশাপাশি বল হাতে ৬টি উইকেট নেন।

আইপিএল ২০১৯

আইপিএলের ২০১৯ আসরে কাগিছো রাবাদা অসাধারণ বোলিং করেন এবং ১২ম্যাচ খেলে ২৫টি উইকেট লাভ করেন।

আইপিএল ২০২০

আইপিএলের ২০২০ সালের আসরে কাগিছো রাবাদা বল হাতে অবিশ্বাস্য নৈপুণ্য প্রদর্শন করেন ।২০২০ আইপিএলে এই তারকা পেসার ১৭ ম্যাচ খেলে ৩০টি উইকেট নেন। এছাড়া ব্যাট হাতে মোট ৫৬ রান করেন।

আইপিএল ২০২১

বর্তমান আইপিএলে ইতিমধ্যে রাবাদা ৫টি ম্যাচে মাঠে নেমেছেন এবং  ৫টি উইকেট নিয়েছেন।

প্যাট কামিন্সের আইপিএল হিষ্ট্রি

                                                                   

প্রিয় ক্রিকেট ডটকমঃ বিগত দুই দশকের ক্রিকেটে বিশ্বের সবচেয়ে নিখুঁত পেসারদের কথা এলে প্যাট কামিন্সের নামটি আসবেই। নিখুঁত ভেলিভারি ও ভেরিয়েশনের সমন্বয় কামিন্সকে দিয়েছে হালের সেরা পেসারদের মধ্যে বিশিষ্ট স্থান। টেস্ট ক্রিকেটে যেমন কামিন্সের সফলতা রয়েছে তেমনি টিটুয়েন্টি ক্রিকেটেও সফল এই পেসার।এই অসি গতিতারকা আইপিএলেও নিজের সফলতার ধারা অব্যাহত রেখেছেন।কামিন্স আইপিএলে বোলিংয়ের পাশাপাশি ব্যাট  হাতেও বেশ সফলতা পেয়েছেন।প্যাট কামিন্সের আইপিএল ক্যারিয়ার নিয়ে এখানে আলোচনা করব।


যেসব ফ্রাঞ্চাইজিতে খেলেছেন


প্যাট কামিন্স  ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে বেশ সফল এক পেসার। নিখুঁত অ্যাকশন এবং এর পাশাপাশি ভেরিয়েশন কামিন্সের বোলিংয়ের মূল শক্তি। আইপিএলেও এই অসি পেসারের সাফল্য রয়েছে।প্যাট কামিন্স আইপিএলে প্রথম অংশগ্ৰহন করেন ২০১৪ সালে।কামিন্স ২০১৪ থেকে ২০১৫সাল  পর্যন্ত কেকেআরের হয়ে খেলেছেন।২০১৭ আইপিএলে কামিন্সের দল ছিল দিল্লি ডেয়ারডেভিলস।২০২০ থেকে বর্তমান (২০২১) আইপিএল পর্যন্ত এই অসি গতিতারকা কেকেআরের হয়ে খেলছেন।

প্যাট কামিন্সের আইপিএল ক্যারিয়ার


প্যাট কামিন্স আইপিএলে গতি ও ভেরিয়েশন দিয়ে ইতিমধ্যে বেশকিছু রেকর্ড গড়েছেন। আইপিএলে কামিন্স ইতিমধ্যে ৩৬টি ম্যাচ খেলেছেন এবং তাতে তাঁর মোট উইকেট ৩৫টি। তাঁর সেরা বোলিং ৩৪ রানে ৪"উইকেট। এছাড়া আইপিএলে এই অসি তারকা ব্যাট হাতেও বেশ সফল। ইতিমধ্যে কামিন্স ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে ব্যাট হাতে ২ফিফটিসহ ৩০৫ রান সংগ্রহ করেছেন।

আইপিএল ২০১৪


প্যাট কামিন্স আইপিএলের ২০১৪ সালের আসরে প্রথম দল পান। সেই আইপিএলে তিনি কেকেআরের হয়ে মাঠে নামেন। এবং ২০১৪ সালের আইপিএলে এই তারকা পেসার ১ম্যাচ খেলে ১টি উইকেট নেন।

আইপিএল ২০১৫


আইপিএলের ২০১৫ সালের আসরে কামিন্স যথারীতি কেকেআরের হয়ে খেলেছেন এবং ৩ ম্যাচ খেলে ১টি উইকেট লাভ করেন।

আইপিএল ২০১৭


২০১৭ সালের আইপিএলে কামিন্স দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের হয়ে মাঠে নামেন এবং ১২ ম্যাচ খেলে ব্যাট হাতে ৭৭ রানের পাশাপাশি বল হাতে ১৫টি উইকেট নেন।

আইপিএল ২০২০


আইপিএলের ২০২০ সালের আসরে প্যাট কামিন্স কেকেআরের হয়ে মাঠে নামেন এবং ১৪ ম্যাচ খেলে ১টি ফিফটিসহ ১৪৬ রান সংগ্রহ করেন।২০২০ আইপিএলে কামিন্স মোট ১২টি উইকেট নেন।

আইপিএল ২০২১


আইপিএলের ২০২১ সালের আসরে প্যাট কামিন্স কেকেআরের হয়ে খেলছেন এবং ইতিমধ্যে ৬ ম্যাচ খেলে ব্যাট হাতে ১ফিফটিসহ ৮২ রানের পাশাপাশি বল হাতে ৬টি উইকেট নিয়েছেন।

গরমে শরীর শীতল রাখতে যা খাবেন

                                                               

প্রিয় ক্রিকেট ডটকমঃ বলা হয় খাবারের সাথে শরীরের কর্মক্ষমতা ও সুস্থতার নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে।গরমে তাই শরীরকে সুস্থ ও সবল রাখার জন্য সঠিক খাবার নির্বাচন জরুরী। চারদিকে করোনার প্রাদুর্ভাব চলছে। এছাড়া গরমের তীব্রতা বাড়ছে।এসব কিছু বিবেচনায় এই সময়ে শরীরকে সুস্থ ও ফিট রাখতে অবশ্যই খাবারের ক্ষেত্রে সচেতন হতে হবে।গরমে শরীরকে শীতল রাখা সবচেয়ে জরুরী।এ সময়ে শরীরকে শীতল রাখলে কর্মক্ষমতা বেড়ে যায় এবং রোগব্যধি কম হয়।গরমে শরীরকে শীতল বা ঠান্ডা রাখতে যেসব খাবার উপকারী সেগুলো নিয়ে এখানে আলোচনা করব।

গরমের সেরা খাবার

বিশেষজ্ঞরা বলছেন গরমে শরীরকে সুস্থ রাখতে চাইলে খাবারের বিষয়ে সচেতন হতে হবে। তাদের মতে এই গরমে শরীরকে সুস্থ ও কর্মক্ষম রাখার জন্য মসলাযুক্ত ও শুষ্ক খাবার বাদ দিয়ে তরল খাবার বেশি খেতে হবে। এছাড়া পানীয়ের উপর বেশি নির্ভর করতে হবে। বিশেষজ্ঞরা বলেন গরমে এমন খাবার বেশি খেতে হবে যেগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি রয়েছে।গরমে শুষ্ক খাবার বেশি খেলে তা হজমে সমস্যা করবে এবং শরীরে অস্বস্তি তৈরি করতে পারে।

গরমে তরমুজ উপকারী


এই সময়ে গ্ৰীষ্মের তীব্র গরমে শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে।আর তাই গরমে শরীরে প্রশান্তি পেতে তরমুজ খেতে পারেন।এই সময়ে তরমুজ বেশ সহজলভ্য ও সস্তা। তরমুজে প্রায় ৯০ শতাংশ পানি থাকায় এটি গরমে শরীরকে শীতল রাখতে সাহায্য করে।


শসা গরমে স্বস্তিদায়ক

শসা গরমের এক আদর্শ সবজি।এই সময়ে শরীরকে শীতল রাখতে শসা খেতে পারেন।গ্ৰীষ্মের এই সবজিতে প্রচুর পরিমাণে পানি রয়েছে।তাই এই সময়ে শরীরের পানিশূন্যতা দূর করতে শসা এক উৎকৃষ্ট খাবার।শসা দিয়ে সালাদ তৈরি করে খেতে পারেন।

সবুজ শাক খেতে পারেন

তীব্র গরমে পানিশূন্যতা ও ক্লান্তিবোধ এক সাধারণ সমস্যা।এসব সমস্যা দূর করার জন্য এই সময়ে নিয়মিত সবুজ শাক খেতে পারেন। সবুজ পাতার শাকে প্রচুর পরিমাণে পানি থাকে। সবুজ শাক গরমের কালে শরীরকে শীতল রাখার পাশাপাশি অতিরিক্ত ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। এছাড়া সবুজ শাক শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখতে সহায়তা করে।


গরমে টকদই উপকারী

গরমে শরীরকে শীতল রাখতে টকদই এক আদর্শ খাবার। এছাড়া এই সময়ে দইয়ের পানীয় হিসেবে বাজারে মাঠা পাওয়া যায় এটিও গরমে স্বস্তিদায়ক। টকদই ও মাঠা গরমে শরীরের পানির ঘাটতি দূর করে। বিশেষজ্ঞরা বলেন এই সময়ে দিনের খাবারের সাথে টকদই,মাঠা খেলে শরীরে প্রশান্তি পাবেন।

খেতে পারেন পুদিনাপাতা

গরমে শরীরের ঠান্ডা ও প্রশান্তির জন্য পুদিনাপাতা উপকারী। গরমে শরীরকে শীতল রাখার জন্য নিয়মিত পুদিনাপাতা খেতে পারেন। পুদিনাপাতা দিয়ে বিভিন্ন ধরণের খাবার তৈরি করে খেতে পারেন।


দুধ ও মধু


গরমের এই সময়ে শরীরকে শীতল রাখা গুরুত্বপূর্ণ।কারণ শরীর শীতল থাকলে অস্বস্তি কমবে কাজে শক্তি পাবেন।আর এজন্য এই গরমে শরীরকে শীতল রাখতে প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস দুধে কয়েক ফোঁটা মধু মিশিয়ে খেতে পারেন।এতে শরীর শীতল হবে।

ভাবের পানি

তীব্র গরমে শরীরে প্রশান্তি লাভ করার জন্য ভাবের পানি এক শ্রেষ্ঠ পানীয়। শরীরের পানিশূন্যতা দূর করার পাশাপাশি শরীরে শক্তি যোগাতে ডাবের পানি অতুলনীয়। তীব্র গরমে শরীরকে সুস্থ ও শীতল রাখার জন্য তাই ভাবের পানি খেতে পারেন।

লেবুর শরবত

গরমে অতিরিক্ত ঘামের জন্য শরীরে পানিশূন্যতা সৃষ্টি হতে পারে।আর এক্ষেত্রে লেবুর তৈরি শরবত হতে পারে এক চমৎকার পানীয়। লেবুর শরবত এই সময়ে শরীরের পানিশূন্যতা দূর করার সাথে সাথে শক্তিও যোগাবে। বাজারের বিভিন্ন কৃএিম শরবতের বদলে লেবুর তৈরি শরবত নিজে তৈরি করে খেতে পারেন।


সর্তকতা

১.গরমে শরীরকে শীতল ও সুস্থ রাখতে চাইলে শুষ্ক ও অধিক মসলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।
২.গরমের এই সময়ে বাজারে বিভিন্ন মুখরোচক কোল্ড ড্রিংকস পাওয়া যায় যা অতিমাত্রায় পান করলে আমাদের শরীরের ওজন বেড়ে যায় ও শরীরে অস্বস্তি তৈরি করে।
৩.গরমে শরীর শীতল ও ফিট রাখতে কৃএিম কোল্ড ড্রিংকস যথাসম্ভব এড়িয়ে চলুন।

রশিদ খানের আইপিএল হিষ্ট্রি

                                                           

প্রিয় ক্রিকেট ডটকমঃ এ সময়ের ক্রিকেটে লেগস্পিনারের প্রসঙ্গ এলে সবার আগে রশিদ খানের নামটি চলে আসে।কারণ  এ সময়ের ক্রিকেটে সবচেয়ে ইফেকটিভ লেগিদের মধ্যে রশিদ খান এক অতুলনীয় নাম। বুদ্ধিদীপ্ত স্পিন ও উইকেটটেকিং ডেলিভারির জন্য সাম্প্রতিক কালের ক্রিকেটে রশিদ খান সবচেয়ে সফল বোলারদের একজন।ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগেও রশিদ খানের ব্যাপক সাফল্য রয়েছে। এবারের আইপিএলে রশিদ সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে হাত ঘোরাচ্ছেন।এ লেখায় রশিদ খানের আইপিএল ক্যারিয়ার নিয়ে আলোচনা করব।


যেসব ফ্রাঞ্চাইজিতে খেলেছেন

রশিদ খান আইপিএলে প্রথম অংশগ্ৰহন করেন ২০১৭ সালে। তাঁর আইপিএল জার্নি শুরু হয় সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে। এবং এখনো (২০২১ আইপিএল) এই আফগান লেগি সানরাইজার্স হায়দরাবাদেই রয়েছেন। এই তারকা স্পিনার সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে এবারও চোখধাঁধানো বোলিং করছেন।


রশিদ খানের আইপিএল ক্যারিয়ার

টিটুয়েন্টি ক্রিকেটে বিগত দশকের সেরা বোলারদের মধ্যে রশিদ খান অন্যতম। আইপিএলের সফল বোলারদের মধ্যেও তিনি অন্যতম। রশিদ খান ২০১৭ সালে তাঁর আইপিএল জার্নি শুরু করেন। ইতিমধ্যে আইপিএলে ৬৭টি ম্যাচ খেলেছেন এই তারকা স্পিনার।ব্যাট হাতে তিনি মোট ১৫৬ রান সংগ্রহ করেছেন এবং বল হাতে নিয়েছেন ৮১ উইকেট। আইপিএলে রশিদ খানের সেরা বোলিং ৭ রানে ৩ উইকেট।

আইপিএল ২০১৭

রশিদ আইপিএলের ২০১৭ সালের আসরে প্রথম অংশগ্ৰহন করেন। এবং সেই আইপিএলে এই তারকা স্পিনার ১৪ ম্যাচ থেকে মোট ১৭টি উইকেট লাভ করেন।

আইপিএল ২০১৮

২০১৮ আইপিএলে বল হাতে রশিদ খান দারুণ সাফল্য লাভ করেন। ২০১৮ সালের আইপিএলে রশিদ খান ১৭ ম্যাচ খেলে মোট ২১টি উইকেট নেন।


আইপিএল ২০১৯

আইপিএল ২০১৯এ রশিদ খানের ঘূর্ণিজাদু সবাইকে আবারও মুগ্ধ করে। সেই আইপিএলে রশিদ ১৫ ম্যাচ খেলে মোট ১৭টি উইকেট নেন।

আইপিএল ২০২০

আইপিএলের ২০২০ সালের আসরেও রশিদ খান যথারীতি তাঁর দুর্দান্ত বোলিং অব্যাহত রাখেন। সেই আইপিএলে রশিদ ১৬ ম্যাচে ২০টি উইকেট নেন।

আইপিএল ২০২১

২০২১ আইপিএলেও রশিদ খানের ঘূর্ণিজাদু অব্যাহত রয়েছে। ইতিমধ্যে ৫টি ম্যাচ খেলে রশিদ বর্তমান আইপিএলে ৬টি উইকেট নিয়েছেন।

স্টিভ স্মিথের আইপিএল হিষ্ট্রি

                                                          

প্রিয় ক্রিকেট ডটকমঃ এই সময়ের ক্রিকেটে টেকনিক, ধারাবাহিকতা ইত্যাদি বিবেচনায় সফল ব্যাটসম্যানদের একজন স্টিভ স্মিথ। নিজস্ব টেকনিক ও ব্যাটিং স্টাইলের পাশাপাশি অসাধারণ ফিল্ডার হিসেবেও খ্যাতি রয়েছে এই অসি ব্যাটসম্যানের। এছাড়া পেশাদারিত্ব, গভীর ক্রিকেটীয় দক্ষতা ইত্যাদি বিবেচনায়ও স্টিভ স্মিথ এক বিশিষ্ট নাম। আইপিএলেও স্টিভ স্মিথের দুর্দান্ত সব পারফরম্যান্সের নজির রয়েছে। এখানে স্টিভ স্মিথের আইপিএল ক্যারিয়ার সম্পর্কে আলোচনা করছি।


যেসব ফ্রাঞ্চাইজিতে খেলেছেন


স্টিভ স্মিথের আইপিএল যাএা শুরু হয় ২০১২ সালে।২০১২ সালে এই অসি তারকা পুনে ওয়ারিয়র্সের হয়ে আইপিএলে প্রথম অংশগ্ৰহন করেন।২০১৩ সালেও একই টিমের হয়ে খেলেছেন। পরবর্তীতে ২০১৪-২০১৫আইপিএলে স্মিথ রাজস্থান রয়্যালসের প্রতিনিধিত্ব করেন। এছাড়া ২০১৬-২০১৭ আসরে এই তারকা ব্যাটসম্যান রাইজিং পুনে সুপারজায়েন্টের হয়ে মাঠে নামেন।২০১৯-২০২০ আইপিএলে স্টিভ স্মিথ রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে খেলেছেন। বর্তমান (২০২১) আইপিএলে এই তারকা ব্যাটসম্যান দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে খেলছেন।

স্টিভ স্মিথের আইপিএল ক্যারিয়ার

আইপিএলে সফল বিদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে স্টিভ স্মিথও রয়েছেন।এই তারকা ব্যাটসম্যান তাঁর নিজস্ব স্টাইল ও ধারাবাহিকতা আইপিএলেও ধরে রাখতে সমর্থ হয়েছেন।স্টিভ স্মিথ ইতিমধ্যে আইপিএলে ৯৭টি ম্যাচ খেলেছেন এবং তাতে তাঁর মোট সংগ্রহ ২৩৭৫ রান। টিটুয়েন্টি ক্রিকেটের এই মহাযজ্ঞে স্মিথের ১টি শতক ও ১১টি অর্ধশতক রয়েছে।

আইপিএল ২০১২


আইপিএলের ২০১২ সালের আসরে স্টিভ স্মিথ মোট ১৫টি ম্যাচ খেলেন এবং তাতে তাঁর সংগ্রহ ছিল ৩৬২ রান।

আইপিএল ২০১৩


আইপিএলের ২০১৩সালের আসরে এই তারকা ব্যাটসম্যান মোট ৭ ম্যাচে মাঠে নামেন এবং ১৫৯ রান সংগ্রহ করেন।

আইপিএল ২০১৪


২০১৪ আইপিএলে স্মিথ মোট ১০টি ম্যাচ খেলে ১৪৭ রান‌ করেন।

আইপিএল ২০১৫ 


আইপিএল ২০১৫তে স্মিথ ১৪ ম্যাচে মাঠে নামেন এবং ২ফিফটিসহ ২৯৩ রান সংগ্রহ করেন।

আইপিএল ২০১৬


২০১৬ সালের আইপিএলে এই অসি ব্যাটসম্যান ৮ ম্যাচ খেলে ১টি শতকসহ মোট ২৭০ রান করেন।

আইপিএল ২০১৭


আইপিএল ২০১৭তে স্মিথের সংগ্রহ ছিল ১৫ ম্যাচে ৩ফিফটিসহ ৪৭২ রান।

আইপিএল ২০১৯


২০১৯ আইপিএলে এই অসি ব্যাটসম্যান মোট ১২ ম্যাচ খেলে ৩ফিফটিসহ ৩১৯ রান সংগ্রহ করেন।

আইপিএল ২০২০


২০২০ আইপিএলে স্মিথ ১৪ ম্যাচে মাঠে নামেন এবং ৩ফিফটিসহ মোট ৩১১ রান সংগ্রহ করেন।

আইপিএল ২০২১


বর্তমান (২০২১)আইপিএলে স্টিভ স্মিথ ইতিমধ্যে ২টি ম্যাচ খেলেছেন এবং তাতে তাঁর সংগ্রহ ৪২ রান।

বিরাট কোহলির আইপিএল হিষ্ট্রি

                                                       

প্রিয় ক্রিকেট ডটকমঃ এই সময়ের ক্রিকেটের এক আলোচিত চরিত্র বিরাট কোহলি। সেঞ্চুরির পর সেঞ্চুরি করে ক্রিকেট ব্যাটিংয়ের সব রেকর্ডকে প্রতিনিয়ত ওলটপালট করছেন এই ভারতীয় তারকা ব্যাটসম্যান।কোহলি ক্রিকেটের প্রতিটি ফরম্যাটে নিজস্ব টেকনিক ও টাইমিংয়ে পসরা সাজিয়ে রানের ফোয়ারা ছোটাচ্ছেন। সম্প্রতি আইপিএলের ইতিহাসে প্রথম ছয় হাজার রানের কীর্তি গড়েছেন এই তারকা ব্যাটসম্যান। দুর্দান্ত এই স্ট্রোকমেকারের আইপিএল ক্যারিয়ার নিয়ে এখানে আলোচনা করব।

যেসব ফ্রাঞ্চাইজিতে খেলেছেন

বিরাট কোহলি আইপিএলের প্রথম আসর থেকেই খেলছেন । এবং এই তারকা ব্যাটসম্যান আইপিএলে প্রথম আসরে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে অংশগ্রহণ করেছিলেন এবং বর্তমান আইপিএল পর্যন্ত একই ফ্রাঞ্চাইজিতে রয়েছেন। যথারীতি আইপিএলেও নিজের সাফল্যের ধারা অব্যাহত রেখে খেলে চলেছেন কোহলি।

কোহলির আইপিএল ক্যারিয়ার

এই সময়ের ক্রিকেটের  সবচেয়ে জনপ্রিয় আইকন বিরাট কোহলি আইপিএলে ২০০৮ সাল অর্থাৎ শুরু থেকেই খেলছেন।এই তারকা ব্যাটসম্যান ইতিমধ্যে আইপিএলে ১৯৬টি ম্যাচ খেলেছেন। কোহলির আইপিএল রানসংখ্যা বর্তমানে ৬০২১।ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে কোহলির  ৫টি শতক রয়েছে। এছাড়া আইপিএলে বল হাতে ৪টি উইকেট নিয়েছেন। 


আইপিএল ২০০৮


আইপিএল ২০০৮ এ কোহলি ১৩ ম্যাচ খেলে ১৬৫ রান সংগ্রহ করেন এবং বল হাতে ২টি উইকেট নেন।

আইপিএল ২০০৯


আইপিএল ২০০৯ এ কোহলি ১৬ ম্যাচ খেলে ১ফিফটিসহ  ২৪৬ রান করেন ।

আইপিএল ২০১০ 


২০১০ সালের আইপিএলে এই তারকা ব্যাটসম্যান ১৬ ম্যাচ খেলে ১ ফিফটিসহ ৩০৭ রান সংগ্রহ করেন।

আইপিএল ২০১১


আইপিএলের ২০১১ আসরে কোহলি ৪ফিফটিসহ ৫৫৭ রান সংগ্রহ করেন। এছাড়া বল হাতে ২টি উইকেট নেন।

আইপিএল ২০১২


আইপিএলের ২০১২ সালের আসরে এই তারকা ব্যাটসম্যান ১৬ ম্যাচে মাঠে নামেন এবং ২ফিফটিসহ মোট ৩৬৪ রান সংগ্রহ করেন।

আইপিএল ২০১৩


২০১৩ সালের আইপিএলে কোহলির রানসংখ্যা ছিল ১৬ ম্যাচে ৬ ফিফটিসহ ৬৩৪ রান।

আইপিএল ২০১৪


আইপিএলের ২০১৪ সালের আসরে কোহলি ১৪ ম্যাচ খেলে ২ফিফটিসহ ৩৫৯ রান সংগ্রহ করেন।

আইপিএল ২০১৫


আইপিএল ২০১৫তে বিরাট কোহলি ১৬ ম্যাচ খেলে ৩ ফিফটিসহ ৫০৫ রান সংগ্রহ করেন।

আইপিএল ২০১৬


আইপিএলের ২০১৬ সালের আসরে এই তারকা ক্রিকেটার ১৬ ম্যাচ খেলে ৪টি সেঞ্চুরি ও ৭টি ফিফটিসহ মোট ৯৭৩ রান সংগ্রহ করেন।

আইপিএল ২০১৭


আইপিএলের ২০১৭ সালের আসরে কোহলি ১০ ম্যাচ খেলে ৪ফিফটিসহ ৩০৮ রান করেন।

আইপিএল ২০১৮


২০১৮ আইপিএলে কোহলি ১৪ টি ম্যাচে মাঠে নামেন এবং ৪ ফিফটিসহ ৫৩০ রান করেন।

আইপিএল ২০১৯


আইপিএলের ২০১৯ সালের আসরে বিরাট কোহলি ১৪ ম্যাচ খেলে ১ সেঞ্চুরি ও ২ ফিফটিসহ ৪৬৪ রান সংগ্রহ করেন।

আইপিএল ২০২০


আইপিএলের ২০২০ আসরে কোহলি ১৫ ম্যাচ খেলে ৩ ফিফটিসহ ৪৬৬ রান করেন।

আইপিএল ২০২১


আইপিএলের ২০২১ সালের আসরে বিরাট কোহলি ইতিমধ্যে ৪টি ম্যাচ খেলেছেন এবং তাতে তাঁর সংগ্রহ ১ফিফটিসহ ১৪৩ রান।

টেষ্টে ব্যক্তিগত শীর্ষ দশে শান্তর ইনিংস

                                                        



প্রিয় ক্রিকেট ডটকমঃ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টেস্টে দারুণ এক সেঞ্চুরি হাঁকানো ইনিংস খেলেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত।এর ফলে বাংলাদেশ বেশ বড় একটি টোটাল ইতিমধ্যে পেয়ে গেছে।শান্ত প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ১৬৩ রানের চমৎকার একটি ইনিংস খেলেন।এই ইনিংসের মধ্যদিয়ে নাজমুল হোসেন শান্ত টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংসের তালিকায় শীর্ষ দশে স্থান করে নিয়েছেন। টেস্টে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের ইনিংসটি (অপরাজিত ২১৯)মুশফিকুর রহিমের ঝুঁলিতে রয়েছে। এখানে টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের শীর্ষ ব্যাটসম্যানদের বিভিন্ন রেকর্ড তুলে ধরছি।


টেষ্টে বাংলাদেশের শীর্ষ দশ ব্যক্তিগত ইনিংস

টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের প্রথম পদার্পণ ২০০০ সালে ভারতের বিপক্ষে। এবং টেস্ট অভিষেকে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যান আমিনুল ইসলাম বুলবুল এক মহাকাব্যিক শতক হাঁকিয়েছিলেন।তারপর বাংলাদেশের বেশকজন ব্যাটসম্যান ক্রিকেটের এই অভিজাত ফরম্যাটে সেঞ্চুরি ও ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন। ডাবল সেঞ্চুরির কাছাকাছি বেশকিছু ইনিংসও রয়েছে। টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের শীর্ষ দশ ব্যক্তিগত ইনিংসের পরিসংখ্যান এখানে তুলে ধরছি।

মুশফিকের অপরাজিত ২১৯ 


বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেটের বড় এক আইকন মুশফিকুর রহিম। অসাধারণ টেকনিক ও স্টাইলের জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেটে ইতিমধ্যে এক বিশিষ্ট স্থানে নিজেকে নিয়ে গেছেন মুশফিক। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মুশফিক অপরাজিত ২১৯ রানের ইনিংসটি খেলেছিলেন। মুশফিক এই ইনিংসটি খেলার পথে ৪২১ বল মোকাবেলা করেন।


সাকিবের ২১৭ 

বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেটের সেরা ও সর্বোচ্চ রানের ব্যক্তিগত ইনিংসগুলোর একটি সাকিবের ২১৭ রান। সাকিব নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে  ২৭৬ বলে ২১৭ এই ইনিংসটি খেলেছিলেন।

তামিমের ২০৬ 

বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেটের শীর্ষ ব্যক্তিগত ইনিংসের একটি হচ্ছে পাকিস্তানের বিপক্ষে তামিমের ২০৬ রান।২০১৫ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্টে তামিম ২৭৮ বলে ২০৬ রানের এই ইনিংসটি খেলেছিলেন।


মুশফিকের অপরাজিত ২০৩

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২০২০ সালে  "মিষ্টার ডিপেন্ডেবল" খ্যাত মুশফিকের ২০৩ রানের ইনিংসটি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংসের অন্যতম। সেই ইনিংসটি খেলার পথে মুশফিক ৩১৮ বল খেলেছিলেন।

আশরাফুলের ১৯০


বাংলাদেশ ক্রিকেটের সেরা ব্যাটসম্যানদের একজন মোঃ আশরাফুল। বিশ্বের সেরা সব বোলিংয়ের বিপক্ষে বেশকিছু অসাধারণ ইনিংসের মালিক আশরাফুল ২০১৩ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এক টেষ্টে ৪১৭ বলে ১৯০ রানের একটি মহাকাব্যিক ইনিংস খেলেন। বাংলাদেশের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ইনিংসগলোর মধ্যে এটি অন্যতম।

মুমিনুল হকের ১৮১


বাংলাদেশের হয়ে টেস্ট ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরির মালিক মুমিনুল হক (১১)। টেষ্টে  মুমিনুল বেশকিছু নজরকাড়া ইনিংসের রূপকার।২০১৩ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এই ব্যাটসম্যান তেমনি ২৭৪ বলে ১৮১ রানের দারুণ এক ইনিংস উপহার দেন।

মুমিনুল হকের ১৭৬

টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংসের অন্যতম একটি ইনিংস হচ্ছে মুমিনুল হকের ১৭৬।২০১৮ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেষ্টে এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ২১৪ বলে ১৭৬ রানের দারুণ এই ইনিংসটি খেলেন।

নাজমুল হোসেন শান্তর ১৬৩


সম্প্রতি নাজমুল হোসেন শান্ত শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে  ১৬৩ রানের এক মহাকাব্যিক ইনিংস উপহার দেন। টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের শীর্ষ দশ ব্যক্তিগত ইনিংসের মধ্যে এটিও স্থান পেয়েছে। নাজমুল এই ইনিংসটি খেলার পথে ৩৭৮ বল মোকাবেলা করেন।

মুমিনুল হকের ১৬১

টেষ্টে বাংলাদেশের মিডলঅর্ডারের বিগত এক দশকজুড়ে বড় এক কান্ডারি ক্যাপ্টেন মুমিনুল হক।এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান টেস্ট ক্রিকেটে অসম্ভব সুন্দর সব ইনিংস খেলেছেন। এবং ২০১৮ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তাঁর ১৬১ রানের ইনিংসটি তেমনি এক অনন্য উদাহরণ।এই ইনিংসটি টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের শীর্ষ ব্যক্তিগত ইনিংসগুলোর তালিকায় দশম স্থানে রয়েছে।

বিভিন্ন দেশের বিপক্ষে বাংলাদেশের শীর্ষ রানকারী ব্যাটসম্যান

টেস্টে বিভিন্ন দেশের বিপক্ষে বাংলাদেশের শীর্ষ রানকারী ব্যাটসম্যানদের পরিসংখ্যান এখানে তুলে ধরছি।

প্রতিপক্ষ অষ্ট্রেলিয়া

অষ্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি রান সংগ্রহ করেছেন হাবিবুল বাশার সুমন।সুমন অষ্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৪ ম্যাচ খেলে মোট ২৮২ রান সংগ্রহ করেন।

প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানকারী ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল। তামিম ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৬টি টেস্টে মোট ৭৩৬ রান সংগ্রহ করেন।

প্রতিপক্ষ ভারত

ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রান করেছেন মুশফিকুর রহিম (৬ ম্যাচে ৫১৮ রান)।

প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ড

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানকারী ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল (১১ ম্যাচে ৯০৮ লিন।

প্রতিপক্ষ পাকিস্তান

পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্টে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানকারী ব্যাটসম্যান হাবিবুল বাশার সুমন।সুমন পাকিস্তানের বিপক্ষে ৬ ম্যাচে ৫৫৪ রান করেন।

প্রতিপক্ষ দক্ষিণআফ্রিকা

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্টে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রানের মালিক মুশফিকুর রহিম (৮ ম্যাচে ৩৩১ রান)।

প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা


শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের শীর্ষ রানকারী ব্যাটসম্যান মোঃ আশরাফুল। আশরাফুল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৩ টি টেস্ট খেলেছেন এবং দলটির বিপক্ষে তাঁর রান ১০৯০।

প্রতিপক্ষ ওয়েস্টইন্ডিজ

ওয়েষ্টইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রান করেছেন তামিম ইকবাল। তামিম ওয়েস্টইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্টে ১২ ম্যাচ খেলে ৮৫৩ রান সংগ্রহ করেন।

প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রান করেছেন মুশফিকুর রহিম (১২ ম্যাচে ৮৪৬ রান)।

প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান

টেস্ট ক্রিকেটের নবীন সদস্য আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্টে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রান করেছেন মোসাদ্দেক হোসেন (১ম্যাচে ৬০ রান)।

টেস্টে বাংলাদেশের সর্বাধিক ফিফটি


টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ফিফটি মেরেছেন১. তামিম ইকবাল (২৯টি)।২. সাকিবের টেস্ট ফিফটি ২৫টি। ৩.হাবিবুল বাশার সুমন(২৪টি)।৪. মুশফিকুর রহিম (২২টি)। ৫.মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ (১৬টি)।

ম্যাক্সওয়েলের আইপিএল হিষ্ট্রি

                                                        

প্রিয় ক্রিকেট ডটকমঃ ক্রিকেট প্রেমীদের কাছে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল মানে ভিন্ন কিছু। এছাড়া টিটুয়েন্টি ক্রিকেটের জনপ্রিয় আইকনদের মধ্যে ম্যাক্সওয়েল এক বিশিষ্ট নাম। ধুমধাড়াক্কা ক্রিকেটের সাথে একাই যেকোন ম্যাচকে নিয়ন্ত্রণ করার এক অসাধারণ সামর্থ্য রয়েছে ম্যাক্সওয়েলের ব্যাটিংয়ে।আইপিএলেও এই তারকা অলরাউন্ডারের ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে। ফিনিশার ও কার্যকর স্পিনার হিসেবে ম্যাক্সওয়েল খুবই জনপ্রিয়। এসবের সাথে এই অলরাউন্ডারের দুর্দান্ত ফিল্ডিংয়ের দক্ষতাও বিশেষভাবে স্মরণযোগ্য। এখানে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের আইপিএল ক্যারিয়ারের আদ্যোপান্ত তুলে ধরার চেষ্টা করব।


যেসব ফ্রাঞ্চাইজিতে খেলেছেন

গ্লেন ম্যাক্সওয়েল আইপিএলে মূলত ব্যাটসম্যান হিসেবেই বেশি সমাদৃত।বিশেষত টপঅর্ডারে সেট হয়ে গেলে এই তারকা ক্রিকেটার দ্রুত রান তুলতে সিদ্ধহস্ত। এছাড়া সেট হয়ে গেলে দ্রুতই প্রতিপক্ষ বোলারদের লাইনলেংথকে এলোমেলো করে দেয়ার অপূর্ব দক্ষতা রয়েছে ম্যাক্সওয়েলের ব্যাটিংয়ে।এসব কিছু বিবেচনায় আইপিএলে ম্যাক্সওয়েলের চাহিদা ব্যাপক।ম্যাক্সওয়েল আইপিএলে প্রথম ২০১২ সালে খেলার সুযোগ পান। এই অলরাউন্ডার দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের হয়ে প্রথম আইপিএলে অংশ নেন ।২০১৩ সালে খেলেছেন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে।২০১৪ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত খেলেছেন কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবে।২০১৮ আইপিএলে ম্যাক্সওয়েল দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের হয়ে মাঠে নামেন।২০২০ সালে ম্যাক্সওয়েল কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবে খেলেছেন।২০২১ আইপিএলে এই তারকা অলরাউন্ডারের দল ছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু।


ম্যাক্সওয়েলের আইপিএল ক্যারিয়ার

গ্লেন ম্যাক্সওয়েল আইপিএলে মূলত টপঅর্ডার ব্যাটসম্যান হিসেবে বেশি পরিচিত।তবে পার্টটাইম স্পিনার হিসেবেও তিনি বেশ সফল। ম্যাক্সওয়েল ইতিমধ্যে আইপিএলে মোট  ৮৬টি ম্যাচ খেলেছেন। তাঁর আইপিএল রানসংখ্যা ১৬৮১ এবং এরসাথে ৮টি ফিফটি রয়েছে।ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে এই তারকা অলরাউন্ডার বল হাতে ইতিমধ্যে ১৯টি উইকেট নিয়েছেন। তাঁর বেষ্ট বোলিং ফিগার ১৯ রানে ২ উইকেট।


আইপিএল ২০১২


আইপিএলের ২০১২ আসরে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ২টি ম্যাচে মাঠে নামেন এবং ব্যাট হাতে ৬ রান ও বল হাতে ১টি উইকেট নেন।

আইপিএল ২০১৩


আইপিএলের ২০১৩ সালের আসরে ম্যাক্সওয়েল ৩ ম্যাচ খেলে ৩৬ রান করেন।

আইপিএলের ২০১৪


আইপিএলের ২০১৪ সালের আসরে এই তারকা অলরাউন্ডার ১৬টি ম্যাচ খেলে ৪ফিফটিসহ  ৫৫২ রান সংগ্রহ করেন এবং বল হাতে ১টি উইকেট নেন।

আইপিএল ২০১৫


২০১৫ সালের আইপিএলে ম্যাক্সওয়েল ১১ ম্যাচ খেলে ১৪৫ রান করেন। এছাড়া বল হাতে নেন ২টি উইকেট।


আইপিএল ২০১৬


আইপিএলের ২০১৬ আসরে এই অসি গ্ৰেট ১১টি ম্যাচ খেলে ২ফিফটিসহ ১৭৯ রান সংগ্রহ করেন।

আইপিএল ২০১৭


আইপিএলের ২০১৭ সালের আসরে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ১৪ ম্যাচ খেলে ৩১০ রান সংগ্রহ করেন এবং বল হাতে ৭টি উইকেট নেন।

আইপিএল ২০১৮


২০১৮ সালের আইপিএলে ম্যাক্সওয়েল ১২টি ম্যাচ খেলে ১৬৯ রান সংগ্রহ করেন এবং বল হাতে নেন ৫টি উইকেট।

আইপিএল ২০২০


আইপিএলের ২০২০ সালের আসরে ম্যাক্সওয়েলের মোট সংগ্ৰহ ছিল ( ১৩ ম্যাচ) ১৪৮ রান ও ৩টি উইকেট।

আইপিএল ২০২১


২০২১ সালের আইপিএলে ইতিমধ্যে ম্যাক্সওয়েল ৪টি ম্যাচ খেলেছেন এবং তাতে ব্যাট হাতে ২ফিফটিসহ ১৭৬ রান করেছেন।

সাকিবের আইপিএল হিষ্ট্রি

                                                                  

প্রিয় ক্রিকেট ডটকমঃ বর্তমান ক্রিকেটের জনপ্রিয় তারকা সাকিব আল হাসান আইপিএলে বেশ কয়েকটি আসরে খেলেছেন। এবারের আইপিএলেও মাঠে নেমেছেন এই তারকা অলরাউন্ডার।মূলত কার্যকর ও  কৌশলী স্পিনার হিসেবে সব বড় টিটুয়েন্টি লিগেই সাকিবের কদর রয়েছে। এখানে সাকিবের আইপিএল ক্যারিয়ার সম্পর্কে আলোচনা করব।


যেসব ফ্রাঞ্চাইজিতে খেলেছেন

সাকিব আল হাসান আইপিএলে ২০১১ সাল থেকে অংশগ্রহণ করছেন।তারপর প্রায় প্রতি আসরেই খেলে চলেছেন সাবেক এই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। সাকিব ২০১১ আইপিএল থেকে ২০১৭ সালের আসর পর্যন্ত কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে খেলেছেন।২০১৮-২০১৯ আইপিএলে সাকিবের দল ছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। বর্তমান আইপিএলে (২০২১) এই অলরাউন্ডার আবার কেকেআরের হয়ে খেলছেন।

সাকিবের আইপিএল ক্যারিয়ার

সাকিব ইতিমধ্যে আইপিএলে মোট ৬৬টি ম্যাচ খেলেছেন। এবং তাঁর আইপিএল রানসংখ্যা এই মুহূর্তে ২ ফিফটিসহ ৭৮৪। এছাড়া বল হাতে নিয়েছেন মোট ৬১টি উইকেট।২০১১ সাল প্রায় প্রতিটি (২০১৩ ও ২০২০ ছাড়া) আইপিএলেই সাকিব মাঠে নেমেছেন। মূলত উইকেটটেকার স্পিনার সেইসাথে ফিনিশার হিসেবে সাকিব ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে জনপ্রিয়তা লাভ করেছেন। সাকিবের বুদ্ধিদীপ্ত ও কৌশলী স্পিন সব সময়ই আইপিএলে সফলতা পেয়েছে।

আইপিএল ২০১১


আইপিএলের ২০১১ সালের আসরে সাকিব মোট ৭ টি ম্যাচ খেলেন এবং তাতে তাঁর সংগ্রহ ছিল ব্যাট হাতে ২৯টি রান ও বল হাতে ১১টি উইকেট।

আইপিএল ২০১২ 


২০১২ সালের আইপিএলে এই তারকা অলরাউন্ডার মোট ৮ ম্যাচ খেলে ৯১ রান ও ১২টি উইকেট লাভ করেন।

আইপিএল ২০১৪


আইপিএলের ২০১৪ আসরে সাকিব ১৩ ম্যাচ খেলে ১ফিফটিসহ ২২৭ রান করেন এবং বল হাতে নেন ১১টি উইকেট।

আইপিএল ২০১৫


আইপিএলের ২০১৫ আসরে সাকিবের সংগ্ৰহ ছিল ৪ ম্যাচে ৩৬ রান ও ৪টি উইকেট।

আইপিএল ২০১৬


২০১৬ সালের আইপিএলে সাকিব ১০ ম্যাচ খেলে ১ফিফটিসহ ১১৪ রান করেন।বল হাতে নেন ৫টি উইকেট।

আইপিএল ২০১৭


২০১৭ আইপিএলে সাকিব মাএ ১টি ম্যাচ খেলেন তবে ব্যাট (১রান)ও বল হাতে (উইকেট পাননি) তেমন কিছু করতে পাননি।

আইপিএল ২০১৮


আইপিএলের ২০১৮ সালের আসরে সাকিব মোট ১৭টি ম্যাচে মাঠে নামেন এবং ব্যাট হাতে ২৩৯ রানের পাশাপাশি বল হাতে ১৪টি উইকেট লাভ করেন।

আইপিএল ২০১৯


আইপিএলের ২০১৯ সালের আসরে এই তারকা অলরাউন্ডার ৩ ম্যাচ খেলে ৯ রান করেন এবং বল হাতে নেন ২টি উইকেট।

আইপিএল ২০২১


আইপিএলের ২০২১ সালের আসরে সাকিব আল হাসান ইতিমধ্যে ৩টি ম্যাচ খেলেছেন এবং তাতে ব্যাট হাতে ৩৮ রানের পাশাপাশি বল হাতে ২টি উইকেট নিয়েছেন।




সাম্প্রতিক চাকরির খবর

                                                       

প্রিয় ক্রিকেট ডটকমঃ দেশের চাকরির বাজারে কিছু নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। তেমনি কিছু নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির তথ্য এখানে তুলে ধরা হলো।


নৌবাহিনীতে চাকরি

বাংলাদেশ নৌবাহিনী ২০২২ এ অফিসার ক্যাডেট ব্যাচের (প্রথম গ্ৰুপ) আওতায় অফিসার নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।

যোগ্যতা : অফিসার ক্যাডেট পদে নিয়োগের জন্য নারী ও পুরুষ উভয়েই আবেদন করতে পারবেন তবে সেজন নিম্নোক্ত যোগ্যতা থাকতে হবে।

১. ১ জানুয়ারি ২০২২ তারিখে বয়স১৬ থেকে ২১ বছরের মধ্যে হতে হবে। তবে সশস্ত্রবাহিনীতে কর্মরতদের ক্ষেএে বয়স ১৮ থেকে ২৩ বছর।

২.পুরুষ প্রার্থীদের উচ্চতা ও ওজন : ৫ফুট ৪ ইঞ্চি ও ন্যুনতম ৫০ কেজি।  নারী প্রার্থীদের উচ্চতা ও ওজন : ৫ফুট২ ইঞ্চি ও ন্যুনতম ৪৭ কেজি।

৩.অবিবাহিত হতে হবে।

৪.বিজ্ঞান বিভাগে এসএসসি ও এইচএসসি উভয় পরীক্ষায় ন্যূনতম জিপিএ ৪.৫ থাকতে হবে। এছাড়া উভয় পরীক্ষায় গণিত ও পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে ন্যূনতম জিপিএ ৪.০ থাকতে হবে।

৫.ইংরেজি মাধ্যমের প্রার্থীদের ও-লেভেলে ৬টি বিষয়ের মধ্যে অন্তত তিনটিতে এ-গ্ৰেড ও দুটিতে বি-গ্ৰেড থাকতে হবে।আর এ-লেভেলে ন্যূনতম ২টি বিষয়ে বি-গ্ৰেড থাকতে হবে। এবং উভয় পরীক্ষায় গণিত ও পদার্থবিজ্ঞান বিষয় থাকতে হবে।


আবেদন প্রক্রিয়া: অনলাইন (ভিজিটhttp://www.joinnavy.navy.mil.bd)

প্রাথমিক বাছাই : বাছাই পরীক্ষা ও সাক্ষাৎকার হবে ঢাকা, চট্রগ্রাম ও খুলনা কেন্দ্রে।

প্রাথমিক বাছাই পরীক্ষার তারিখ : ৬জুন ও ১০ জুন ( তারিখ পরিবর্তনযোগ্য)



লিখিত পরীক্ষা: লিখিত পরীক্ষা (বুদ্ধিমওা, ইংরেজি, সাধারণ জ্ঞান)এ বছরের ১১ জুন (পরিবর্তনযোগ্য) ঢাকা, চট্রগ্রাম ও খুলনা কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে। এবং পরবর্তীতে আইএসএসবি পরীক্ষা ,সাক্ষাৎকার , চূড়ান্ত স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও চূড়ান্ত মনোনয়ন পর্ষদ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হবে।


প্রশিক্ষণ : নির্বাচিত প্রার্থীরা বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে ১০ সপ্তাহের প্রশিক্ষণ পাবেন।তারপর বাংলাদেশ নেভাল একাডেমিতে অফিসার ক্যাডেট হিসেবে ১৮ মাস এবং মিডশিপম্যান হিসেবে ১৮ মাস প্রশিক্ষণ নিতে হবে।মোট ৩ বছরের প্রশিক্ষণ শেষে প্রার্থী বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে কমিশন লাভ করবেন।

চূড়ান্ত নিয়োগ : চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত প্রার্থীরা ২০২২ সালের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে চট্রগ্রামের পতেঙ্গায় বাংলাদেশ নেভাল একাডেমিতে অফিসার ক্যাডেট হিসেবে যোগদান করবেন।

আবেদনের শেষ তারিখ :২০/০৫/২০২১

সূত্র : দৈনিক শিক্ষা


ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেডে নিয়োগ

দেশের শীর্ষস্থানীয় প্রাইভেট ব্যাংক ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেডে এসোসিয়েট ম্যানেজার (ই-কমার্স) পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে।

পদ : এসোসিয়েট ম্যানেজার (ই-কমার্স)

পদসংখ্যা: অনির্দিষ্ট

যোগ্যতা: বাণিজ্য বা টেকনোলজি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে স্মাতক/ স্মাতকোওর ডিগ্ৰি।

অভিজ্ঞতা: ২-৫ বছর 

চাকরির ধরণ: পূর্ণকালীন 

কর্মক্ষেএ: ঢাকা 

আবেদন প্রক্রিয়া: অনলাইন ( ভিজিট www.bdjobs.com) 

আবেদনের শেষ তারিখ : ২৭/০৪/২০২১

সূত্র : বিডিজবস ডটকম 


এনআরবিসি ব্যাংকে নিয়োগ

দেশের সুপরিচিত প্রাইভেট ব্যাংক এনআরবিসি ব্যাংকে বেশকিছু পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে।

পদ : ইও/এসইও,এও অফিসার, ইনচার্জ অব সাবব্রাঞ্চ

পদসংখ্যা : অনির্দিষ্ট

যোগ্যতা : শিক্ষাজীবনের কোন পর্যায়ে তৃতীয় বিভাগ ছাড়া মাষ্টার্স/এমবিএ/ এমবিএম ডিগ্ৰি

অভিজ্ঞতা :পদভেদে ৩-৫ বছর

কর্মক্ষেএ : বাংলাদেশের যেকোন স্থান

আবেদন প্রক্রিয়া:অনলাইন (ভিজিট www.nrbcommercialbank.com/career)

আবেদনের শেষ তারিখ : ২০/০৫/২০২১

সূত্র : বিডিজবস ডটকম


এনআরবি ব্যাংকে নিয়োগ

দেশের সুপরিচিত প্রাইভেট ব্যাংক এনআরবি ব্যাংকে "হেড অব এসএমই ব্যাংকিং" পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে।

পদ: হেড অব এসএমই ব্যাংকিং

পদসংখ্যা: অনির্দিষ্ট

যোগ্যতা: যেকোন বিষয়ে স্মাতকোওর ডিগ্ৰি।

অভিজ্ঞতা: কমপক্ষে ১৫ বছর
 
দক্ষতা: কম্পিউটার চালনায় দক্ষতা, চমৎকার যোগাযোগ দক্ষতা ইত্যাদি।
বয়স : সর্বোচ্চ ৫৫ বছর

বেতন : আলোচনা সাপেক্ষে

কর্মক্ষেএ: বাংলাদেশের যেকোন স্থান

আবেদন প্রক্রিয়া:অনলাইন (ভিজিটwww.bdjobs.com)
আবেদনের শেষ তারিখ: ৩০/০৪/২০২১

সূত্র: বিডিজবস ডটকম 

ইউনাইটেড ফাইনান্সে নিয়োগ

১. ইউনাইটেড ফাইনান্সে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে।


পদ : অফিসার গ্ৰেড-২, সিনিয়র অফিসার 

যোগ্যতা : এইসআরএম/ম্যানেজমেন্টে স্মাতক ডিগ্রি /বিবিএ/এমবিএ। এছাড়া স্মাতক পর্যায়ে ন্যূনতম সিজিপিএ ৩.০ থাকতে হবে।

অভিজ্ঞতা : ৩ বছর 

বয়স : ২৮-৪২ বছর 

আবেদন প্রক্রিয়া : অনলাইন (সিভি প্রেরণের ইমেইল HR@ulc.com.bd)

আবেদনের শেষ তারিখ : ১৭/০৫/২০২১ 

সূত্র: প্রথম আলো 

২.ইউনাইটেড ফাইনান্স লিমিটেড ট্রেনিং এন্ড ডেভোলাপমেন্ট বিভাগ 


পদ : সিনিয়র অফিসার, প্রিন্সিপাল অফিসার 

যোগ্যতা : এইসআরএম/ম্যানেজমেন্টে স্মাতক ডিগ্রি/বিবিএ/এমবিএ । এছাড়া স্মাতকে সিজিপিএ ৩.০ থাকতে হবে।

অভিজ্ঞতা : ৪ বছর 

আবেদন প্রক্রিয়া: অনলাইন (সিভি প্রেরণের ইমেইল HR@ulc.com.bd) 

আবেদনের শেষ তারিখ : ১৭/০৫/২০২১ 
সূত্র : প্রথম আলো


ব্র্যাক এনজিওতে চাকরি

পদ : ডেপুটি ম্যানেজার, রিক্রুটমেন্ট, হিউম্যান রিসোর্স ডিভিশন 

যোগ্যতা:স্মাতক ডিগ্রি

অভিজ্ঞতা : কমপক্ষে ৩ বছর 

বেতন-ভাতা: আর্কষণীয় বেতন-ভাতা ।

কর্মক্ষেএ: ব্র্যাক হেডঅফিস 

আবেদন প্রক্রিয়া: অনলাইন (www.bdjobs.com)

আবেদনের শেষ তারিখ :২৬/০৪/২০২১

সূত্র : বিডিজবস ডটকম



কিয়েরন পোলার্ডের আইপিএল হিষ্ট্রি

                                                        

প্রিয় ক্রিকেট ডটকমঃ উইন্ডিজ ক্রিকেট তথা বিশ্বের সব বড় টিটুয়েন্টি টুর্নামেন্টের জনপ্রিয় এক তারকা কিয়েরন পোলার্ড।মূলত অলরাউন্ডার হিসেবে পরিচিত পোলার্ড দুর্দান্ত ফিনিশার এবং ফিল্ডিংয়ে বিশ্বসেরাদের একজন। এবং টিটুয়েন্টি ক্রিকেটে ডেথ ওভারে হিসেবি বোলিংয়ের জন্যেও বিশ্বজোড়া সুনাম রয়েছে এই উইন্ডিজ লিজেন্ডের । আইপিএলে বরাবরই সফল এক অলরাউন্ডার কিয়েরন পোলার্ড। এখানে পোলার্ডের আইপিএল ক্যারিয়ার নিয়ে আলোচনা করব।


যেসব ফ্রাঞ্চাইজিতে খেলেছেন

কিয়েরন পোলার্ড আইপিএলে ২০১০ সালে প্রথম অংশগ্ৰহনের সুযোগ পান। এবং শুরু থেকে এখন পর্যন্ত মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের প্রতিনিধিত্ব করছেন এই উইন্ডিজ হাডহিটার। আইপিএলের ইতিহাসে এই অলরাউন্ডার ইতিমধ্যে ১৬৮টি ম্যাচ খেলেছেন। তাঁর আইপিএল রানসংখ্যা তিন সহস্রাধিক । 

পোলার্ডের আইপিএল ক্যারিয়ার

আইপিএলের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও কার্যকর অলরাউন্ডার হিসেবে শুরু থেকেই খেলে চলেছেন কিয়েরন পোলার্ড। অসাধারণ টেকনিক এবং সেই সাথে গেমচেঞ্জার হিসেবে সফলতা পোলার্ডকে  আইপিএলের ইতিহাসে অনন্য স্থান দিয়েছে।এই উইন্ডিজ লিজেন্ড আইপিএলে ডেথ ওভার বোলিংয়েও বেশ সফল।ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে বহু ম্যাচকে প্রায় একাই নিয়ন্ত্রণ করেছেন এই অলরাউন্ডার। পোলার্ড ইতিমধ্যে আইপিএলে ১৬৮টি ম্যাচ খেলেছেন। তিনি আইপিএলে ১৫ ফিফটিসহ ইতিমধ্যে ৩০৭২ রান করেছেন।বল হাতে নিয়েছেন ৬১টি উইকেট। আইপিএলে পোলার্ডের সেরা বোলিং ৪৪ রানে ৪ উইকেট।

আইপিএল ২০১০


২০১০ সিলের আইপিএলে পোলার্ড ১৪ ম্যাচ খেলে মোট ২৭৩ রান সংগ্রহ করেন। এছাড়া বল হাতে নেন ১৫টি উইকেট।

আইপিএল ২০১১

২০১১ সালের আইপিএলে এই উইন্ডিজ হাডহিটার ১৬টি ম্যাচে মাঠে নামেন এবং বিরাট হাতে ১৪৬ রান ও বল হাতে ১০ টি উইকেট নেন।

আইপিএল ২০১২

আইপিএলের ২০১২ সালের আসরে পোলার্ড ১৪ ম্যাচে ২ফিফটিসহ ২২০ রান করেন।বল হাতে নেন ১৬ টি উইকেট।

আইপিএল ২০১৩

আইপিএল ২০১৩ তে এই উইন্ডিজ হাডহিটার ১৮ ম্যাচ খেলে ৩ ফিফটিসহ ৪২০ রান করেন।বল হাতে নেন ১০টি উইকেট।

আইপিএল ২০১৪

আইপিএলের ২০১৪ সালের আসরে পোলার্ড ১৫ ম্যাচ খেলে ১ ফিফটিসহ ২৭৩ রান করেন।বল হাতে নেন ২টি উইকেট।

আইপিএল ২০১৫

২০১৫ সালের আইপিএলে এই তারকা অলরাউন্ডার ১৬ ম্যাচ খেলে ২ফিফটিসহ ৪১৯ রান করেন।বল হাতে নেন তিনটি উইকেট।

আইপিএল ২০১৬

২০১৬ আইপিএলে পোলার্ড ১৩ ম্যাচ খেলে ১ ফিফটিসহ ২০৭ রান করেন।

আইপিএল ২০১৭

২০১৭ আইপিএলে পোলার্ড ব্যাট হাতে ১৭ ম্যাচে ৩ ফিফটিসহ ৩৮৫ রান সংগ্রহ করেন।

আইপিএল ২০১৮ 

আইপিএলের ২০১৮ আসরে এই তারকা ক্রিকেটার ৯ ম্যাচ খেলে ১ ফিফটিসহ ১৩৩ রান সংগ্রহ করেন।

আইপিএল ২০১৯

আইপিএলের ২০১৯ সালের আসরে পোলার্ড ১৬ ম্যাচ খেলে ১ ফিফটিসহ ২৭৯ রান সংগ্রহ করেন।

আইপিএল ২০২০

২০২০ সালের আইপিএলে পোলার্ড ১৬ ম্যাচে মাঠে নামেন এবং ব্যাট হাতে ১ ফিফটিসহ ২৬৮ রান করেন।বল হাতে নেন ৪টি উইকেট।

আইপিএল ২০২১

আইপিএলের ২০২১ সালের আসরে কিয়েরন পোলার্ড ইতিমধ্যে ৪ টি ম্যাচ খেলেছেন এবং তাতে ব্যাট হাতে ৪৯ রানের পাশাপাশি বল হাতে ১টি উইকেট নিয়েছেন এই উইন্ডিজ লিজেন্ড।

ক্রিস গেইলের আইপিএল হিষ্ট্রি

                                                        

প্রিয় ক্রিকেট ডটকমঃ টিটুয়েন্টি ক্রিকেটের সবচেয়ে জনপ্রিয় আইকনদের একজন ক্রিস গেইল। আধিপত্য বিস্তার করে ব্যাটিংয়ের চমৎকার দক্ষতা গেইলকে টিটুয়েন্টি ক্রিকেটের বড় এক ব্রান্ডে পরিণত করেছে।টিটুয়েন্টি ক্রিকেটের সব বড় আসরেই ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে এই উইন্ডিজ লিজেন্ডের।ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগেও গেইল এক ভিন্ন সৌন্দর্যের নাম। ক্লাসিক্যাল টেকনিকের সাথে পাওয়ারহিটিং মিলিয়ে গেইল আইপিএলের শুরু থেকেই এক বিশিষ্ট ব্যাটসম্যান হিসেবে স্বীকৃত।আর এসব কিছু মিলিয়ে আইপিএলে গেইলের আবেদন ব্যাপক। আসুন এই  ব্যাটিং লিজেন্ডের আইপিএল ক্যারিয়ার সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জেনে নিই।


যেসব ফ্রাঞ্চাইজিতে খেলেছেন

টিটুয়েন্টি ক্রিকেটের এই মহাযজ্ঞে (আইপিএল) ক্রিস গেইল শুরু থেকেই জড়িয়ে রয়েছেন।২০০৮ সালে প্রথম আইপিএলে ক্রিস গেইল কেকেআরের প্রতিনিধিত্ব করেন। এবং ২০১০ সালের আইপিএল পর্যন্ত গেইল কেকেআরের হয়েখেলেছেন। পরবর্তীতে ২০১১ থেকে ২০১৭ সালের আইপিএল পর্যন্ত এই উইন্ডিজ লিজেন্ড রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর প্রতিনিধিত্ব করেন।২০১৮ থেকে বর্তমান আইপিএল পর্যন্ত গেইল পাঞ্জাব কিংসের প্রতিনিধিত্ব করছেন।


গেইলের আইপিএল ক্যারিয়ার

ক্রিস গেইল আইপিএলের প্রায় সব আসরেই নজরকাড়া পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন। নিজের চিরচেনা রূপে বারবার প্রতিপক্ষ ফ্রাঞ্চাইজির বোলারদের তুলোধুনো করেছেন এবং এসবের বড় এক প্রমাণ আইপিএলে তাঁর সবচেয়ে বেশি ব্যক্তিগত ছক্কার রেকর্ড । তাছাড়া আইপিএলে শীর্ষ রানকারী ব্যাটসম্যানদের অন্যতম এক নামও কিন্তু ক্রিস গেইল। গেইল আইপিএলে ইতিমধ্যে ১৩৫ টি ম্যাচ খেলেছেন। আইপিএলে তাঁর রানসংখ্যা ৪৮৩৩।এই উইন্ডিজ গ্ৰেট ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে ৬টি শতক ও ৩১টি অর্ধশতক হাঁকিয়েছেন। সেইসাথে আইপিএলে এই মুহূর্তে সর্বাধিক ছক্কার রেকর্ডও(৩৫২) গেইলের দখলে। টিটুয়েন্টি ক্রিকেটের এই জনপ্রিয় আসরে বল হাতে ১৮ টি উইকেট নিয়েছেন গেইল।

আইপিএল ২০০৯


আইপিএল ২০০৯ এ গেইল মোট ৭টি ম্যাচে মাঠে নামেন এবং ১৭১ রান সংগ্রহ করেন।বল হাতে ১টি উইকেট নেন।

আইপিএল ২০১০


আইপিএলের ২০১০ সালের আসরে গেইল ৯ ম্যাচ খেলে ২ ফিফটিসহ ২৯২ রান সংগ্রহ করেন। এছাড়া বল হাতে নেন ৪টি উইকেট।

আইপিএল ২০১১


২০১১ সালের আইপিএলে এই উইন্ডিজ গ্ৰেট ১২ ম্যাচ খেলে ২টি শতক ও ৩টি অর্ধশতকসহ মোট ৬০৮ রান করেন। এছাড়া বল হাতে নেন ৮টি উইকেট।

আইপিএল ২০১২


আইপিএলের ২০১২ সালের আসরে গেইল ১৫ ম্যাচ খেলে ১ শতক ও ৭টি অর্ধশতকের সাহায্যে ৭৩৩ রান সংগ্রহ করেন।

আইপিএল ২০১৩


আইপিএলের ২০১৩ সালের আসরে ১৬ ম্যাচ খেলে গেইলের সংগ্রহ ছিল ৪ফিফটিসহ ৭০৮ রান। এছাড়া বল হাতে নেন ৩টি উইকেট।

আইপিএল ২০১৪


২০১৪ সালের আইপিএলে এই তারকা ব্যাটসম্যান ৯ ম্যাচ খেলে ১৯৬ রান সংগ্রহ করেন।

আইপিএল ২০১৫


আইপিএলের ২০১৫ সালের আসরে গেইল ১৪ ম্যাচ খেলে ১টি শতক ও ২টি অর্ধশতক সহ ৪৯১ রান সংগ্রহ করেন।

আইপিএল ২০১৬


২০১৬ সালের আইপিএলে গেইল মোট ১০টি ম্যাচে মাঠে নামেন এবং ২ ফিফটিসহ ২২৭ রান সংগ্রহ করেন। এছাড়া ২টি উইকেট নেন।

আইপিএল ২০১৭


আইপিএলের ২০১৭ সালের আসরে গেইলের সংগ্রহ ছিল ৯ ম্যাচে ১ ফিফটিসহ ২০০ রান।

আইপিএল ২০১৮


আইপিএলের ২০১৮ সালের আসরে এই তারকা ব্যাটসম্যান ১১ ম্যাচ খেলে ১ শতক ও ৩টি অর্ধশতকসহ ৩৬৮ রান করেন।

আইপিএল ২০১৯


আইপিএলের ২০১৯ আসরে গেইলের সংগ্রহ ছিল ১৩ ম্যাচে ৪ ফিফটিসহ ৪৯০ রান।

আইপিএল ২০২০


২০২০ সালের আইপিএলে এই উইন্ডিজ লিজেন্ড ৭ ম্যাচ খেলে ৩ ফিফটিসহ ২৮৮ রান সংগ্রহ করেন।

আইপিএল ২০২১


বর্তমান আইপিএলে (২০২১) ক্রিস গেইল ইতিমধ্যে ৩ টি ম্যাচ খেলেছেন এবং তাঁর মোট সংগ্ৰহ ৬১ রান।

রোহিত শর্মার আইপিএল হিষ্ট্রি

                                                        

প্রিয় ক্রিকেট ডটকমঃ এ সময়ের ক্রিকেটে বিপজ্জনক ব্যাটসম্যানদের একজন রোহিত শর্মা। এবং ওয়ানডে ক্রিকেটে একাধিক ডাবল সেঞ্চুরির কীর্তি গড়া এই হাডহিটার টিটুয়েন্টি ক্রিকেটেও সবসময় স্বভাবসুলভ মারকুটে ব্যাটিংয়ে অভ্যস্ত।ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগেও শীর্ষ রানকারী ব্যাটসম্যানদের অন্যতম রোহিত শর্মা। এছাড়া আইপিএলে অধিনায়ক হিসেবে শিরোপা জয়ের রেকর্ডও রয়েছে তাঁর ঝুঁলিতে।আর এসব কিছু বিবেচনায় রোহিত শর্মাকে নিয়ে ক্রিকেটপ্রেমীদের মধ্যে আগ্ৰহের শেষ নেই। এখানে এই ভারতীয় হাডহিটারের আইপিএল ক্যারিয়ার নিয়ে আলোচনা করব।


যেসব ফ্রাঞ্চাইজিতে খেলেছেন

রোহিত শর্মা ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে সবসময়ই দারুণ জনপ্রিয় এক ব্যাটসম্যান।উইকেটে আধিপত্য বিস্তার করে খেলার অসাধারণ ক্ষমতার অধিকারী এই ব্যাটসম্যান আইপিএলে অনেকগুলো রেকর্ডের মালিক। আইপিএলে রোহিত শর্মা শুরু থেকেই খেলছেন। আইপিএলের প্রথম আসরে এই তারকা ব্যাটসম্যানের টিম ছিল ডেকান চার্জার্স।২০১০ সালের আইপিএল পর্যন্ত রোহিত ডেকান চার্জার্সের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এবং ২০১১ সালের আইপিএল বর্তমান আসর পর্যন্ত  এই হাডহিটার মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের প্রতিনিধিত্ব করছেন।

রোহিত শর্মার আইপিএল ক্যারিয়ার

টিটুয়েন্টি ক্রিকেটে সফল ওপেনারদের একজন রোহিত শর্মা।বিশেষত ইনিংসের শুরু থেকে উইকেটের চারপাশে বিগশট খেলার অসাধারণ দক্ষতা রোহিতকে টিটুয়েন্টি ওপেনিংয়ে বিশিষ্ট স্থান দিয়েছে। আইপিএলেও এই ওপেনার নিজের স্বাতন্ত্র্য বজায় রেখে চলেছেন। ইতিমধ্যে রোহিত শর্মা ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে মোট ২০৩টি ম্যাচ খেলেছেন যেখানে তাঁর মোট রান সংখ্যা ৫৩২৪। আইপিএলে রোহিত শর্মার ১টি শতক ও ৩৯টি অর্ধশতক রয়েছে। তাছাড়া আইপিএলে বল হাতে ১৫টি উইকেটও নিয়েছেন রোহিত।


আইপিএল ২০০৮

আইপিএলের প্রথম আসরে (২০০৮) রোহিত শর্মা ১৩ ম্যাচ খেলে ৪ ফিফটিসহ ৪০৪ রান সংগ্রহ করেন।বল হাতে ১টি উইকেটও নেন।

আইপিএল ২০০৯

২০০৯ সালের আইপিএলে এই তারকা ক্রিকেটার ১৬ ম্যাচ খেলে ১ফিফটিসহ ৩৬২ রান করেন। এছাড়া বল হাতে ১১টি উইকেট নেন।

আইপিএল ২০১০

২০১০ সালের আইপিএলে রোহিত শর্মা ১৬ ম্যাচ খেলে ৩ ফিফটিসহ ৪০৪ রান সংগ্রহ করেন। এবং বল হাতে ২টি উইকেট নেন।

আইপিএল ২০১১

আইপিএলের ২০১১ আসরে এই ওপেনার ১৬টি ম্যাচে মাঠে নামেন এবং ৩ফিফটিসহ ৩৭২ রান সংগ্রহ করেন।

আইপিএল ২০১২

আইপিএলে ২০১২ সালের আসরে রোহিত শর্মা ১৭ ম্যাচ খেলে ১ শতক ও ৩ অর্ধশতক সহ মোট ৪৩৩ রান সংগ্রহ করেন।

আইপিএল ২০১৩

আইপিএলের ২০১৩ আসরে এই তারকা ব্যাটসম্যান ১৯টি ম্যাচে মাঠে নামেন এবং ৪টি ফিফটিসহ মোট ৫৩৮ রান সংগ্রহ করেন।

আইপিএল ২০১৪

২০১৪ আইপিএলে রোহিত শর্মা ১৫ ম্যাচ খেলে ৩ ফিফটিসহ ৩৯০ রান করেন। এছাড়া বল হাতে ১টি উইকেট নেন।

আইপিএল ২০১৫

আইপিএলের ২০১৫ সালের আসরে রোহিত শর্মা ১৬ ম্যাচ খেলে ৩টি ফিফটিসহ ৪৮২ রান করেন।

আইপিএল ২০১৬

২০১৬ সালের আইপিএলে এই তারকা ব্যাটসম্যান ৫ ফিফটিসহ ১৪ ম্যাচে ৪৮৯ রান সংগ্রহ করেন।

আইপিএল ২০১৭


আইপিএলের ২০১৭ সালের আসরে রোহিত ১৭ ম্যাচ খেলে ৩ ফিফটিসহ ৩৩৩ রান করেন।

আইপিএল ২০১৮


২০১৮ আইপিএলে রোহিত শর্মা মোট ১৪ ম্যাচ খেলে ২ফিফটিসহ ২৮৬ রান সংগ্রহ করেন।

আইপিএল ২০১৯


আইপিএলের ২০১৯ সালের আসরে রোহিত শর্মা ১৫ ম্যাচ খেলে ২ ফিফটিসহ ৪০৫ রান করেন।

আইপিএল ২০২০


আইপিএলের ২০২০ আসরে রোহিত ১২ ম্যাচ খেলে ৩ ফিফটিসহ ৩৩২ রান সংগ্রহ করেন।

আইপিএল ২০২১


আইপিএলের বর্তমান (২০২১) আসরে এই তারকা ব্যাটসম্যান ৩ ম্যাচ খেলেছেন এবং ৯৪ রান সংগ্রহ করেছেন।

ট্রেন্ট বোল্টের আইপিএল হিষ্ট্রি

                                                          

প্রিয় ক্রিকেট ডটকমঃ টিটুয়েন্টি ক্রিকেটে ভালো ফাষ্টবোলিংয়ের অন্যতম শর্ত হচ্ছে পেসের সাথে বুদ্বিদীপ্ত ভেলিভারি।অর্থাৎ এখানে একজন ফাষ্টবোলারকে লাইন এবং লেংথ সম্পর্কে যথেষ্ঠ সচেতন থাকতে হয়। বর্তমান টিটুয়েন্টি ক্রিকেটে তেমনি এক পেসবোলার নিউজিল্যান্ডের ট্রেন্ট বোল্ট। আন্তর্জাতিক টিটুয়েন্টির পাশাপাশি আইপিএলেও বেশ সফল বোল্ট।২০২০ আইপিএলে মুম্বাইয়ের শিরোপা জয়ে এই পেসারের ব্যাপক ভূমিকা ছিল। এবারের আইপিএলেও চমৎকার বোলিং করে চলেছেন এই অভিজ্ঞ গতিতারকা।ট্রেন্ট বোল্টের আইপিএল ক্যারিয়ার নিয়ে এখানে আলোচনা করব।


যেসব ফ্রাঞ্চাইজিতে খেলেছেন

নিয়ন্ত্রিত ও কার্যকর পেসের জন্য বিখ্যাত ট্রেন্ট বোল্ট ২০১৫ আইপিএল থেকে খেলছেন।২০১৫ ও ২০১৬ সালের আইপিএলে এই কিউই পেসার সানরাইজার্স হায়দরাবাদের প্রতিনিধিত্ব করেছেন।২০১৭ আইপিএলে বোল্ট কেকেআরের হয়ে মাঠে নামেন।২০১৮ ও ২০১৯ আইপিএলে বোল্ট দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে খেলেছেন। এবং ২০২০ ও বর্তমান আইপিএলে এই ফাষ্টবোলার মুম্বাইয়ের প্রতিনিধিত্ব করছেন।


বোল্টের আইপিএল ক্যারিয়ার

আইপিএলের সফল ও কার্যকর পেসারদের মধ্যে বোল্ট অন্যতম। দুর্দান্ত গতি ও সেইসাথে বুদ্ধিদীপ্ত ভেলিভারি মিলিয়ে বোল্ট আইপিএলে সর্বদাই এক জনপ্রিয় বোলার।ট্রেন্ট বোল্ট ইতিমধ্যে আইপিএলে ৫১টি ম্যাচ খেলেছেন । আইপিএলে এই কিউই গতিতারকার উইকেটসংখ্যা ৬৯।ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে বোল্টের সেরা বোলিং ১৮ রানে ৪ উইকেট।

আইপিএল ২০১৫

নিজের প্রথম আইপিএলে (২০১৫) ট্রেন্ট বোল্ট মোট ৭টি ম্যাচে মাঠে নামেন এবং ৯টি উইকেট দখল করেন।

আইপিএল ২০১৬

২০১৬ সালের আইপিএলে এই কিউই পেসার ১ম্যাচ খেলে ১টি উইকেট নেন।

আইপিএল ২০১৭

আইপিএলের ২০১৭ সালের আসরে বোল্ট মোট ৬ ম্যাচ খেলে ৫টি উইকেট দখল করেন।

আইপিএল ২০১৮

আইপিএলের ২০২৮ আসরে বোল্ট মোট ১৪ ম্যাচ খেলে ১৮টি উইকেট নেন।

আইপিএল ২০১৯

আইপিএলের ২০১৯ আসরে এই কিউই পেসার মোট ৫ টি ম্যাচ খেলে ৫ উইকেট নেন।

আইপিএল ২০২০

২০২০ সালের আইপিএলে বোল্ট মোট ১৫ ম্যাচ খেলে ২৫টি উইকেট নেন। উল্লেখ্য ২০২০ সালের আইপিএলে ট্রেন্ট বোল্টের টিম মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স শিরোপা জয় করে। এবং ২০২০ আইপিএলে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের শিরোপা জয়ে বোল্টের বড় ভূমিকা ছিল।


আইপিএল ২০২১

বর্তমান আইপিএলে ট্রেন্ট বোল্ট যথারীতি মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের প্রতিনিধিত্ব করছেন এবং ইতিমধ্যে ৩ম্যাচ খেলে এই গতিতারকা ৬টি উইকেট নিয়েছেন।

এমএস ধোনির আইপিএল হিষ্ট্রি

                                                       

প্রিয় ক্রিকেট ডটকমঃ আইপিএলে সবচেয়ে জনপ্রিয় প্লেয়ারদের একজন মহেন্দ্র সিং ধোনি। আইপিএলে ব্যাটসম্যান অধিনায়ক, উইকেটরক্ষক তিন রূপেই সফল এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান।ইন্ডিয়ার প্রিমিয়ার লিগে চার সহস্রাধিক রান করেছেন। খেলেছেন দু'শোর বেশি ম্যাচ। তাছাড়া ফিনিশার হিসেবেও আইপিএলে দুর্দান্ত সব রেকর্ড রয়েছে ধোনির। ধোনির আইপিএল হিস্ট্রি নিয়ে এখানে আলোচনা করব।


যেসব ফ্রাঞ্চাইজিতে খেলেছেন

ধোনির আইপিএলে পদচারণা শুরু হয় ২০০৮ সালে। চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে আইপিএলে প্রথম অংশগ্ৰহন করেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান।এই কিংবদন্তি ক্রিকেটার নিজের প্রথম আইপিএলে দারুণ ক্রিকেট উপহার দেন।তারপর থেকে বর্তমান আইপিএল পর্যন্ত প্রতিটি আসরেই অংশ নিয়েছেন ধোনি।ধোনি আইপিএলে ২০০৮ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত চেন্নাই সুপার কিংসের প্রতিনিধিত্ব করেন।তারপর ২০১৬-২০১৭ সালে রাইজিং পুনে সুপারজায়েন্টের হয়ে মাঠে নামেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। সর্বশেষ ২০১৮ সাল থেকে বর্তমান আইপিএল পর্যন্ত চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে মাঠে নামছেন ধোনি।


ধোনির আইপিএল ক্যারিয়ার

এমএস ধোনি আইপিএলে ইতিমধ্যে মোট ২০৬টি ম্যাচ খেলেছেন। এবং আইপিএলে এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যানের রানসংখ্যা ৪৬৩২।ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে ধোনির ২৩টি ফিফটি রয়েছে। এছাড়া ১১৩টি ক্যাচ ও ৩৯টি স্টাম্পিং করেছেন এই কুল ফিনিশার।


আইপিএল ২০০৮

২০০৮সিলের আইপিএলে ধোনি ১৬ ম্যাচ খেলে ২ফিফটিসহ ৪১৪ রান সংগ্রহ করেন।

আইপিএল ২০০৯

আইপিএল ২০০৯ এ ধোনি মোট ১৪ ম্যাচ খেলে ২ফিফটিসহ ৩৩২ রান করেন।

আইপিএল ২০১০


আইপিএল ২০১০ এ এম এস ১৩ ম্যাচে মাঠে নামেন এবং ২ফিফটিসহ ২৮৭ রান সংগ্রহ করেন।

আইপিএল ২০১১


২০১১সালের আইপিএলে এই কুল ফিনিশার ১৬ ম্যাচ খেলে ২ফিফটিসহ ৩৯২ রান করেন।

আইপিএল ২০১২


আইপিএল ২০১২ আসরে ধোনি ১৯ ম্যাচ খেলে ১ফিফটিসহ ৩৫৮ রান সংগ্রহ করেন।

আইপিএল ২০১৩


২০১৩ সালের আইপিএলে ধোনি ১৮ ম্যাচ খেলে ৪৬১ রান সংগ্রহ করেন।

আইপিএল ২০১৪


আইপিএলের ২০১৪ সালের আসরে ধোনি ১৬টি ম্যাচে মাঠে নামেন এবং ১ফিফটিসহ মোট ৩৭১ রান সংগ্রহ করেন।

আইপিএল ২০১৫

আইপিএলের ২০১৫ সালের আসরে ধোনি ১৭ ম্যাচ খেলে ১ ফিফটিসহ মোট ৩৭২ রান সংগ্রহ করেন।

আইপিএল ২০১৬


আইপিএলের ২০১৬ সালের আসরে ধোনি ১৪ ম্যাচ খেলে ১ফিফটিসহ ২৮৪ রান সংগ্রহ করেন।

আইপিএল ২০১৭

২০১৭ সালের আইপিএলে এই তারকা ব্যাটসম্যান ১৬ ম্যাচ খেলে ১ফিফটিসহ মোট ২৯০ রান সংগ্রহ করেন।

আইপিএল ২০১৮

২০১৮ সালের আইপিএলে এম এস মোট ১৬ ম্যাচে মাঠে নামেন এবং ৩ফিফটিসহ ৪৫৫ রান সংগ্রহ করেন।

আইপিএল ২০১৯

আইপিএল ২০১৯ আসরে ধোনি ১৫ ম্যাচ খেলে ৩ফিফটিসহ ৪১৬ রান সংগ্রহ করেন।

আইপিএল ২০২০

আইপিএলের ২০২০ সালের আসরে ধোনি ১৪ ম্যাচ খেলে ২০০ রান করেন।

আইপিএল ২০২১

২০২১ সালের আইপিএলে ইতিমধ্যে ধোনি দুটি ম্যাচে মাঠে নেমেছেন তবে বিরাট হাতে রান পাননি তবে টিমের নেতৃত্ব ও উইকেটের পেছনের দায়িত্ব সফলতার সাথে  পালন করছেন।

মোস্তাফিজের আইপিএল হিষ্ট্রি

                                                        

প্রিয় ক্রিকেট ডটকমঃ টিটুয়েন্টি ক্রিকেটে বিশ্বের সেরা পেসারদের অন্যতম মোস্তাফিজুর রহমান। আইপিএলে প্রায় নিয়মিত খেলে চলেছেন এই বাঁহাতি কাঁটার মাষ্টার। নিয়ন্ত্রিত পেস আর কার্যকর সুইং দিয়ে আইপিএলে বেশ কিছু রেকর্ড গড়েছেন মোস্তাফিজ। মোস্তাফিজুর রহমানের আইপিএল ক্যারিয়ার নিয়েই এ লেখা।


যেসব ফ্রাঞ্চাইজিতে খেলেছেন

আইপিএলে মোস্তাফিজ প্রথম দল পান ২০১৬ সালে। সেই আইপিএলে মোস্তাফিজ সানরাইজার্স হায়দরাবাদের প্রতিনিধিত্ব করেন।২০১৭ সালের আইপিএলেও একই টিমে খেলেছেন এই বাঁহাতি পেসার।তবে ২০১৮ সালের আইপিএলে মোস্তাফিজ মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের দলভুক্ত হন।২০২১ সালের আইপিএলে এই বাঁহাতি পেসারের দল রাজস্থান রয়্যালস।

মোস্তাফিজের আইপিএল ক্যারিয়ার

আইপিএলে প্রায় নিয়মিত সুযোগ পাওয়া দ্বিতীয় বাংলাদেশি প্লেয়ার হচ্ছেন মোস্তাফিজুর রহমান। মোস্তাফিজ আইপিএলে ২০১৬ সালে প্রথম অংশগ্ৰহনের সুযোগ পান । ইতিমধ্যে চারটি আইপিএলে অংশ নিয়েছেন এই বাঁহাতি পেসার। মোস্তাফিজ আইপিএল ইতিমধ্যে ২৬টি ম্যাচ খেলেছেন । তাঁর আইপিএল উইকেট সংখ্যা ২৬।ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে মোস্তাফিজের সেরা বোলিং ফিগার হচ্ছে ১৬ রানে ৩ উইকেট।

আইপিএল ২০১৬

মোস্তাফিজুর রহমান ২০১৬ সালে প্রথমবারের মত আইপিএলে দল পান। তাঁর প্রথম আইপিএল ফ্রাঞ্চাইজি ছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। নিজের প্রথম আইপিএলে এই বাঁহাতি পেসার ১৬ ম্যাচ খেলে ১৭টি উইকেট দখল করেন।

আইপিএল ২০১৭

২০১৭ আইপিএলেও মোস্তাফিজ সানরাইজার্স হায়দরাবাদের প্রতিনিধিত্ব করেন।তবে সেই আসরে তিনি একটি মাএ ম্যাচে খেলার সুযোগ পান।সেই ম্যাচে কোন উইকেট পাননি।

আইপিএল ২০১৮

২০১৮ সালের আইপিএলে মোস্তাফিজ মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে মাঠে নামেন এবং ৭ ম্যাচ খেলে ৭টি উইকেট লাভ করেন।

আইপিএল ২০২১

বর্তমান আইপিএলে ইতিমধ্যে দুটি ম্যাচে খেলেছেন এই বাঁহাতি পেসার এবং সেখানে মোট ২টি উইকেট নিয়েছেন।

টাইগারদের শ্রীলঙ্কা সিরিজের আগে

                                                     


প্রিয় ক্রিকেট ডটকমঃ করোনার জন্য বিদেশ সফরে কিছু বিধিনিষেধ ইত্যাদির পর আবারো বাংলাদেশ টিম বিদেশে ক্রিকেট শুরু করতে যাচ্ছে। আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ হিসেবে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে  দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজ খেলতে টাইগাররা ইতিমধ্যে শ্রীলঙ্কা পৌঁছে গেছে। যদিও চূড়ান্ত স্কোয়াড ঘোষণা হয়নি।তাই প্রাথমিক স্কোয়াড নিয়েই শ্রীলঙ্কা পৌঁছেছে বাংলাদেশ দল। আইপিএলের জন্য সাকিব ও মোস্তাফিজ এই সিরিজের দলে নেই। শ্রীলঙ্কা সিরিজের আগে টাইগারদের সাম্প্রতিক টেস্ট হালচাল নিয়ে  কিছু পর্যবেক্ষণ এখানে তুলে ধরব।


ওপেনারদের আরও দায়িত্বশীল হতে হবে

টেস্ট ক্রিকেটে ব্যাটিংয়ের একটি গুরুদায়িত্ব ওপেনারদের কাঁধে সবসময়ই থাকে । নতুন বলকে পুরনো করে একটি শক্ত ভিত ওপেনারদেরই তৈরি করতে হয়।আর বাংলাদেশের সাম্প্রতিক টেস্ট ব্যর্থতার জন্য ওপেনারদের কিছু দায় রয়েছে। ওপেনারদের ধারাবাহিকতার অভাব বাংলাদেশকে টেষ্টে পিছিয়ে দিচ্ছে।তাই শ্রীলঙ্কা সিরিজে ভালো কিছু করতে হলে তামিম,সাদমান ইসলামদের আরো দায়িত্বশীল হতে হবে। কারণ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওপেনাররা যদি শুরুতেই ব্যর্থ হয় তাহলে আবারো মিডল অর্ডার চাপে পড়বে ফলে বাংলাদেশের পক্ষে টেষ্টে রেজাল্ট করা কঠিন হবে। আশার কথা হলো শ্রীলঙ্কার বর্তমান টেস্ট টিমে মালিঙ্গার মত গতির বোলার নেই। যদিও শ্রীলঙ্কা নিজমাটিতে খুবই শক্তিশালী টিম। বাংলাদেশের প্রাথমিক দলে ওপেনার হিসেবে তামিম, সাদমান, মোঃ সাইফ হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত রয়েছেন ।তাছাড়া দলে থাকা লিটন দাস ওয়ানডেতে ওপেন করে থাকেন। শেষপর্যন্ত হয়তো তামিমের সাথে সাইফ বা সাদমানের মধ্যে কেউ একজন ওপেন করবেন। কিন্তু এখানে যেহেতু ওপেনারদের মূল কাজ নতুন বলকে ভালোভাবে মোকাবেলা করা এবং একটি প্রাথমিক পুঁজি দাড় করানো সেক্ষেত্রে হয়তো তামিমের সাথে সাদমানই ওপেন করবেন।তবে  সাম্প্রতিক ডমেষ্টিক পারফরম্যান্স বিবেচনায় সাইফ হাসানও হয়তো ওপেনিংয়ে সুযোগ পেতে পারেন।তবু শেষপর্যন্ত যাকেই দায়িত্ব দেয়া হোক শ্রীলঙ্কা সিরিজে টেস্টে ভালো কিছু করতে হলে ওপেনারদের পারফর্ম করতে হবে।

লিটন,মিঠুনদের সঠিক জায়গা নির্ধারণ

আসলে লংগারভার্সন ক্রিকেটে সঠিক ব্যাটিং অর্ডার নির্ধারণ খুব গুরুত্বপূর্ণ এক কাজ।কারণ এখানে সঠিক স্থানে সঠিক ব্যাটসম্যানকে ব্যাটিংয়ের সুযোগ না দিতে পারলে আপনি ব্যাটসম্যানের কাছে সেরাটা পাবেন না। বাংলাদেশের সাম্প্রতিক টেস্ট ব্যর্থতার জন্য মিডল অর্ডারের ধারাবাহিকতার অভাব একটি বড় কারণ।আর এক্ষেত্রে সঠিক ব্যাটিং অর্ডার নির্ধারণ জরুরি। লিটন দাস টেকনিকের দিক থেকে বাংলাদেশের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান।আর টেষ্টে সফল ব্যাটিংয়ের প্রধান শর্ত হচ্ছে ভালো টেকনিক । যদিও টেষ্টের লিটনের সঠিক ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে কিছু প্রশ্ন রয়েছে। তেমনিভাবে মিঠুনের ক্ষেএেও প্রায় একইকথা প্রযোজ্য। শ্রীলঙ্কা সিরিজের আগে এসব নিয়ে টিম ম্যানেজম্যান্টকে আরো ভাবতে হবে।

বোলারদের আরো দায়িত্বশীলতা দরকার

একথা সবারই জানা যে টেষ্টে রেজাল্ট পেতে বোলারদের দায়িত্ব অনেক বেশি।আর শ্রীলঙ্কা সিরিজে ভালো কিছু পেতে তাসকিন, তাইজুল,মিরাজ,নাঈম হাসান,এবাদতদের আরো দায়িত্বশীল হতে হবে। আপনি টেষ্টে দশ উইকেট ফেলতে না পারলে রেজাল্ট পাবেন না তাই এখানে বোলারদের দায়িত্ব অনেক গুরুত্বপূর্ণ।তবে আশার কথা হলো উইন্ডিজ সিরিজে তরুণ নাঈম হাসানের স্পিনে টার্ন ও বুদ্ধিদীপ্ত ভেলিভারি দেখা গেছে। শ্রীলঙ্কা সিরিজে টাইগার সিনিয়র বোলারদের আরো দায়িত্বশীল হতে হবে। টেষ্টে মিরাজের বোলিং থেকে আরো ভালো কিছুর প্রত্যাশা থাকবে।

মুশফিকের কাছে বড় ইনিংস চাই

আমরা জানি টেষ্টে অভিজ্ঞতা ও সাফল্য বিবেচনায় বাংলাদেশের সেরা ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম। মুশফিককে বর্তমান বাংলাদেশ দলের  ব্যাটিংয়ের মেরুদন্ড বলা যায়।তাই শ্রীলঙ্কা সিরিজে বাংলাদেশকে ভালো কিছু করতে হলে মুশফিকের ব্যাটে রান লাগবে। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে বাংলাদেশের টপঅর্ডারের তিন কান্ডারির (অপর দু'জন তামিম ও মুমিনুল)অন্যতম মুশফিক।তাই টেস্ট সিরিজে টাইগারদের ভালো কিছু করতে হলে মুশফিককে বড় ইনিংস খেলতে হবে। মুশফিক স্পিনে ভালো খেলেন এবং শ্রীলঙ্কার বর্তমান টেস্ট দলের বোলিংয়ের মূলশক্তি কিন্তু স্পিন। তাছাড়া বাস্তবিক শক্তি বিবেচনায় বাংলাদেশের এই দলটি টেস্ট ক্রিকেটে শ্রীলঙ্কার চেয়ে দুর্বল নয় একথা বলাই যায় । যদিও বাংলাদেশ ইদানিং টেষ্টে শতভাগ সাফল্য পাচ্ছে না।

এই সিরিজে টাইগার ব্যাটিংয়ের মূলভার

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে সাকিব ও মাহমুদুল্লাহ ছাড়া বাংলাদেশ টিম কিছুটা দুর্বল একথা বাস্তব। সাকিব আইপিএলে আর মাহমুদুল্লাহ ফর্মে নেই তাই আপাতত এই টিমটি যথেষ্ট। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের মূল ভার থাকবে তামিম, মুশফিক, মুমিনুল, লিটন দাস এবং সাদমান ইসলামের কাঁধে।আর এদের সাথে সাইফ, মিঠুন,শান্তরা ভালো করলে বাংলাদেশের পক্ষে টেষ্টে দারুণ কিছু করা সম্ভব। শ্রীলঙ্কার মাটিতে তামিমের রেকর্ড ভালো। তাছাড়া শ্রীলঙ্কার বর্তমান দলটি যেহেতু স্পিননির্ভর তাই মুশফিক ও মুমিনুলের ভালো  করার সম্ভাবনা রয়েছে।

মাহমুদুল্লাহকে টিমে রাখা দরকার ছিল

যদিও মাহমুদুল্লাহর টেষ্টের ফর্ম ইদানিং ভালো নয় বলা হচ্ছে তবু অভিজ্ঞতা ও কুল মাথার ব্যাটসম্যান হিসেবে তাকে এই সফরে রাখা যেত। এবং মাহমুদুল্লাহ দলে থাকলে তরুণ ক্রিকেটাররাও অনুপ্রাণিত হতো। আসলে টেষ্টে মাহমুদুল্লাহ সম্ভবত তাঁর নিজের খেলা(মেরে খেলা) খেলতে পারছে না। তাই টেষ্টে ওকে পুরোপুরি বাদ না দিয়ে বরং স্বাধীনভাবে খেলার সুযোগ দেয়া যেত। সেইসাথে মাহমুদুল্লাহর স্পিনও কিন্তু শ্রীলঙ্কার কন্ডিশনের জন্য বেশ উপযোগী।

নাঈম শেখ,বিপ্লবদের টেষ্টেও ট্রাই করুন

বাংলাদেশের বর্তমান তরুণ ব্যাটসম্যানদের মধ্যে নাঈম শেখের কথা বিশেষভাবে বলতে হয়। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ইতিমধ্যে নাঈম শেখের সামর্থ্যের যথেষ্ট প্রমাণ পাওয়া গেছে।বেশ পজিটিভ মাইন্ডসেট এবং ভালো টেকনিকের ব্যাটসম্যান নাঈম শেখ। আমাদের কথা হলো এরকম মেধাবী তরুণদের সবফরম্যাটে ট্রাই করতে হবে।এটি দেশের ভবিষ্যত ব্যাটিংয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। এভাবে একসময় সাকিব, তামিমদের বিকল্প একটি কম্বিনেশন দাঁড়িয়ে যাবে। তেমনিভাবে তরুণ লেগ স্পিনার আমিনুল ইসলাম বিপ্লবের কথাও বলব।লেগ স্পিনার বিপ্লবকে টেষ্টে আরও দেখা উচিত এবং তাঁর কিন্তু ব্যাটিংয়ের সামর্থ্যও রয়েছে। শ্রীলঙ্কা সিরিজের টেস্টে বিপ্লবকে দেখার সুযোগ ছিল।


তবু ভালো ক্রিকেটের প্রত্যাশা

টেষ্টে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স আশানুরূপ নয়। এবং বর্তমান বাংলাদেশ দলের সামর্থ্যের সাথে টেষ্টের সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান বেমানান। আমরা ভালো করেই বিশ্বাস করি বাংলাদেশ টিম বর্তমান শ্রীলঙ্কা টেস্ট দলের চেয়ে কোন অর্থেই দুর্বল নয়। টপঅর্ডার,মিডল অর্ডার, পেস বোলিং এই তিন ক্ষেএে বাংলাদেশ বর্তমান শ্রীলঙ্কার চেয়ে ভালো এগিয়ে আছে। তবে টাইগারদের শক্তিমত্তা ইদানিং টেষ্টে সেভাবে ফুটে উঠছে না।তাই প্রত্যাশা থাকবে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশ টেষ্টে ভালো ফাইট দিক, পজিটিভ ক্রিকেট খেলুক।


বাংলাদেশ- শ্রীলঙ্কা টেস্টসূচি 

বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে ইতিমধ্যে ২০টি টেস্ট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে যেখানে বাংলাদেশ ১টি টেষ্টে জয়লাভ করেছে এবং ১৬টিতে পরাজিত হয়েছে। এছাড়া ৩টি টেস্ট ড্র হয়েছে।

বাংলাদেশ- শ্রীলঙ্কা ১ম টেস্ট শুরু হবে ২১এপ্রিল। দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হবে ২৯ এপ্রিল।

ওয়ার্নারের আইপিএল হিষ্ট্রি

                                                                 


প্রিয় ক্রিকেট ডটকমঃ টিটুয়েন্টি ক্রিকেটের জনপ্রিয় ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার আইপিএলে শীর্ষ রানকারী ব্যাটসম্যানদের মধ্যে অন্যতম।এই অসি গ্ৰেট তাঁর দারুণ টেকনিক ও টাইমিংয়ে মিশেলে আইপিএলে এক ভিন্ন সৌন্দর্যের প্রতীক হয়ে উঠেছেন। এবারের আইপিএলে ওয়ার্নার সানরাইজার্স হায়দরাবাদের প্রতিনিধিত্ব করছেন। এই আইপিএলে ইতিমধ্যে দুটি ম্যাচে খেলেছেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।ডেভিড ওয়ার্নারের আইপিএল ক্যারিয়ার নিয়ে এখানে আলোচনা করব।


যেসব ফ্রাঞ্চাইজিতে খেলেছেন

ডেভিড ওয়ার্নার আইপিএলে  ২০০৯সালে সর্বপ্রথম অংশগ্রহণ করেন। এবং নিজের প্রথম আইপিএল থেকেই  চিরায়ত টাইমিং আর টেকনিক দিয়ে রানের পর রানের পসরা সাজিয়ে চলেছেন এই অসি হাডহিটার।ডেভিড ওয়ার্নার ২০০৯ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের হয়ে আইপিএল মাতিয়েছেন। এবং ২০১৪ থেকে বর্তমান আইপিএল পর্যন্ত সানরাইজার্স হায়দরাবাদের প্রতিনিধিত্ব করছেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।


ওয়ার্নারের আইপিএল ক্যারিয়ার

ডেভিড ওয়ার্নার ২০০৯ সাল থেকে বর্তমান (২০১৮ আইপিএল ছাড়া) আইপিএল পর্যন্ত খেলে চলেছেন। এবং আইপিএলে এই অসি গ্ৰেট সর্বমোট ১৪৪টি ম্যাচে মাঠে নেমেছেন।ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে ওয়ার্নারের রান সংখ্যা ৫৩১১। আইপিএলে ওয়ার্নারের ৪টি শতক ও ৪৯টি অর্ধশতক রয়েছে।


আইপিএল ২০০৯

ওয়ার্নারের প্রথম আইপিএল ছিল ২০০৯সালের আইপিএল। সেই আইপিএলে ওয়ার্নার ৭ ম্যাচ খেলে ১ফিফটিসহ ১৬৩ রান সংগ্রহ করেন।

আইপিএল ২০১০

২০১০ সালের আইপিএলে ডেভিড ওয়ার্নার মোট ১১টি ম্যাচে অংশগ্রহণ করেন। সেই আইপিএলে এই অসি হাডহিটার ১টি শতক ও ১টি ফিফটিসহ মোট ২৮২ রান সংগ্রহ করেন।

আইপিএল ২০১১

আইপিএলের ২০১১ আসরে ওয়ার্নার ১৩টি ম্যাচে মাঠে নামেন এবং ৩টি ফিফটিসহ ৩২৪ রান সংগ্রহ করেন।

আইপিএল ২০১২

২০১২সালের আইপিএলে ডেভিড ওয়ার্নার  ৮টি ম্যাচ খেলে ১শতক ও ১ ফিফটিসহ ২৫৬ রান সংগ্রহ করেন।

আইপিএল ২০১৩

আইপিএল ২০১৩ আসরে ১৬ ম্যাচ খেলে ওয়ার্নার ৪১০ রান করেন। ২০১৩ এর আইপিএলে ওয়ার্নার ৪টি ফিফটিও করেন।

আইপিএল ২০১৪

২০১৪ সালের আইপিএলে এই অসি গ্ৰেট ১৪ ম্যাচ খেলে ৬ ফিফটিসহ ৫২৮ রান সংগ্রহ করেন।

আইপিএল ২০১৫

২০১৫ সালের আইপিএলে ওয়ার্নার অসাধারণ ব্যাটিং করেন । সেই আইপিএলে এই অসি ওপেনার ১৪টি ম্যাচে অংশ নিয়ে ৭ফিফটিসহ ৫৬২ রান সংগ্রহ করেন।

আইপিএল ২০১৬

আইপিএলের ২০১৬ সালের আসরে ওয়ার্নার মোট ১৭ ম্যাচ খেলে ৪৪৮ রান সংগ্রহ করেন।সেই আইপিএলে ওয়ার্নার মোট ৯টি ফিফটি করেন।

আইপিএল ২০১৭

২০১৭ সালের আইপিএলে এই অসি ব্যাটসম্যান ১৪ ম্যাচ খেলে ১টি শতক ও ৪টি ফিফটি হাঁকান। সেই আইপিএলে ওয়ার্নার মোট ৬৪১ রান সংগ্রহ করেন।

আইপিএল ২০১৯

আইপিএল ২০১৯ এ ওয়ার্নার মোট ১২টি ম্যাচে মাঠে নামেন এবং ১টি শতক ও ৮ টি ফিফটিসহ মোট ৬৯২ রান সংগ্রহ করেন।

আইপিএল ২০২০

২০২০ সালের আইপিএলে ওয়ার্নার মোট ১৬টি ম্যাচ খেলে ৫৪৮ রান সংগ্রহ করেন। সেই আইপিএলে এই তারকা ব্যাটসম্যান ৪টি ফিফটিও হাঁকান।

আইপিএল ২০২১

এই অসি ব্যাটসম্যান এবারের আইপিএলে (২০২১) ইতিমধ্যে দুটি ম্যাচ খেলেছেন এবং ১টি ফিফটিসহ মোট ৫৭ রান সংগ্রহ করেছেন।

সাম্প্রতিক চাকরির খবর

                                                                    

 

প্রিয় ক্রিকেট ডটকমঃ দেশের চাকরির বাজারে কিছু নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। এখানে তেমনি কিছু নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির তথ্য তুলে ধরছি।


বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটে নিয়োগ

পদ : বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, নিরাপত্তা কর্মকর্তা, সায়েন্টিফিক এসিস্ট্যান্ট, অফিস সহায়ক সহ বেশকিছু পদ।

পদসংখ্যা:৩৩

যোগ্যতা: পদভেদে পঞ্চম শ্রেণী পাস থেকে এমএসসি ডিগ্ৰি।

বেতন: পদভেদে গ্ৰেড-৯ থেকে গ্ৰেড-২০।

আবেদন প্রক্রিয়া: অনলাইন (http://bjri.teletalk.com.bd)

বয়স: বর্তমান সরকারী নিয়োগ বিধি অনুযায়ী ।

আবেদনের শেষ তারিখ : ০৯/০৫/২০২১ বিকাল ০৫:০০ ঘটিকা।

সূত্র: বিডিজবস ডটকম

ইষ্টার্ন ব্যাংকে নিয়োগ

দেশের শীর্ষস্থানীয় প্রাইভেট ব্যাংক ইষ্টার্ন ব্যাংকে প্রশিক্ষণার্থী কর্মকর্তা পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।

পদ: প্রশিক্ষণার্থী কর্মকর্তা

যোগ্যতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্মাতক ডিগ্রি।

অভিজ্ঞতা: কমপক্ষে ৬ মাসের অভিজ্ঞতা। এছাড়া কম্পিউটারের বিভিন্ন বেসিক প্রোগ্ৰাম সম্পর্কে ধারণা।

আবেদন প্রক্রিয়া: অনলাইন (ভিজিট www.bdjobs.com)

আবেদনের শেষ তারিখ: ২৪/০৪/২০২১

সূত্র:প্রথম আলো

ব্র্যাক ব্যাংকে নিয়োগ

দেশের শীর্ষস্থানীয় প্রাইভেট ব্যাংক ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেডে কিছু পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে।


১.পদ : অফিসার (ইন্টার ব্রাঞ্চ ক্র্যাশ ম্যানেজমেন্ট)

যোগ্যতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্মাতক ও স্মাতকোওর ডিগ্ৰি। এছাড়া এফআই অপস,রিটেল ও এসএমই ব্যাংকিং সম্পর্কে ধারণা।

চাকরির ধরণ:পূর্ণকালীন
কর্মক্ষেত্র : ঢাকা

আবেদন প্রক্রিয়া:অনলাইন (ভিজিটwww.bdjobs.com)


আবেদনের শেষ তারিখ: ২০/০৪/২০২১
সূত্র:বিডিজবস ডটকম

২.পদ : ম্যানেজার, রেগুলেটরি কমপ্লায়েন্স রিস্ক ম্যানেজমেন্ট

পদসংখ্যা: অনির্দিষ্ট

যোগ্যতা: সন্তোষজনক ফলাফলসহ স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্মাতক/স্মাতকোওর ডিগ্ৰি।

অভিজ্ঞতা:৭-১০ বছর

চাকরির ধরণ:পূর্ণকালীন

কর্মক্ষেত্র : ঢাকা

আবেদন প্রক্রিয়া:অনলাইন (www.bdjobs.com)

আবেদনের শেষ তারিখ: ৩০/০৪/২০২১

সূত্র: বিডিজবস ডটকম

প্রিমিয়ার লিজিং এন্ড ফাইনান্স লিমিটেডে নিয়োগ

পদ : এসিস্ট্যান্ট অফিসার (একাউন্টস এন্ড ফাইনান্স ডিপার্টমেন্ট)

পদসংখ্যা:অনির্দিষ্ট

যোগ্যতা : সংশ্লিষ্ট বিষয়ে স্মাতকোওর ডিগ্ৰি।

চাকরির ধরণ: পূর্ণকালীন

অভিজ্ঞতা:২বছর

বয়স: সর্বোচ্চ ৩২

আবেদন প্রক্রিয়া:ডাক (বিস্তারিত www.bdjobs.com)
আবেদনের শেষ তারিখ:০২/০৫/২০২২

সূত্র : বিডিজবস ডটকম


ব্র্যাক এনজিওতে নিয়োগ

দেশের শীর্ষস্থানীয় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকে বেশকিছু পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে।
পদ: ১.ডেপুটি ম্যানেজার, কমিউনিকেশন এন্ড এলামনি এনগেজমেন্ট,ব্র্যাক ইয়ুথ প্লাটফর্ম
২.ডেপুটি ম্যানেজার, ট্রেনিং এন্ড ডেভোলাপমেন্ট,ব্র্যাক ইয়ুথ প্লাটফর্ম

যোগ্যতা : উভয় পদের ক্ষেএে স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কমপক্ষে সিজিপিএ ৩ সহ স্মাতক/স্মাতকোওর ডিগ্ৰি।

অভিজ্ঞতা: ২ বছর

চাকরির ধরণ : পূর্ণকালীন

কর্মক্ষেত্র: ঢাকা

বেতন: আলোচনা সাপেক্ষে

আবেদন প্রক্রিয়া:অনলাইন (ভিজিট www.bdjobs.com)

আবেদনের শেষ তারিখ: ১৯/০৪/২০২১

সূত্র : বিডিজবস ডটকম

বেন স্টোকসের আইপিএল হিস্ট্রি

                                                       

প্রিয় ক্রিকেট ডটকমঃ টিটুয়েন্টি ক্রিকেটের সেরা অলরাউন্ডারদের একজন বেন স্টোকস।বিশ্বের সব বড় বড় টিটুয়েন্টি লিগে এই তারকা অলরাউন্ডারের ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে।ব্যাট হাতে যেমন সফল তেমনি বল হাতেও একই ধরণের দক্ষতা রয়েছে এই ইংলিশ অলরাউন্ডারের মধ্যে। এবং অসাধারণ ফিল্ডার হিসেবেও স্টোকসের সুনাম রয়েছে। আইপিএলে এই ইংলিশ অলরাউন্ডারের  অসাধারণ সব রেকর্ড রয়েছে । এখানে বেন স্টোকসের আইপিএল ক্যারিয়ার সম্পর্কে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তুলে ধরছি।


যেসব ফ্রাঞ্চাইজিতে খেলেছেন

বেন স্টোকস ২০১৭ সালে প্রথম আইপিএলে খেলার সুযোগ পান। প্রথমবার এই ইংলিশ অলরাউন্ডার রাইজিং পুনে সুপারজায়েন্টের হয়ে আইপিএলে অংশগ্ৰহন করেন। এবং নিজের প্রথম আইপিএলে দারুণ পারফরম্যান্স দেখান স্টোকস।  ২০১৮সাল থেকে বর্তমান (২০২১) আইপিএল পর্যন্ত  এই ইংলিশ অলরাউন্ডার রাজস্থান রয়্যালসের প্রতিনিধিত্ব করছেন।

স্টোকসের আইপিএল ক্যারিয়ার

বেন স্টোকস নিজের প্রথম আইপিএল(২০১৭) থেকেই অসাধারণ পারফরম্যান্স উপহার দিয়ে চলেছেন।ব্যাট হাতে ইতিমধ্যে আইপিএলে একাধিক শতক হাঁকিয়েছেন। এছাড়া আইপিএলে বল হাতে দারুণ সব রেকর্ড গড়েছেন স্টোকস।বেন স্টোকস আইপিএলের ইতিহাসে ইতিমধ্যে ৪৩টি ম্যাচ খেলেছেন যেখানে তাঁর মোট রান ৯২০। আইপিএলে স্টোকস দুটি শতক ও ২টি ফিফটি  করেছেন।ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে  স্টোকস ১১৩.৫ ওভার বল করেছেন যেখানে তাঁর নামের পাশে ২৮টি উইকেট রয়েছে। আইপিএলে স্টোকসের সেরা বোলিং ১৫রানে ৩ উইকেট।

আইপিএল ২০১৭

 সর্বপ্রথম স্টোকস ২০১৭ সালে  রাইজিং পুনে সুপারজায়েন্টের হয়ে আইপিএলে অংশগ্রহণের সুযোগ পান। এবং সেই আসরে তিনি ১২ম্যাচ খেলে ৩১৬ রান সংগ্রহ করেন। এছাড়া নিজের প্রথম আইপিএলে স্টোকস ১টি শতক ও ১টি ফিফটি করেন এবং বল হাতে ১২ ম্যাচে  ১২টি উইকেট নেন।

আইপিএল ২০১৮

২০১৮ সালের আইপিএলে স্টোকস নতুন ফ্রাঞ্চাইজির(রাজস্থান রয়্যালস) হয়ে মাঠে নামেন। এবং সেই বছর আইপিএলে স্টোকস ১৩ ম্যাচ খেলে ১৯৬ রান সংগ্রহ করেন।বল হাতে নেন ৮টি উইকেট।

আইপিএল ২০১৯

২০১৯ সালের আইপিএলেও স্টোকস রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে আইপিএলে অংশগ্রহণ করেন এবং ৯ ম্যাচ খেলে ১২৩ রান সংগ্রহ করেন। এছাড়া স্টোকস সেই আইপিএলে বল হাতে ৬টি উইকেটও নেন।

আইপিএল ২০২০

২০২০ সালের আইপিএলে বেন স্টোকস দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন। সেই আইপিএলে ৮ম্যাচ খেলে এই ইংলিশ অলরাউন্ডার ১টি শতক ও ১ফিফটিসহ ২৮৫ রান সংগ্রহ করেন।বল হাতে ২টি উইকেট নেন।

আইপিএল ২০২১

আইপিএলের বর্তমান আসরে ইতিমধ্যে একটি ম্যাচ খেলেছেন তবে ব্যাট ও বল হাতে তেমন কিছু করতে পারেননি যদিও দুর্দান্ত কিছু ফিল্ডিং উপহার দিয়েছেন। সবশেষে একটি দুঃখজনক তথ্য হলো রাজস্থান রয়্যালসের প্রথম ম্যাচে ফিল্ডিংয়ের সময় হাতে চোট পেয়ে এবারের আইপিএল থেকে ছিটকে পড়েছেন এই ইংলিশ অলরাউন্ডার।