WHAT'S NEW?
Loading...

ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশ

                                                                

প্রিয় ক্রিকেট ডটকম :   এটি সবারই জানা  বাংলাদেশ ক্রিকেটের ওয়ানডে ফরম্যাটে তুলনামূলকভাবে বেশি শক্তিশালী।এবং বাংলাদেশ ক্রিকেটের উত্থানের ইতিহাসে ফিরে গেলে ওয়ানডের জয়গানই অধিক শুনা যায়।সেই আইসিসি ট্রফি এবং পরবর্তীতে বিশ্বকাপের বিভিন্ন মাইলফলক বাংলাদেশ ওয়ানডের মাধ্যমে অর্জন করেছে। এছাড়া ওয়ানডে ক্রিকেটের বদৌলতে বাংলাদেশ একজন মাশরাফি বিন মুর্তজাকে পেয়েছে। তামিম, সাকিবের উত্থান মূলত ওয়ানডে ক্রিকেটকে কেন্দ্র করে। এ লেখায় বাংলাদেশের ওয়ানডে ক্রিকেটের বর্তমান হালচাল নিয়ে কথা হবে(তথ্যসূএ: ইএসপিএন ক্রিকইনফো)।


ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশের জয়পরাজয়

আগেই বলা হয়েছে বাংলাদেশ ওয়ানডে ক্রিকেটে একটি সমীহ জাগানো শক্তি।এবং বলা হয়  বাংলাদেশ কখনো বিশ্বকাপ জিতলে আগে ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিতবে।কারণ ৫০ওভারের ক্রিকেটে বাংলাদেশ দিনদিন উন্নতি করছে। এছাড়া টাইগারদের বড় ভরসা সাবেক বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান ।সাকিব আল হাসানের উত্থানের পর বাংলাদেশের ক্রিকেটের উন্নতির পারদ আরো বেগবান হয়েছে। আসুন ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশের জয়পরাজয়ের হিসেব দেখে নিই।
বাংলাদেশ ওয়ানডে ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ জিতেছে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে (৪৭ ম্যাচ) এবং বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি ওয়ানডে হেরেছে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে (৩৯ম্যাচ)। বাংলাদেশ ওয়ানডে ক্রিকেটে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৮ম্যাচ খেলে ৫ ম্যাচে জয় পেয়েছে।অষ্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশের ওয়ানডে রেকর্ড খুব সুখকর নয় ।অসিদের বিপক্ষে বাংলাদেশ ২১টি ওয়ানডে খেলে মাএ ১টি জয় পেয়েছে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশ ২১টি ওয়ানডে খেলে ৪টি জয় পেয়েছে। ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশ ৩৬টি ওয়ানডে খেলে ৫টি জয় পেয়েছে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৩৫টি ওয়ানডে খেলে টাইগাররা ১০টি ম্যাচে জয়লাভ করেছে।ওয়েষ্টইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশ ৩৯টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছে যাতে টাইগাররা ১৬টি ম্যাচে জয়ী হয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশ ২১টি ওয়ানডে খেলে ৪ম্যাচে জয়ী হয়েছে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টাইগাররা ৪৮টি ওয়ানডে খেলে ৭টি ম্যাচে জয়ী হয়েছে। পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশ ৩৭টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলে ৫ম্যাচে জয় পেয়েছে টাইগাররা। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি ওয়ানডে জিতেছে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৭৫টি ওয়ানডে খেলে ৪৭টিতে জয়ী হয়েছে বাংলাদেশ।


বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়কদের রেকর্ড

বাংলাদেশ দল ইতিপূর্বে বেশকজন সফল ওয়ানডে অধিনায়ক পেয়েছে।তবে সবহিসেবের শেষে বলা যায়  বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়কদের পরিসংখ্যান এখানে তুলে ধরছি।
বাংলাদেশের প্রথম ওয়ানডে অধিনায়ক গাজী আশরাফ।গাজী আশরাফ বাংলাদেশকে ৭টি ওয়ানডে ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন যেখানে কোন জয় ছিলনা।তারপর বাংলাদেশ দল ওয়ানডে অধিনায়ক হিসেবে পেয়েছে মিনহাজুল আবেদীন নান্নুকে ।নান্নুর অধীনে বাংলাদেশ ২টি ওয়ানডে ম্যাচ খেললেও কোন জয় ছিলনা।তারপর বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক হন আকরাম খান।আকরামের অধীনে বাংলাদেশ ১৫টি ওয়ানডে খেলে ১টি ম্যাচে জয় পায় এবং বাকিগুলোতে পরাজিত হয়। আকরামের পর টাইগারদের ওয়ানডে নেতৃত্বে আসেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল। বুলবুলের নেতৃত্বে বাংলাদেশ ১৬টি ওয়ানডে খেলে ২ ম্যাচে জয় পায়। বুলবুলের পর বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক নিযুক্ত হন নাইমুর রহমান দুর্জয়।দুর্জয় বাংলাদেশের অভিষেক টেস্টেও অধিনায়ক ছিলেন।দুর্জয়ের অধীনে বাংলাদেশ ৪টি ওয়ানডে খেলে কোন জয় পায়নি।তারপর খালেদ মাসুদ পাইলট ওয়ানডেতে বাংলাদেশের অধিনায়ক নিযুক্ত হন। পাইলটের অধীনে বাংলাদেশ ৩০ওয়ানডে খেলে চারটিতে জয় পায়।তারপর ওয়ানডে নেতৃত্বে আসেন খালেদ মাহমুদ সুজন।সুজন ১৫টি ওয়ানডে ম্যাচে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেন তবে কোন জয় ছিলনা।সুজনের পর বাংলাদেশের ওয়ানডে নেতৃত্বে নতুন যুগের সূচনা ঘটে। ওয়ানডে অধিনায়ক হিসেবে টাইগাররা পায় দেশের প্রথম বিচক্ষণ ক্রিকেট অধিনায়ক হাবিবুল বাশার সুমনকে।সুমন দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের সাথে দারুণ নেতৃত্বের জন্য স্মরণযোগ্য। সুমনের অধীনে বাংলাদেশ ৬৯টি ওয়ানডে খেলে ২৯টিতে জয়লাভ করে। সুমনের পর রাজিন সালেহ ২টি ওয়ানডেতে নেতৃত্ব দেন তবে ২টি ম্যাচেই বাংলাদেশ পরাজিত হয়।তারপর দেশের প্রতিভাবান ব্যাটসম্যান মো: আশরাফুল ওয়ানডে নেতৃত্বে আসেন। আশরাফুলের অধীনে বাংলাদেশ ৩৮টি ওয়ানডে খেলে ৮ম্যাচে জয় পায়। আশরাফুলের পর দেশসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক নিযুক্ত হন। সাকিবের অধীনে বাংলাদেশ ৫০টি ওয়ানডে খেলেছে যাতে ২৩টি ম্যাচে টাইগাররা জয়ী হয়। সাকিব অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিলে টাইগারদের দলপতি নিযুক্ত হন দেশসেরা পেসার মাশরাফি বিন মুর্তজা। মাশরাফির অধীনে বাংলাদেশ ৮৮টি ওয়ানডে খেলে ৫০ ম্যাচে জয়লাভ করে।এছাড়া মুশফিকুর রহিম বাংলাদেশ দলকে ৩৭টি ওয়ানডে ম্যাচে নেতৃত্ব দেন যাতে ১১টি ম্যাচে বাংলাদেশ জয়ী হয়। বর্তমান ওয়ানডে দলপতি তামিম ইকবাল বাংলাদেশ দলকে ইতিমধ্যে মোট ৪টি ওয়ানডেতে নেতৃত্ব দিয়েছেন যেখানে ১টি জয় ও ৩টি পরাজয় রয়েছে।


বর্তমান ওয়ানডে রেঙ্কিং ও বাংলাদেশ

বর্তমান ওয়ানডে রেঙ্কিংয়ের হিসেবে বাংলাদেশ বেশ ভালো অবস্থানে রয়েছে।এই মুহূর্তে আইসিসি ওয়ানডে রেঙ্কিংয়ে সবার উপরে আছে ১.ইংল্যান্ড। তারপর রয়েছে ২. ভারত । ভারতের পর ওয়ানডে রেঙ্কিংয়ে রয়েছে ৩. নিউজিল্যান্ড। ওয়ানডে রেঙ্কিংয়ে নিউজিল্যান্ডের পর ৪.অষ্ট্রেলিয়ার অবস্থান। এছাড়া ওয়ানডে রেঙ্কিংয়ে অষ্ট্রেলিয়ার পরে ৫. দক্ষিণআফ্রিকার অবস্থান। ওয়ানডে রেঙ্কিংয়ের ছয় নম্বর অবস্থানে রয়েছে ৬.পাকিস্তান। আইসিসির সর্বশেষ ওয়ানডে রেঙ্কিংয়ে  সাতে রয়েছে ৭. বাংলাদেশ। এছাড়া আইসিসির ওয়ানডে রেঙ্কিংয়ে৮,৯ ও ১০ নম্বর অবস্থানে রয়েছে যথাক্রমে শ্রীলঙ্কা,ওয়েষ্টইন্ডিজ ও আফগানিস্তান। 

ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সেরা পাঁচ ব্যাটসম্যান

ওয়ানডে ক্রিকেটের সর্বশেষ পরিসংখ্যান ঘাটালে দেখা যায় সর্বাধিক রানের হিসেবে বাংলাদেশের সেরা ওয়ানডে ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল (৭২৪৬রান)। ওয়ানডেতে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সেরা ব্যাটসম্যান সাকিব আল হাসান (৬৩৪২রান)।তারপর তৃতীয় সেরা টাইগার ওয়ানডে ব্যাটসম্যান হিসেবে রয়েছেন মুশফিকুর রহিম (৬১৯৩রান)। ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশের চতুর্থ সেরা ব্যাটসম্যান হিসেবে রয়েছেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ (৪০৭৯রান)। বাংলাদেশের পঞ্চম সেরা ওয়ানডে ব্যাটসম্যান হিসেবে রয়েছেন মো: আশরাফুল (৩৪৬৮রান)।

ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সেরা পাঁচ বোলার

ওয়ানডে বোলিংয়ে বাংলাদেশের সেরা বোলারদের পরিসংখ্যানে দৃষ্টিপাত করলে দেখা যায় সর্বাধিক ওয়ানডে উইকেট শিকারি মাশরাফি বিন মুর্তজা
 (২৬৯ উইকেট), মাশরাফির পর বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ওয়ানডে উইকেট সাকিব আল হাসানের (২৬৪উইকেট),তারপর বাংলাদেশের হয়েছে তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম সর্বোচ্চ ওয়ানডে উইকেট নিয়েছেন যথাক্রমে আব্দুর রাজ্জাক (২০৭উইকেট),রুবেল হোসেন (১২৬উইকেট),মোঃ.রফিক(১১৯উইকেট) ।