করোনা মহামারীর ক্ষতি কাটিয়ে ধীরে ধীরে দেশের ক্রিকেট মূলধারায় ফিরছে। এবং এটি দেশের ক্রিকেটের জন্য ইতিবাচক লক্ষণ।বেশ বড় পরিসরে বঙ্গবন্ধু টিটুয়েন্টি কাপ চলছে। এছাড়া বঙ্গবন্ধু টিটুয়েন্টি কাপের খেলাগুলো সরাসরি টিস্পোটর্সে দেখা যাচ্ছে এটিও ক্রিকেটপ্রিয়দের জন্য সুখকর সংবাদ। এজন্য টিস্পোটর্সকে ধন্যবাদ দিতেই হয়। দেশের অভ্যন্তরিণ টুর্নামেন্ট টিভিতে দেখানো অবশ্যই বড় বিষয়। বঙ্গবন্ধু টিটুয়েন্টি কাপের একটি বিশ্লেষণ এখানে তুলে ধরছি।
অবশেষে ফিরলেন সাকিব
বাংলাদেশের ক্রিকেটের অন্যতম সেরা অর্জন সাকিব আল হাসান। বঙ্গবন্ধু টিটুয়েন্টি কাপ দিয়ে আবার মাঠে ফিরলেন সাবেক এই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।এটি সবার জন্যই আনন্দের খবর।ব্যাটিংয়ে যদিও কিছুটা জড়তা দেখা যাচ্ছে তবে বোলিংয়ে মোটামুটি আগের মতো প্রভাব বিস্তার করে খেলছেন সাকিব।তবে এসবকিছুর চেয়ে বড় বিষয় হলো সাকিব নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে আবার মাঠে ফিরলেন।কারণ সাকিব বাংলাদেশের ক্রিকেটের এক বড় অনুপ্রেরণার নাম।মাঠে সাকিবের উপস্থিতি ক্রিকেটার,দর্শক,ম্যাচ অফিসিয়াল সবারজন্যই এক বড় আনন্দের অনুষঙ্গ।বঙ্গবন্ধু টিটুয়েন্টি কাপ এক মাঠ এবং নির্ধারিত উইকেটে হচ্ছে বলেই হয়তো সাকিবের সমস্যা হচ্ছে কিংবা ক্রিকেট থেকে দীর্ঘ বিরতি তাঁর ফর্মে ফেরাকে বাধাগ্ৰস্ত করছে তবুআমরা আশাবাদী সাকিব শীঘ্রই ফর্মে ফিরবেন, তাকে আবার ব্যাটবলে পুরনো রূপে দেখা যাবে।
নাজমুল,নাইম শেখদের ব্যাটিং ভালো হচ্ছে
বাংলাদেশের ক্রিকেটের এক বড় সংকট হাডহিটারের শূন্যতা। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা টেকনিক ও ক্লাসনির্ভর ক্রিকেট খেলেন। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের শক্তির জায়গা বেসিক ও টেকনিক।এরফলে এখানে টিটুয়েন্টি টুর্নামেন্ট হলে বিদেশি হাডহিটারদের সবাই দেখতে চান।তবে বঙ্গবন্ধু টিটুয়েন্টি কাপে এবার বিদেশি প্লেয়ার নেই। বঙ্গবন্ধু টিটুয়েন্টি কাপে বিদেশি হাডহিটার আর গতিতারকাদের দেখা মেলেনি।ডেভিড মিলার,পোলার্ড,পেরেরাদের এবার দেখা যায়নি।তবু নাজমুল শান্ত,নাইম শেখ,লিটন দাশদের ব্যাটিং অবশ্যই ভালো হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু টিটুয়েন্টি কাপে লিটন,নাইমশেখ,শান্তদের ব্যাটিং ভালোই হচ্ছে।আর ক্রিকেটের দীর্ঘ বিরতির পর এভাবে পারফর্ম করা সহজ কাজ নয়।নাইম শেখের ব্যাটিং এমনিতেই দারুণ। বঙ্গবন্ধু টিটুয়েন্টি কাপে দারুণ এক সেঞ্চুরিও করেছে নাইম।
মাঠে ফিরলেন আশরাফুল
বাংলাদেশের ক্রিকেটের একসময়ের বড় তারকা মোঃ আশরাফুল বঙ্গবন্ধু টিটুয়েন্টি কাপ দিয়ে আবার মাঠে ফিরলেন। দেশের ক্রিকেটের জন্য এটি অবশ্যই এক আনন্দের সংবাদ। আশরাফুলের মত উঁচু মানের টেকনিক এই দেশের খুব কম ব্যাটসম্যানের মধ্যে দেখা যায়।টেকনিক ও স্ট্রোকপ্লের জন্য একসময় ক্রিকেটবিশ্বে তাঁর দারুণ সুনাম ছিল। দীর্ঘ নিষেধাজ্ঞা,ফর্মহীনতা,বয়স ইত্যাদি মিলিয়ে আশরাফুল দীর্ঘদিন যাবত মাঠের বাইরে।তবু চল্লিশ ছুঁই ছুঁই আশরাফুল বঙ্গবন্ধু টিটুয়েন্টি কাপে খেলছেন সেটি অবশ্যই সুখবর।
দর্শকবিহীন ক্রিকেট
করোনার জন্য বঙ্গবন্ধু টিটুয়েন্টি কাপে দর্শকদের সরাসরি মাঠে বসে খেলা দেখার সুযোগ নেই।চারছয়ের উদযাপন তাই টিভির সামনে বসেই দেখতে হচ্ছে।আর এরফলে দেশের ক্রিকেটপাড়া হয়তো কিছুটা নিরব।তবে এসবকিছুর পর সবচেয়ে বড় বিষয় হলো দেশের ক্রিকেট আবার মাঠে গড়ালো। এবার আইপিএলের মত বড় বাজেটের টুনামেন্টেও দর্শকদের সরাসরি খেলা দেখার সুযোগ ছিল না।তবু আমরা আশাবাদী শীঘ্রই মাঠে বসে ক্রিকেট দেখা যাবে।আপাতত টিস্পোটর্সই ভরসা।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন