ক্রিকেটে ব্যাটসম্যান, রান, বোলিং, ফিল্ডিং এসবের বাইরেও এ খেলার সাথে জড়িত বৃহৎ স্টেডিয়ামগুলো এক আকর্ষণীয় টপিক। রুজ বুল,ইডেন গার্ডেন কিংবা লর্ডসের মত স্টেডিয়ামগুলো ক্রিকেটপ্রেমীদের স্মৃতিতে থাকবেই। এখানে বিশ্বের বৃহৎ ও দর্শনীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামগুলোর কথা বলব।
দি লর্ডস, ইংল্যান্ড:
দি হোম অব ক্রিকেট হিসেবে পরিচিত দি লর্ডস স্টেডিয়াম ইংল্যান্ডে অবস্থিত।১৮১৪খ্রি.নির্মিত এ স্টেডিয়াম ক্রিকেটের ইতিবৃওের সাথে জড়িত।২৮০০০ দর্শক ধারণক্ষমতার এ মাঠে ২০১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ফাইনালে ইংল্যান্ড তাদের প্রথম বিশ্বকাপ শিরোপা জেতে।এমসিজি, অষ্ট্রেলিয়া:
পৃথিবীর অন্যতম বৃহৎ এ স্টেডিয়াম নির্মিত হয় ১৮৫৪খ্রিষ্টাব্দে।এ মাঠে ৯৬০০০ দর্শক একসাথে বসে খেলা দেখতে পারে।ইডেন গার্ডেনস,ভারত:
১৮৬৪খিষ্টাব্দে নির্মিত ইডেন গার্ডেনস পৃথিবীর অন্যতম বৃহৎ ক্রিকেট মাঠ। এখানে ৬৬০০০দর্শক আসন রয়েছে।শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম, বাংলাদেশ:
২০০৬খ্রিষ্টাব্দে নির্মিত শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম ক্রিকেটের বহু রেকর্ডের সঙ্গী।২৫০০০দর্শক ধারণক্ষমতার এ মাঠে বাংলাদেশ প্রথম অডিআই ক্রিকেটে পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করে। শচিন টেন্ডুলকার তার শততম সেঞ্চুরি এ মাঠে করেন।দি ওভাল, ইংল্যান্ড:
১৮৪৫খ্রিষ্টাব্দে নির্মিত ক্রিকেটের অন্যতম সুপরিচিত মাঠ দি ওভাল।এখানে ২৩৫০০দর্শক একসাথে খেলা উপভোগ করতে পারে।রুজ বুল, ইংল্যান্ড:
ইংল্যান্ডের সুপরিচিত ক্রিকেট গ্ৰাউন্ড রুজ বুল।শীতগ্ৰীষ্ম সব ঋতুতেই এখানে সমান আয়েশে খেলা দেখা যায়।২০০১খ্রিষ্টাব্দে নির্মিত এ মাঠের দর্শক ধারণক্ষমতা ২০০০০।দি গাবা, অষ্ট্রেলিয়া:
১৮৯৫খ্রিষ্টাব্দে নির্মিত এ মাঠ অষ্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটের জন্য অপয়া হিসেবে স্বীকৃত।৪২০০০দর্শক ধারণক্ষমতার এ মাঠের উইকেট ব্যাটিং স্বর্গ হিসেবে পরিচিত।ওল্ড ট্র্যাফোর্ড, ইংল্যান্ড:
১৮৫৭খ্রিষ্টাব্দে নির্মিত ইংল্যান্ডের ঐতিহ্যবাহী মাঠ ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে ২৬০০০ দর্শক ধারণক্ষমতা রয়েছে । ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় পুরাতন টেষ্ট গ্ৰাউন্ড এটি।এডিলেড ওভাল, অষ্ট্রেলিয়া:
ক্রিকেটের সুপরিচিত মাঠ অষ্ট্রেলিয়ার এডিলেডে ওভাল নির্মিত হয় ১৮৭৩খ্রিষ্টাব্দে।বৃহৎ এ মাঠে একসাথে ৫৩০০০দর্শক খেলা দেখতে পারেন।করাচি ক্রিকেট স্টেডিয়াম, পাকিস্তান:
পাকিস্তানে অবস্থিত করাচি ক্রিকেট স্টেডিয়াম তৈরি হয় ১৯৫৫খ্রিষ্টাব্দে।এ মাঠে পাকিস্তান খুব কম টেষ্ট হেরেছে।এর দর্শক ধারণক্ষমতা ৩৪০০০।কিংস্টন ওভাল, ওয়েস্ট ইন্ডিজ:
১৮৮২খ্রিষ্টাব্দে নির্মিত কিংষ্টন ওভাল পৃথিবীর অন্যতম আকর্ষণীয় ক্রিকেট মাঠ। এখানে খেলা দেখার বিষয়টি বিশেষ ঘটনা হিসেবে দর্শকদের কাছে স্বীকৃত।এর দর্শক ধারণক্ষমতা ২৮০০০।ফিরোজ শাহ কোটলা,ভারত:
১৮৮৩খ্রিষ্টাব্দে নির্মিত ও ৪০০০০ দর্শক ধারণক্ষমতার ফিরোজ শাহ কোটলা ক্রিকেটের বহু ইতিহাসের সাথে জড়িত।এ মাঠে অনিল কুম্বলে এক ইনিংসে ১০উইকেট নেবার কৃতিত্ব দেখান।গল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম, শ্রীলঙ্কা:
১৮৭৬খ্রিষ্টাব্দে তৈরি শ্রীলঙ্কার নয়নাভিরাম এ মাঠের দর্শক ধারণক্ষমতা ৩৫০০০।এ মাঠে কিংবদন্তি স্পিনার মুরালিধরন ১১ম্যাচে ৮৭উইকেট নেবার কৃতিত্ব অর্জন করেন।ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম,ভারত:
ভারতের এ স্টেডিয়াম নির্মিত হয় ১৯৭৪খ্রিষ্টাব্দে।এর দর্শক ধারণক্ষমতা ২৪৫০০। রবি শাস্ত্রী এ মাঠে ৬বলে ৬ছক্কা হাকান ।এখানেশচিন টেন্ডুলকার তার শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেন।নিউল্যান্ডস, দক্ষিণ আফ্রিকা:
১৮৮৯খ্রিষ্টাব্দে নির্মিত হয় এ স্টেডিয়াম।২৫০০০দর্শক ধারণক্ষমতার এ মাঠে ১২৫বছর ধরে ক্রিকেট খেলা হচ্ছে। ঘরের ছেলে জ্যাক ক্যালিস এ মাঠে ৯টি সেঞ্চুরি করেন।এজবাষ্টন, ইংল্যান্ড:
১৮৮২খ্রিষ্টাব্দে নির্মিত এজবাস্টনের দর্শক ধারণক্ষমতা ২৫০০০। এখানে ক্রিকেটের বরপুত্র ব্রায়ান লারা প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে অপরাজিত ৫০১রান করেন।ওয়াকা, অষ্ট্রেলিয়া:
১৮৯০খ্রিষ্টাব্দে তৈরি ওয়াকার উইকেটকে পৃথিবীর সবচেয়ে গতিময় উইকেট বলা হয়।এর দর্শক ধারণক্ষমতা ২৪৫০০। এখানে গ্লেন ম্যাকগ্রা পাকিস্তানের বিপক্ষে একম্যাচে ২৪রানে ৮উইকেট নেয়ার কৃতিত্ব দেখান।Written by provakar chowdhury.
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন