বাংলাদেশ ক্রিকেটের প্রকৃত অধ্যায়ের সূচনা হয় আইসিসি ট্রফি জয়ের পর থেকেই মূলত।তবে তার আগে কিছু ইন্ডুভিজুয়াল টেলেন্ট কিন্তু ছিল এদেশের ক্রিকেটে। যতদূর জানা যায় রকিবুল হাসান,হীরা,লিপু এরাও মেধাবী প্লেয়ার ছিলেন। কিন্তু টিম হিসেবে প্রথম সফল টিম বলা যায় অবশ্যই বুলবুল, নান্নু,আকরাম,পাইলট,রফিক,অপি,মনিদের সময়ের টিমকে। এবং এ টিম আইসিসি ট্রফি জেতার গৌরব অর্জন করে।আসলে আইসিসি ট্রফি জয়ের পর বাংলাদেশের ক্রিকেটের নবজাগরণ ঘটে বলা যায়।কারণ এখান থেকেই বাংলাদেশের বিশ্বকাপ মিশন শুরু হয়।
এবং নিরানব্বই বিশ্বকাপে বাংলাদেশ অংশ নেয়।
বাংলাদেশ ক্রিকেটের কিছু সফল নাম:
মিনহাজুল আবেদীন নান্নু, আমিনুল ইসলাম বুলবুল, আকরাম খান,খালেদ মাহমুদ সুজন,মোঃ রফিক, খালেদ মাসুদ পাইলট, মেহরাব হোসেন অপি, এনামুল হক মনি, হাসিবুল হোসেন শান্ত , হাবিবুল বাশার সুমন,মোঃ আশরাফুল,অলক কাপালি, মাশরাফি, সাকিব এ নামগুলো বাংলাদেশ ক্রিকেটের প্রতি পদক্ষেপে উচ্চারিত হয়। বুলবুল অভিষেক টেস্টে সেঞ্চুরি করে লিজেন্ড হয়ে আছেন। নান্নু নিরানব্বই বিশ্বকাপে অসাধারণ ব্যাটিং করে ইতিহাস হয়ে আছেন।মো: রফিক তার বাঁহাতি স্পিনের জাদু দিয়ে বহুদিন সেবা করেছেন এদেশের ক্রিকেটের।সুমন বাংলাদেশ ক্রিকেটের টেষ্ট স্ট্যাটাস পরবর্তী নবযুগের পথপ্রদর্শক হিসেবে সুপরিচিত। পাইলট দীর্ঘদিন উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান হিসেবে বাংলাদেশ টিমকে সাপোর্ট দিয়েছেন।খালেদ মাহমুদ সুজন বাংলাদেশ ক্রিকেটের সফলতম বোলিং অলরাউন্ডার। দীর্ঘদিন সুজন তার বুদ্ধিদীপ্ত মিডিয়াম পেস দিয়ে মুগ্ধ করে রেখেছিলেন।লেটঅর্ডারে ভালো ব্যাটিংও করতেন সুজন। ইদানিং সাইফুদ্দিনের মধ্যে সুজনের কিছু ছাপ দেখা যায়।
মোঃ আশরাফুল এদেশের ক্রিকেটে সবচেয়ে প্রতিভাবান ব্যাটসম্যান হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। কনিষ্ঠতম ব্যাটসম্যান হিসেবে টেষ্ট ক্রিকেটে সেঞ্চুরি করেন। অসাধারণ সব ইনিংসের জন্য এদেশের ক্রিকেটে আইডল হয়ে আছেন।
সাকিব আল হাসান বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার হবার গৌরব অর্জন করে এদেশের ক্রিকেটকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়। ধারাবাহিকতা এবং একাগ্ৰতার দিক থেকে বিশ্বক্রিকেটে সাকিব ইতিমধ্যে আইডল হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।
দেশসেরা পেসার মাশরাফি দেশসেরা ক্যাপ্টেন হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করেছেন।তার অধিনায়ক থাকাকালীন সময়ে বাংলাদেশ সর্বাধিক ৫০ ম্যাচে জয়লাভ করে। এবং তিনি বিশ্বের অন্যতম সেরা অডিআই বোলার হিসেবে স্বীকৃত।
বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবঅর্জনের সাথে এসব নাম চিরকাল উচ্চারিত হবে।
Written by provakar chowdhury
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন